শেষ বিকেলের মায়া - আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পার্ট ৩৭

in story •  last month 
আসসালামুআলাইকুম

গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......

.
আমার মাকেও খুব ভালোবাসি।' বলে মাথাটা ডানে বামে নাড়িয়ে বলল, ‘আমি চাই না মা চলে যাক; কিন্তু বাবা বলল, আমার বোনের সাথে থাকতে মাকে যেতেই হবে।'
তারপর সে আবারও পুতুলটার দিকে নীরব বেদনাভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। আমি তাড়াতাড়ি নিজের ওয়ালেটে হাত দিলাম আর বললাম, ‘আচ্ছা আর একবার গুণে দেখি। হতে পারে পর্যাপ্ত টাকা আছে, কিন্তু আমরা গুণতে ভুল করেছি।' ছেলেটা সম্মতি দিয়ে মাথাটা হালকা ডানে কাত করল। আমি নিজের কিছু টাকা গোপনে যোগ করে দিয়ে বললাম, ‘আশা করছি এবার ঠিকঠাক গুণতে পারব।' তারপর গোনা শেষ করে বললাম, ‘বাহ! এখানে তো অনেক টাকা। পুতুলটা কেনার পরও আরও টাকা থাকবে এখানে।' বাবাইটা ছলছল চোখে জান্নাতি একটা হাসি মেখে বলল, ‘আলহামদুলিল্লাহ!’ তারপর সরাসরি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘গতরাতেই আমি ঘুমোতে যাওয়ার আগে দোয়া করেছিলাম আল্লাহ যেন আমাকে পুতুলটা কেনার মতো টাকা দেন। আর আমি আমার মায়ের জন্য একটা সাদা গোলাপও কিনতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু আল্লাহর কাছে বেশি চাওয়ার সাহস করতে পারিনি। আল্লাহ ঠিকই আমাকে পুতুল আর সাদা গোলাপ দুটাই কেনার টাকা দিয়ে দিলেন। আলহামলিল্লাহ।' এইটুকু বলে চিকচিক করা চোখ নিয়ে বলল, ‘আংকেল জানেন, আমার মায়ের সাদা গোলাপ ভীষণ পছন্দ।'

IMG_7480.jpg

For Photos I use:


Camera
Iphone 12 Mini
Lens
Wide 26 mm-Equivalent
Photographer
@fxsajol
Location
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh
Processing photos
Outdoor

আমি কোনোমতে আমার শপিং শেষ করলাম। মনটা খুব বিক্ষিপ্ত হয়ে গেল। মস্তিষ্কের নিউরনে যেন পিচ্চি ছেলেটা একেবারে গেঁথে গিয়েছিল। কোনোভাবেই সরাতে পারছিলাম না। হঠাৎ গত দুদিন আগে নিউজ পেপারে দেখা একটা আর্টিক্যালের কথা মনে পড়ে গেল। যেখানে লেখা ছিল কোনো মাতাল ট্রাক ড্রাইভার কোনো গাড়িকে আঘাত করেছিল। ঘটনাস্থলেই ছোট্ট মেয়েটি মারা গিয়েছিল, আর মেয়েটির মা মারাত্মকভাবে আহত হয়ে হসপিটালাইজড হয়েছে। এই পিচ্চি ছেলেটা কি সেই পরিবারের?

পিচ্চি ছেলেটার সাথে কথোপকথনের দুদিন পর নিউজ পেপারে দেখলাম সেই মহিলাও মারা গিয়েছে। নিজেকে আর সামলে রাখতে পারলাম না। কিছু সাদা গোলাপ কিনে মহিলার জানাজায় শরিক হলাম। জানাজা শেষে খেয়াল করলাম কবরের পাশে একটা সাদা গোলাপ, সেই পুতুলটা আর সেই পিচ্ছি বাবাইটার হাসিমাখা ছবিটা রাখা। অশ্রুর প্লাবনে ভেসে গিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম। আর বুঝলাম আমার জীবনের একটা মোড় এখানে এসে ঘুরে গিয়েছে। পিচ্চি ছেলেটা ওর মা ও বোনকে যতটা ভালোবাসে,
তো আজকের দিনে কল্পনার বাইরে, অথচ কিছু সেকেন্ডের ভগ্নাংশে; এক মাতাল ড্রাইভার ওর থেকে সবটা কেড়ে নিল।

ফিরছি তাঁর দিকে
এটা এমন একটা ঘটনা, যা আমার কাছে খুবই ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি এর মাধ্যমে আপনিও কিছু শিখবেন ও উপকৃত হবেন। চলুন ‘বিসমিল্লাহ' বলে শুরু করা
যাক।

ইউনিভার্সিটি জীবনের শুরুর দিকে অন্য একজন মুসলিম ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল। আমরা একেবারে প্রাণের বন্ধু হয়ে গিয়েছিলাম, তবে আমাদের বন্ধুত্ব আর পাঁচটা সাধারণ বন্ধুত্বের মতো ছিল না। আমি তার জন্য সব করতে পারতাম। সে অনেকটা আমার আপন ভাইয়ের মতোই ছিল।

ভার্সিটি জীবনের ফাইনাল ইয়ারে আমার এই ভাইটা জানাল, সে এংগেজড আর এই গ্র্যাজুয়েশন শেষ হলেই সে বিয়ে করতে যাচ্ছে। আর এর মধ্যেই একটা চাকরির ব্যবস্থাও করতে যাচ্ছে। আমরা দুজনই খুব খুশি ছিলাম। সে এতই খুশি ছিল যে, সারাক্ষণ অবিরত কথা বলেই যেত। সত্যি বলতে তাকে আমার কিছুটা ঈর্ষা হতে লাগল, যেন জগতের সব ভালো দিকগুলো তারই। পড়াশোনা শেষ করেই চাকরি, বিয়ে—বিশেষ করে সে একজন ধনাঢ্য পরিবারের ছেলে, এটা আমাকে বেশি তাড়া করছিল।

IMG_7482.jpg

For Photos I use:


Camera
Iphone 12 Mini
Lens
Wide 26 mm-Equivalent
Photographer
@fxsajol
Location
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh
Processing photos
Outdoor

ভাইটা একদিন আমাকে কফি শপে দেখা করতে বলল, কিন্তু আজ কেমন কালো আঁধারে ঢেকে আছে তার মুখখানি। ঠোঁটে কোনো হাসি নেই। নেই অবিরাম হবু বউকে নিয়ে কথা বলা। ‘কী হয়েছে?' জিজ্ঞেস করলাম আমি। সে মলিন মুখে জিজ্ঞেস করল, ‘আমরা কী কোথাও একা কথা বলতে পারি?' আমি রাজি হয়ে গেলাম। অবশেষে তার মন খারাপের কারণ জানতে পারলাম। শুনে আমি কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে রইলাম। সে বলল, সে জানতে পেরেছে তার ব্রেইন টিউমর হয়েছে, যা খুবই মারাত্মক; অর্থাৎ এটা ক্যান্সার হয়ে গিয়েছে। এই কথাগুলো যখন সে আমাকে বলছিল তখন তার কণ্ঠ কেঁপে কেঁপে উঠছিল, আর অশ্রুর প্লাবনে গলা পর্যন্ত ভিজে যাচ্ছিল। এমন অবস্থায় আমি তাকে

This is original content by @fxsajol . Stay with me and get more post about travel, photography, life, story, technology and motivation etc. Please upvote, comment and resteem my post. Again thank you so much 😊
সময় নিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 9.195393215401115 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.