বাইন্যান্স ফিউচার ট্রেডিং নিয়ে আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর নিচে দেওয়া হলো:
১। ফিউচার ট্রেডিং কত সময় কয়েন হোল্ড করে রাখা যায়?
ফিউচার ট্রেডিংয়ে কয়েন হোল্ডিংয়ের সময়সীমা নির্দিষ্ট নয়। তবে দীর্ঘ সময় ধরে হোল্ড করলে ফান্ডিং ফি এবং মার্কেটের মুভমেন্টের কারণে ক্ষতি হতে পারে। ফিউচার ট্রেডিং মূলত স্বল্প বা মধ্যম সময়ের ট্রেডিংয়ের জন্য উপযুক্ত।
২। লিকুডেশন ভ্যালু পার করলে প্রাইস জিরো হয়ে যাবে। এখন যদি কয়েক মিনিটেই আবার কয়েন প্রাইস লিকুডেশন ভ্যালু থেকে আপ করে তাহলে কি আবার টাকা ফেরত পাব?
না। একবার আপনার অ্যাসেট লিকুডেটেড হয়ে গেলে সেই টাকা ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়। লিকুডেশনের আগেই আপনার পজিশন ক্লোজ করা জরুরি, নয়তো আপনার মার্জিন হারাতে হবে।
৩। লেভারেজ কেমন রাখা সব থেকে ভালো?
লেভারেজ নির্ভর করে আপনার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজির উপর।
- নতুনদের জন্য: ২x-৫x লেভারেজ রাখা নিরাপদ।
- অভিজ্ঞদের জন্য: ১০x বা তার বেশি লেভারেজ ব্যবহার করা যায়।
তবে, উচ্চ লেভারেজ মানে বেশি ঝুঁকি। তাই আপনার ক্যাপিটাল এবং মার্কেট অ্যানালাইসিস অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিন।
৪। ফিউচারে ট্রেডিং ফি কেমন?
বাইন্যান্সে ফিউচার ট্রেডিং ফি দুই ধরনের:
- মেকার ফি: অর্ডার বুক তৈরি করার জন্য (কম ফি)।
- টেকার ফি: অর্ডার পূরণের জন্য (বেশি ফি)।
স্ট্যান্ডার্ড ফি: - মেকার ফি: ০.০২০%
- টেকার ফি: ০.০৪০%
আপনার VIP লেভেল এবং BNB ব্যবহার করলে ফি আরও কমানো যায়।
৫। ফিউচার ট্রেডিং এর জন্য কোন কয়েনগুলা বেস্ট?
ফিউচারে ট্রেডিংয়ের জন্য কিছু জনপ্রিয় কয়েন:
- BTC/USDT: সবসময় লিকুইড।
- ETH/USDT: স্ট্যাবল এবং লিকুইড।
- BNB/USDT: কম মুভমেন্ট ঝুঁকি।
- SOL/USDT, ADA/USDT, XRP/USDT: মাঝারি মুভমেন্ট এবং ভালো ট্রেডিং ভলিউম।
মনে রাখবেন, যেকোনো কয়েন বাছাইয়ের আগে মার্কেট অ্যানালাইসিস এবং নিউজ ফলো করুন।
আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে জানাবেন।