পেয়ারা নয় : পেয়ারা-আনারস
মোটেই পেয়ারা নয় । তবে দেখতে অনেকটা পেয়ারার মতো। পাকা ফলের স্বাদ, ঘ্রাণ পেয়ারা এবং আনারসের বিস্ময়কর সংমিশ্রণ। এ কারণেই অনেকে দুটি ফলের নাম একত্র করে, এই ফলের নামকরণ করেছেন ‘পেয়ারা-আনারস’। আদিনিবাস ব্রাজিলের জঙ্গলে, তাই অনেকে আবার ‘ব্রাজিলের পেয়ারা’ বলতেই বেশি পছন্দ করেন। নাম-পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা মির্তাসি পরিবারের এই উদ্ভিদের নাম দিয়েছেন
আমাদের পাড়ায় এই ফলের বেশ কয়েকটি গাছ আছে, সৌন্দর্য বাড়াতে লাগানো হয়েছে। উদ্ভিদ, ফুল এবং ফল খুব সুন্দর। ভিটামিন বি এবং সি’র চমৎকার উৎস পেয়ারা-আনারস ওজনে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। জ্যাম, জেলি তৈরি করতেও এই ফলের অনেক কদর।
জুন মাসে ফুল ফুটতে শুরু করে এবং জুলাই পর্যন্ত ফুল দেখা যায়। ফুলের হালকা গোলাপি এবং গোড়ার দিকে লালচে গোলাপি রঙের টসটসে পাপড়ির স্বাদ মিষ্টি। রসালো পাপড়িতে রয়েছে আট শতাংশ শর্করা। অনেকেই তাই ফুল কুড়িয়ে স্যালাডে মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। আবার কেক বা খাবার সাজাতে এই ফুল বেছে নেন।
পাখিরা খুব মজা করে ফুলের মাংসল পাপড়ি খায়। নভেম্বরের শুরুতে ফল পাকতে শুরু করে। তখন কাঠবিড়ালিদেরআনাগোনা বাড়ে। সে সময়ে আমিও এই রসালো মিষ্টি ফলে কাঠবিড়ালিদের সাথে ভাগ বসাই।
ছবি আমার তোলা, স্থান : তুলুজ, ফ্রান্স।