গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......
.
আজ একটা ধূসর দিন। সকাল থেকে ভীষণ মন খারাপ আকাশের। ফাঁক বুঝে দু এ ফোঁটা কালো অশ্রুও বিসর্জন দিয়েছে। এখন আবার ধূসর। কদম গাছ নুয়ে আে সোনার ওজনে। ঝিরিঝিরি বাতাসে বাজছে পাতার নুপুর
ধূসর দিনগুলোতে অকারণেও মন উশখুশ করে। কেমন যেন গুমট এক শূন্যতা ছেে থাকে চারপাশ। রুটিনের সব কাজ করা হয় ঠিকই। তবে মনে চলতে থাকে ‘ভাল্লাগেন ভাল্লাগেনা' স্লোগান। মনের বিদ্রোহে একটু প্রশান্তির খোঁজে ঢু মারি খুব পুরোনে কোনো বান্ধবীর ইনবক্সে। যান্ত্রিক জীবন সবার। সবার অস্থিরতা যেন একই। দিন শেষে নেমে আসে আজন্মের শূন্যতা। খাওয়া, পরার নিছক বাঁচায় আমাদের মন তুষ্ট হয় না। কোনো এক অজানা ‘কেন’ এর খোঁজ করে সারাক্ষণ।
For Photos I use:
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
একই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসে, ‘আমি কী করছি!' বান্ধুবী খুব আক্ষেপ করে প্রশ্নটা ছুড়েছিল। এই প্রশ্ন শুধু ওর একার না। আমারও। আমার, আমাদের মতো আরও অনেকেরই। বস্তুবাদ আমাদের শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবতে শেখায়। ‘বাবার রুলস ছিল ঘর থেকে বেশি দূর যাওয়া যাবে না। But I choose for myself...
টিভিতে সেদিন কীসের যেন বিজ্ঞাপনে চোখ পড়েছিল। শুনে ভাবতে বসলাম, কেন সবকিছুতে বাবা-মায়ের বিপক্ষে যাওয়াকেই স্মার্ট করে দেখানো হয় মিডিয়াতে। বাবা-মা একটা কিছু চেয়েছে সন্তান তা না শুনে নিজে কিছু করে সফল হচ্ছে—এই কন্সেপ্টকে এত গ্লোরিফাই কেন করা হয়। নিজের জন্য বাঁচা। নিজে কিছু করা। নিজের একটা পরিচয় হওয়া। নিজের পায়ে দাঁড়ানো। নিজের টাকায় বাবাকে মাথা উঁচু করে খাওয়ানো।
এসব কেন?
জীবনের প্রথম দিন থেকে যে বাবার টাকায় খাওয়া হয়েছে, তাতে কি মাথা নীচু ছিল? পৃথিবীর কোন বাবা নিজের সন্তানকে খাওয়ার জন্য খোঁটা দেয়? মিডিয়ার এসব
প্রচারণার কারণে মানুষ কতই না হীনম্মন্যতায় ভোগে। টাকা ইনকাম করতে পারলেই কি কিছু করা হয়? যে মেয়েটা নিজের সব স্বপ্ন, ইচ্ছে একপাশে রেখে বাচ্চাদের কেয়ার করছে, স্পাউসের প্রয়োজন পূরণ করছে, সে কী কিছুই করছে না? কেন তাহলে তাকে স্বামীর কাছে শুনতে হয়, ‘তোমার যোগ্যতা নেই আমাকে বিয়ে করার।' যে মেয়েটা নিজের উচ্চ ডিগ্রিকে পাশে রেখে শাশুড়ির পা টিপে দেয়, সে কি খুব বোকা? মানুষের পর্যায়ে পড়ে না? কেন তাহলে সে কোনো প্রশ্ন করলে শুনতে হয়, ‘তুমি এসব বুঝবে না। অথবা এসব তোমার না জানলেও চলবে।'
সেদিন এক আপু বাষ্পায়ীত হৃদয়ে বলছিল, ‘চাকরি ছেড়ে দিয়েছি বলে এর ওর কথার জ্বালায় দিনে দুইবেলা করে ভাবতে বসি, এ জীবন দিয়া আমি কী করব।’ ‘যোগ্যতা’ শব্দটার অর্থ কী? একজন মানুষ কত টাকা উপার্জন করতে পারল; এটাই কী যোগ্যতা? তারপর আবার যখন এই মেয়েটাই কাঁধেকাঁধ রেখে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিবে তখনও কি তার দু'দণ্ড শান্তি হয়? দুটো কটূ কথা কম শুনতে হয়? নাহ, মোটেই না ৷ তখন তাকে শুনতে হবে, ‘সারাক্ষণ তো অফিসেই থাকো, বাচ্চাগুলো এই জন্যই গোল্লায় গেল।’ ‘ঘরের কাজের এই অবস্থা কেন?' এমন আরও অনেক কথাই। টাকার গরমে সামনাসামনি না শুনতে হলেও আকারে ইঙ্গিতে ঠিকই তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে যে, সে একটা চাকরি করে ঠিক কত বড়ো অন্যায় করে ফেলছে! কতটা অর্থব সে!
আচ্ছা কে কী বলল তা না হয় বাদই দিলাম। মেয়েটা যে নিজেই নিজের ভেতর প্রতিনিয়ত পুড়তে থাকে। চোখের সামনে দেখছে বাচ্চাটার জ্বর। তবুও তাকে রেখে অফিসে আসতে হচ্ছে। একজন মায়ের বুকের ভেতরে পুড়ে ছাই হওয়া হৃদয়টা কি তখন কেউ দেখে? বুঝে?
For Photos I use:
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
আমরা যখন থেকে পড়াশোনা করার উদ্দেশ্য টাকা ইনকাম করা শুরু করলাম, তখন থেকেই আমাদের অধঃপতন শুরু হয়েছে। নিজেদের মূল্যবোধ ভুলে গিয়েছি। এখন দুই নৌকায় পা দিয়ে হাসপাস করতে থাকে আমাদের অন্তর। ভুলে গিয়েছি আমাদের শ্বাস নেওয়াটা শুধুমাত্র নিজের জন্য না। আমাদের প্রতিটি কাজ, কথা, চলাফেরা, উঠাবসা সব আল্লাহর জন্য। এটুকু মনে গেঁথে নিলে; কে আমাকে মূল্যায়ন করল আর কে করল না, তাতে সত্যিই কিছুই যায় আসে না। তখন ঘর ঝাড়ু দিলেও মন ফোঁস ফোঁস করে বলবে না, ‘এ জন্যই কী এত পড়াশোনা করেছিলে?' বা ‘এত করে কী পেলে জীবনে৷” অথবা ‘এক জীবন শুধু মানুষগুলোর জন্য করেই গেলে; কিন্তু কারও মন পেলে না। বরং প্রশান্ত অন্তর বলে উঠবে, ‘এর প্রতিদান তো আমার রবই দিবেন।' নারী, তোমার পাওনা তো ওপারেই জমা হচ্ছে।
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 9.23238482616119 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit