গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......
.
‘আপা, শয়তানের কাজ কী করে?' নীরাও প্রশ্নটা করেই ফেলল। আগেও আপা সব ব্যাপারেই এই একই কথা বলতেন। এ কথাটাই এত দিন নীরার মনে খচখচ করছিল। আজ তা জানতেই হবে।
‘দেখ, স্পষ্টভাবেই তো এটা বলা আছে যে, দুজন গাইরে মাহরামের মধ্যে তৃতীয়জন শয়তান। তৃতীয়জন তার কাজ তো করবেই, তাই না!' সাবলীল কণ্ঠে বললেন রোকসানা আপা।
‘তাই বলে এত দিনের সম্পর্কের কোনো মূল্যই কি নেই?' দিপ্তি অবিশ্বাসের স্বরে বলল। ‘হ্যাঁ, আপা। এত দিনের সব ভুলে কীভাবে একটা মানুষ এমন হুট করে...' কথাটা আর শেষ করতে পারে না রুমা।
রুমার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে নীরা বলে, “তাই তো। হুট করে কীভাবে সম্ভব!'
‘তোমাদের কে বলেছে, এসব হুট করে হয়?' চশমার ফাঁক দিয়ে নীরার দিকে তাকিয়ে সবার উদ্দেশে বলল রোকাসানা আপা।
বাবলু ভাই আবারও একবার ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকাল। তিনি নিজে কখনো কথা বলেন না। তবে খুব মনোযোগ দিয়ে কথা বলে গেলেন। আজও তার ব্যতিক্রম নেই।
For Photos I use:
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
রোকসানা আপার কথার পর কেউ কিছুই আর বলল না। সবার চেহারাতেই ভাবনার রং খেলা করছে। রুমা ভ্রু জোড়া ভাঁজ করে মনোযোগ দিয়ে ভাবছে। দিপ্তি দু-এক বার কী যেন বলতে গিয়ে মুখ খুলেও আবার ভাবনায় ডুব দিয়েছে। আর নীরার চোখে মুখে কেমন যেন আতঙ্ক আর অবিশ্বাস খেলা করছে। সবাইকে নীরব দেখে রোকসানা আপা নিজেই বলা শুরু করলেন, “শোনো, এসবকিছুই এক দিনে ঘটে না। এর পেছনে তৃতীয়জনের সুদীর্ঘ প্ল্যান ও হার্ডওয়ার্ক থাকে। সে খুব ধৈর্যশীল।’
‘মানে আস্তে আস্তে ঘটে? স্লো মোশনে?' খুব বুঝেছে—এমন ভাব নিয়ে বলল দিপ্তি। ‘হ্যাঁ, স্লো মোশন। ধরো প্রথম দিনেই তো কেউ এমন করে না। হয়তো গাইরে মাহরাম কারও সাথে দিনের পর দিন মিশতে মিশতে ধীরে ধীরে এমন হয়ে যায়। তখন না এ কূল রাখা যায়, না ওই কূল ধরা যায়—ধরনের দো-টানায় পড়ে মানুষ।' রোকসানা আপা দিপ্তির তিকে তাকিয়ে বললেন।
‘হ্যাঁ... হ্যাঁ... তখন ‘পেয়ার কিয়া তো ডারনা কেয়া' বলে পরকীয়া শুরু করে।' দিপ্তির কথায় আবারও হাসির রোল পড়ল গাড়ি জুড়ে।
কিন্তু নীরার ঠোঁটে হাসির লেস মাত্রও দেখা গেল না। নীরার মাথার ভেতরটা হঠাৎ কেমন যেন ভোঁ ভোঁ করতে শুরু করল। মনে হচ্ছে মাথার ভেতরে এক ঝাঁক মৌমাছি ঢুকে গিয়েছে কোনোভাবে। মাথার ভেতরে আবার সেই কথা প্রতিধ্বনিত হতে
ভেবে দেখুন, যত আমলের ব্যাপারে আমরা জানি, সবগুলোই মাটির উপর আমল করার জায়গা। ফল মিলবে ওপারে। শুধুমাত্র কুরআনই ব্যতিক্রম। আখিরাতে আপনি
কুরআন পড়বেন আর আপনার মর্যাদা বাড়তে থাকবে।
আমাদের শ্বাস নিতে যেমন অক্সিজেন প্রয়োজন, তেমনি কুরআন আমাদের রুহের অক্সিজেন। আমরা যে আমাদের একমাত্র রবের কথা পড়ছি; এই অসাধারণ উপলব্ধিটা
আমাদের মধ্যে আর কবে হবে!?
তাহলে আমরা কীসের আশায় কুরআন ছেড়ে মেকি হাসি তামাশায় মত্ত আছি?
ওই হাদিসটা মনে পড়ে, যেখানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, -“কিয়ামতের দিন কুরআনের বাহককে বলা হবে, পড়তে থাকো ও উপরে আরোহণ করতে থাকো এবং দুনিয়াতে যেভাবে ধীরে সুস্থে পড়তে, ঠিক সেভাবে ধীরে সুস্থে
পড়তে থাক। যে আয়াতে তোমার পড়া শেষ হবে, সেখানেই তোমার স্থান।'
কতটা তাৎপর্যপূর্ণ কথা। তা কি আমরা বুঝতে পারছি?
আসুন আমরা সবাই এ উপলব্ধিকে কুরআনের সাথে আবেগময় সম্পর্ক স্থাপনের চালিকাশক্তি হিসেবে নিই। আল্লাহ আমাদের সাহায্যকারী।
জিবরিল আলাইহিস সালাম কুরআনের বাহক হওয়ায় তিনি সকল ফিরিশতার শ্রেষ্ঠ। কুরআন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর অবতীর্ণ হওয়ায় তিনিও সকল সৃষ্টির সেরা। কুরআন এ জাতির উপর অবতীর্ণ হওয়ায় সর্বশ্রেষ্ঠ হয়েছে এ জাতি। রমজান মাসে অবতীর্ণ হওয়ায় তা সকল মাসের শ্রেষ্ঠ মাস। লাইলাতুল কদরে নাজিল হওয়ায় তা হয়েছে শ্রেষ্ঠ রজনি। কুরআনকে যদি আমাদের অন্তরে রাখতে পারি, তবে আমাদের অবস্থান কোথায় পৌঁছাবে ভেবে দেখেছেন?
কুরআন তিলাওয়াত আল্লাহর সাথে একটি লাভজনক ব্যবসা। যে কোনো ব্যবসায় লাভ এবং ক্ষতি দুটোরই সম্ভাবনা থাকে। এখানে লাভ ছাড়া কোনো
ক্ষতির আশঙ্কা নেই। মহান আল্লাহ বলেন—
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 9.254363918283467 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit