গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......
.
হালিমার মা চলে যাওয়ার পর বাসায় আর তেমন কাজ থাকে না। ঐশী সুস্থ হওয়ার পর আর তেমন জ্বালাতনও করে না। নিজের মতো খেলে। সেতুর ইদানীং সব কাজ করতে ভালো লাগে। বারান্দার টবের গাছগুলোকেও ভীষণ আপন মনে হয় সেতুর। দুপুরে গোসলের পর চোখে গাঢ় করে কাজল পরতে ভালো লাগে। নীরা যখন অফিস ট্যুরে ছিল, তখন শাহেদ একবার বলেছিল কাজল পরলে নাকি সেতুর চোখে অদ্ভুত এক মায়া খেলা করে। আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজ মনেই একটু হাসল সেতু। হঠাৎ বিবেকের কষাঘাত শুরু হলো সেতুর মস্তিষ্কে। তাহলে কি সেতু শাহেদের জন্যই সাজে? ছিহ! এসব কী ভাবছে সেতু। নিজের ভাবনায় লাগাম পরিয়ে নেয় নিজেই। মনে পড়ে যায় সেই রাতের কথা। শাহেদ ভাইয়া না থাকলে এখন কবরে থাকার কথা ছিল সেতুর। সেদিনের বলা কথাগুলোর জন্যই সাজে সেতু। নিজেকে পালটাবার জন্যই সব কাজ মন দিয়ে করে। শাহেদ ভাইয়া এভাবে আস্টেপিস্টে সাপোর্ট না করলে কীভাবে এই সময়টা কাটত, ভেবে পায় না সেতু। সব সময় শুধু টাকা দিলেই সাপোর্ট করা হয় না। দুটো কথাও ভাঙা মনকে জোড়া দিতে পারে। নীরা আপুকেও শাহেদ ভাইয়া সেই রাতের ব্যাপারে কিছুই বলেননি। সেতু খুব ভয়ে ছিল এই ব্যাপারটা নিয়ে। আপুকে জানালে আপু আস্তো রাখত না সেতুকে।
For Photos I use:
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
ঐশীর কান্নায় হঠাৎ ভাবনায় ছেদ পড়ে সেতুর। মিষ্টি আদুরে কণ্ঠে ঐশীর সাথে কথোপোকথন চালাতে থাকে। এমন সময় হঠাৎ ডোরবেল বেজে উঠল। শাহেদ ভাইয়া এসেছে। আজ এত তাড়াতাড়ি! সকালে তাড়াতাড়ি বের হওয়াতে হয়তো ক্লান্ত হয়ে গিয়েছেন খুব।
শাহেদ ফ্রেশ হয়েছে দেখে সেতু এসে ঐশীকে শাহেদের কোলে দিয়ে চলে গেল। দিন শেষে যেন এই মুহূর্তটার জন্যই অপেক্ষা করে শাহেদ। মেয়ের মুখের মিষ্টি হাসি দেখে সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে যায়।
কিছুক্ষণের মধ্যেই সেতু হালকা রং চায়ের কাপ হাতে রুমে ফিরে এল। বাইরে থেকে ফিরে হালকা লিকারের রং চা যে শাহেদের খুব প্রিয়, এটা মাত্র এ ক'টা দিনের মধ্যেই আঁচ করে নিয়েছে মেয়েটা। নীরাও আগে এমন সব খুঁটিনাটির খেয়াল রাখত। এখন তো এত ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে যে... থাক সেসব ভাবনা। নিজের ভাবনার ইতি টেনে শাহেদ চায়ে চুমুক দিতে দিতে বলল, ‘কাজল পরেছিস! এভাবেই তো চাই তোকে। দ্যাটস লাইক আ ব্রেভ গার্ল!'
কিছুদিন থেকে কোনো কাজেই মন বসছে না। কেমন যেন উসখুস একটা ভাব। তাও সব কাজই চলছে নিজের মতো। ক্লাস, পড়া, পড়ানো, অফিসের কাজ, ঘরের কাজ, বাবুর দেখাশোনা, শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা কিছুই থেমে নেই। হঠাৎ হঠাৎ চার দেয়ালে দমটা আটকে আসে। ছোট্ট একটি বেলকুনি। নাহ! পুরো পৃথিবীটাই একটা মস্ত কারাগার মনে হয়। নিজের বুকের ভেতরে সমস্ত কষ্ট লুকিয়ে চুপটি করে হাতে একটা বই নিয়ে বসল ঝুমি। মন নেই। তবু পড়ছে।
গল্পের বই। ভাষা কঠিন। দরকারের চেয়ে উপমার অলংকার বেশি দিয়ে গল্পের শুরুটাই বিরক্তিকর করে তুলেছেন লেখক। তবুও নিজেকে ঠিক করতে পড়ে চলেছে। এক হিন্দু মেয়েকে নিয়ে লেখা গল্পটা। মেয়েটার সাথেই গল্পটা একটু একটু করে এগুচ্ছে। লেখক নিজেকে রেখেছেন গল্প থেকে অনেকটা দূরে। গল্পটার মাঝামাঝিতে এসে মনে ধরেছে এবার ঝুমির। উপমার অলংকারও এবার কিছুটা পরিমিত করেছেন লেখক। গল্পের হিন্দু মেয়েটার হঠাৎ খুব করুণ অবস্থা। কেউ তাকে মেরে ঠোঁট ফাটিয়ে রক্তাক্ত করে দিয়েছে। মেয়েটা তার পরিচিত একজনের কাছে এসে সব জানাল। কেন তাকে এভাবে মারা হয়েছে—জানতে উৎসুক ঝুমির মনও। কিন্তু পরের লাইনেই যে অদ্ভুত এক চমক অপেক্ষা করছিল, তা সে ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি। মেয়েটা দরজা বন্ধ করে সিজদা করে বলে তাকে এভাবে পিটানো হয়েছে। ঝুমি মনে মনে বলল, ‘আরে, ওদের দেবদেবীকে ও সিজদা করেছে। এতে পিটানোর কী আছে?'
পরের লাইনেই দেখল সেই পরিচিত চরিত্রটিও একই প্রশ্ন করল হিন্দু মেয়েটিকে। মেয়েটি জবাব দিল, ‘নাহ, আমি তো মাটির পুতুলকে সিজদা করি না। আমি সিজদা করি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রবকে।'
কেন যেন নিজের অজান্তেই চোখ ভিজে উঠল ঝুমির। খুব হিংসা হতে লাগল গল্পের মেয়েটিকে। এত গরিব, দুর্বল মেয়েটার কপালেও আল্লাহ এর নামে রক্ত ঝরানোর
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 9.26316596975397 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Hi @fxsajol,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit