আমির খানের তৃতীয় বিয়ে:
কিরণ রাও-এর সাথে দীর্ঘ সংসার জীবনের অবশান ঘটিয়ে আমির খান আর ফতিমা বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছেন। আমির ভক্তদের কাছে আমির খান ছিল দেবতা সমতুল্য একজন বিশিষ্ট অভিনেতা। তার অভিনয় দেখে মুগ্ধ না হওয়ার উপায় নেই। সৃজনশীল অভিনেতা হিসেবে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। কিন্তু ব্যেক্তি জীবনে তিনি কি সত্যই সৃজনশীল মানুষ?
১৫ বছরের সংসার জীবন
১৫ বছরের সংসার জীবন কি তাদের দুই জনের মধ্যে প্রকৃত ভালবাসা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে? আমরা সাধারণ মানুষ অসাধারণ মানুষগুলোর অস্বাভাবিক কার্যকলাপ আমাদের কে বিব্রত করে। যাদের স্থান আমরা সবার উপরে দিয়ে থাকি তারা যদি এলোমেল কিছু করে তখন আর তাদের ভালো কাজও আর ভালো লাগে না। কিরণ রাও তার দ্বিতীয় স্ত্রি ছিল,প্রথম স্ত্রি রিনা দত্ত কে ডিভোর্স দিয়ে তিনি কিরণ রাও কে বিয়ে করেন। তাদের ২ জনের একটি সন্তানও রয়েছেন। কি প্রভাব পরবে এই সন্তানের উপর? এবং কি প্রভাব পরবে তার ভক্তবৃন্দের উপর? তা কি একবারও ভেবে দেখেছেন আমির খান? আমি যতটা আবেগ এবং উৎকণ্ঠা নিয়ে তার বিষয় লিখছি তা হয়তো তারকা সমাজে স্বাভাবিক একটা বিষয়। কিন্তু তাদের এইসব কার্যকলাপ সাধারণ ভক্তকুলের মনে ব্যাপক ঝড় তোলে। তারা তাদের পছন্দের তারকাকে ঈশ্বরের স্থান দিয়ে থাকে। কিন্তু বুঝা উচিৎ মানুষ কখনই ঈশ্বর সমতুল্য হতে পারে না। মানুষ সে যতই উপরে উঠুক না কেন দিন শেষে সে একজন সাধারণ মানুষ।
চিন্তার খোরাক
আমার মতে সব বিনোদন কর্মী কে টিভি বা সিনেমার পর্দাতেই স্থান দেয়া উচিৎ এবং তাদের কাছ থেকে কিছু সময়ের জন্যে বিনোদিত হওয়াটাই সমীচীন। ব্যেক্তি আমির খান অথবা অন্য যে কোন তারকাকে নিজের ব্যেক্তি জীবনের অংশ না বানালে মানুষিক স্বাস্থ্যের ব্যাঘাত ঘটবে না। আমরা আমাদের জীবনের বড় একটি অংশ নষ্ট করে ফেলি অযথা তারকা জগতের মানুষদের নিয়ে। যাদের নিয়ে আমরা এত মাতামাতি করি তারা কেউ আমাদেরকে চেনেনও না এবং তাদের অস্বাভাবিক কর্মে আমাদের মনের উপর কি প্রভাব পরবে এই নিয়েও তাদের কোন মাথা ব্যেথা নেই।