গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......
.
আচ্ছা এখন বলুন তো, উপরের কমেন্টগুলো পড়ে কি কারও একটি বারের জন্যও মনে হয়েছে যে, কেউ এই আপুদের জোর করে পর্দা করতে বাধ্য করেছে? কারও কি একটি বারও মনে হয়েছে যে, পর্দা করা নিয়ে এই আপুগুলো ত্যাক্তবিরক্ত? একবারও কি মনে হয়েছে, সমাজের চাপে পরিবারের তাপে তারা গায়ে আলখাল্লা লাগিয়ে হাঁটে?
এমন কখনই মনে হতে পারে না।
For Photos I use:
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
একজন মানুষ যখন নিজের ভুলগুলো পেছনে ফেলে দ্বীনের আলোর দিকে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে ছুটে চলে; তখন তার চারপাশের মানুষগুলো উপহাসের হাসি হাসে। টিটকারি দিয়ে বলে, ‘দুই দিনের সন্যাসী; ভাতেরে কয় অন্ন।’
প্রথম কমেন্টে একজন আপু খুব মূল্যবান একটি কথা বলেছেন।
‘একজন পর্দার পরিবেশে বেড়ে ওঠা মেয়ের চেয়ে একজন সম্পূর্ণ অন্ধকার থেকে ফিরে আসা মেয়ের জন্যে পর্দা মেইন্টেইন করে চারপাশ সামলানো অনেক বেশি স্ট্রাগলিং।’
সামান্য এই কথা থেকে আপুটার ভেতরের তুমুল যন্ত্রণাটা, গলার কাছে এসে আটকে থাকা কান্নাটা যেন স্পষ্ট অনুভব করতে পারছি আমি। আমরা যারা দ্বীনহীনভাবে বেড়ে উঠেছি। হাজারও ভুলের পর যখন আমাদের রব আমাদের তাঁর পথ দেখিয়েছেন, তখন আমরা সংকোচহীনভাবেই গায়ে জড়িয়ে নিয়েছি তাঁর কালাম। তাঁর আদেশ। পর্দার বিধান। কিন্তু আমাদের চারপাশের মানুষগুলো? এখন সবাই উপহাসের হাসি হাসে। টিপ্পনী কেটে বলে, ‘এই মেয়েকে তো সেদিনও জিন্স পরে ঘুরতে দেখলাম।'
গতকালই এক বান্ধবীর সাথে কথা হচ্ছিল। নিজের কাছের মানুষের কথার আঘাতে জর্জরিত ছিল তার হৃদয়। অন্তরের রব তো আল্লাহ। মনে মনে দোয়া করছিলাম
তোমার এই বান্দার অন্তরটা তুমি প্রশান্ত করে দাও। আর বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করছিলাম—“দেখ, দুনিয়াটা তো এমনই। ধর, তুই আর আমি একসাথে আছি। এখন তোর সামনে আমি চুরি করলাম। তুই সেটা দেখলি। আর মনে মনে ভাবলি, “ছিহ! এই মেয়েটা চুরি করে!' কিন্তু চুরি করার পর থেকেই আমার ভেতর অপরাধবোধ কাজ করতে লাগল। রাতে সালাত পড়ে আমি মন ভরে কেঁদে তাওবা করে নিলাম।
তুই দেখেছিস যে, আমি চুরি করেছি। কিন্তু পরে যে আমি তাওবা করেছি, সেটা তো আর দেখলি না। কিছুদিন পর যখন তুই কোনো অন্যায় করতে যাচ্ছিলি তখন আমি তোকে বাধা দিতে চেষ্টা করলাম। তখন তুই কটমটিয়ে বলে উঠলি, “তুই নিজেই একটা চোর হয়ে আবার আমাকে এসব বলিস, ছিহ!'
আমাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আসলে এমনই হয়। আমরা যারা দ্বীন মেনে চলতে সংগ্রাম করে যাচ্ছি; আমরা সবাই ফেলে আসা দিনগুলোতে কত শত গুনাহ করে ফেলেছিলাম তার হিসাব নেই। যতটা বুঝেছি ততটা তাওবাও করেছি। কিন্তু আমাদের আশপাশের মানুষগুলোর স্মৃতিপটে আমাদের গুনাহের দৃশ্যগুলোই সেইভ হয়ে আছে। রাতের আঁধারে আমাদের রবের সামনে দাঁড়িয়ে ভেজা ছানার মতো আকুল হয়ে কেঁদে তাওবা করার দৃশ্য তো কেউই দেখেনি। তাই তা তাদের মস্তিষ্কে সেইভও হয়নি।
ফলে এখন যখন এই মানুষগুলো দেখছে পরশুদিন যে মেয়েটা জিন্স আর টপ্স পরে শহরময় ঘুরে বেড়িয়েছে; আজ সেই মেয়েটাই বলছে অমুক তমুক আমার মাহরাম না, তাদের সামনে আমি যাব না। এতে এই মানুষগুলো তো আকাশ থেকে পড়বেই। এটাই স্বাভাবিক। তাই যখন কেউ আমাদের অতীত টেনে এনে আমাদের বর্তমানকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে তখন আমাদের মনটাকে শক্ত করতে হবে, আর এই কাছের মানুষগুলোর জন্য আল-হাদির কাছে হিদায়াত চাইতে হবে। তিনিই তো একমাত্র পথপ্রদর্শক, তাই না?
For Photos I use:
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
দ্বিতীয় কমেন্টে আরেকজন আপুর কথায় আমাদের সমাজের একটা বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। আমরা খুব স্ট্রাগল করে নিজের নফসের সাথে লড়ে অন্যের কটূ কথায় হৃদয়টা টুকরো টুকরো করে পর্দা শুরু করলেও, আমাদের পর্দা বাইরে বেরুনোর সময় বোরকা গায়ে জড়ানো পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।
একজন লেখক খুব সুন্দর করে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলেছেন। তাঁর ভাষাতেই বলছি, ‘মাহরাম-গাইরে মাহরামের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ উপেক্ষিত। মানুষ পর্দা করে পরিচিতির ভিত্তিতে। আমি যদি আপনাকে চিনি, তবে আর আপনার সাথে আমার কোনো পর্দা নাই। পর্দা হবে রাস্তার ধার দিয়ে হেঁটে যাওয়া কোথাকার ওই লোকটার সামনে। নারী ঘোমটায় তার মুখ ঢাকবে হঠাৎ অজানা-অচেনা কেউ এসে তার সামনে পড়লে। কিন্তু যদি তিনি হন দেবর-ভাসুর কিংবা চাচাতো-ফুফাতো ভাইবোন ধরনের কোনো ‘তো
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 9.235471251465569 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit