ভালোবাসার গল্প যার নাম রেখেছি "প্রতিশোধ" আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে

in story •  6 years ago 

আজ আমি অন্তি নামের একটা মেয়েকে রেপ করতে চলেছি।মেয়েটিকে তুলেও এনেছি।
আজ ভেঙে দেবো ওর সব দেমাগ।ওর রুপের অহংকার আর ওর বাবা খান সাহেবের মান সম্মান।
আজ আমি এক বখাটে।
কিন্তু আগে এমন ছিলাম না।
আমি ছিলাম মায়ের বাধ্যগত সন্তান।আমি সেই সময় ঠিক মতো লেখাপড়া করতাম স্কুলে জেতাম।ভাল রেজাল্ট করতাম।
ছুটির দিনে খেলতাম।মাঠে ঘুড়ি উড়াতাম।
মায়ের কাজে সাহায্য করতাম।গ্রামের লোক আমাকে খুব ভালবাসতো।
কিন্তু একটা love letter কেড়ে নিয়েছে আমার সব কিছু।কেড়ে নিয়েছে আমার সব চেয়ে প্রিয় মাকে।কেড়ে নিয়েছে আমার লেখাপড়া।কেড়ে নিয়েছে আমার শৈশব ও ৫টি বছর।
তখন আমি ক্লাস ১০এ পড়তাম। তখন একটা মেয়েকে আমার ভাল লাগে।সেই মেয়েটিই এই অন্তি।ও তখন ক্লাস ৯-এ পড়তো।
আপনারাতো জানেন ঐ বয়সটাই ছিল কোন কিছু পছন্দ হলে দ্রুত কাছে পাওয়ার তীব্র আকাংখা,আমারও তেমনটাই হয়েছিল।আমি তখন ঠিক মত প্রেম কি বুঝতাম না।তবুও একটা চিঠি লিখেছিলাম।চিঠিটা ছিল---
প্রিয় ললনা
তুমি কি বোঝ না আমার এ দু চোখের ভাষা?তোমাকে পাওয়ার জন্যে আমার চোখ, মন ও দেহের প্রতিটি অঙ্গ বেধেছে স্বপ্নের বাসা।
ওহে বালিকা তুমি হয়তো জানো না, তোমাকে দেখলে বেড়ে যায় আমার বুকের ধুুকধুকুনি।হয়তো তখন আমার হার্টবিট 100bpm পার হয়ে যায়।বালিকা তুমি হয়তো জানো না আমার শয়নে স্বপনে কাজে সব সময় সব দিকে শুধু তুমি আর তুমি।বালিকা আমি মনের অজান্তেই তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি।বালিকা সোনো তোমার প্রেমে পড়েছি এই আমি দোষ হলে ক্ষমা করে কাছে টেনে নিও।
আমি তোমাকে নিয়ে একটা নতুন রাজ্য বানাবো যেথায় থাকবে তুমি আমি আর মা।
মনে রেখো আমি তোমাকে কোন দিন ছেড়ে যাব না।থাকবো তোমার পাশে সারা জীবন। তুমি দেবে না আমায় সেই সুযোগ??
ইতি
তোমার প্রেম প্রত্যাশী
রবি
আমি চিঠিটা ওকে দিয়েছিলাম।ও আমাকে একটা চড় মেরে ছিল।
আর বলেছিল--- তোর মত ছোট লোককে আমি ভালবাসবো?পেটে ঠিক মত খাওয়া জোটেনা আসছে প্রেম করতে।
আমি কিছু মনে করিনি ভেবেছিলাম গরীবদের হয়তো প্রেম করতে নেই।আমি সোজা বাড়িতে চলে যায়।
বিকালে ঘুমিয়ে ছিলাম এমন সময় বাড়ীর বাইরে হট্টগোলের শব্দ পেলাম। বাইরে গিয়ে দেখি অন্তির বাবা খান সাহেব,এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বর সহ গ্রামের বহু লোক এসেছে আমার বিচার করতে।
আমি নাকি অন্তিকে উত্তক্ত করেছি।মানে অন্তি বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ করে।
সেদিন বিচারে আমাকে ২০টা বেতের বাড়ি মারা হয়।আর অন্তির বাবা আমার মাকে অনেক খারাপ ভাবে অপমান করে, চেয়ারম্যান মেম্বররা কিছুই করেনি কারণ তারা ছিল খান সাহেবের পোশা কুত্তা।
খান সাহেবর এই চরম অপমান আমার মা সহ্য করতে পারে নি।মা ঐ দিন রাতেই মারা যায়।
আমি তখন মাকে হারিয়ে প্রায় পাগল হয়ে যায়।সামান্য একটা চিঠি দিয়েছি বলে এতো অপমান করাতো ঠিক না।আর যেটা আমার মাকে কেড়ে নিয়েছে।
আমার সেদিন মনে হয়েছিল আমার মায়ের মরার জন্য খান সাহেব দায়ী।
আমি সেদিন রাগ সামলাতে নাপেরে একটা দাও নিয়ে খান সাহেবের বাড়ীতে গিয়েছিলাম ওনাকে হত্যা করতে।
কিন্তু আমি ওনার দারোয়ানদের কাছে পরাস্ত হই।ওরা আমাকে বন্দি করে।
করবেই না বা কেন??আমারতো তখন ওদের মত ৫জনকে হারানোর ক্ষমতা ছিল না।
পরে খান সাহেব আমাকে জেলে দেয় আর আমার ৫ বছর জেল হয়।
আমি জেল থেকে বের হয়েছি প্রায় মাস খানেক।এখন আমি অনেক শক্তিশালী একাই ৫-৬ জনকে পরাস্ত করতে পারবো।
জেলে যে কয়দিন ছিলাম প্রতিক্ষণ আমি শুধু ভেবেছি কিভাবে নেওয়া যায় এর প্রতিশোধ।
আজ আমার প্রতিশোধ নেওয়ার সময় এসে গেছে.
এখন রাত ৩টা রাত ১১টার দিকে ওকে তুলে এনেছি।
এখন ওকে রেপ করে আমার প্রতিশোধটা নিতেই হবে নয়তো আমি জ্বলে পুড়ে মরবো।
আমি ওকে রেপ করতে যায়।
অন্তি তখন বলেছিল---আমাকে মাফ করে দাও আমার এমন ক্ষতি করো না।
---তোকে আমি ছেড়ে দিলে পারবি আমার মাকে ফিরিয়ে দিতে?পারবি আমার হারিয়ে যাওয়া ৫টা বছর ফিরিয়ে দিতে।আরে তোরাতো পারিস টাকার জোর দেখাতে। তোকে ভালবেসে ছিলাম বলে তোকে একটা লেটার দিয়েছিলাম।কিন্তু তুই আর তোর বাবা আমার সামন্য ভুলের জন্য কেড়ে নিয়েছিস আমার সব কিছু।

---দেখ তুমি কি আমাকে রেপ করলেও তোমার মাকে ফিরে পাবে?? আর আমি সেদিন থেকে এই পর্যন্ত তোমাকে খুজছি ক্ষমা চাইবো বলে। আমার একটা ভুলের কারণে তোমার সব হারিয়েছো আমি যদি বাবাকে লেটারটার কথা না বলতাম তাহলে এমন হতো না।
---রাখ তোর মন ভুলানো কথা।
---বিশ্বাস করো সেদিন থেকে একটা অপরাধ বোধ আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে।তুমি আমাকে পারলে মাফ করে দিও।আর তুমি যদি মনে করো আমার ক্ষতি করলে তোমার সব কিছু ফিরে পাবে তাহলে তুমি যা ইচ্ছা করতে পারো।
আমি ওর কথা সুনে ওকে রেপ করতে গিয়েও পারিনি।
আমার মনটা নরম হয়ে যায়।
আর ও ঠিক বলেছে আমিতো আমার কিছুই আর ফিরে পাবো না।ফাও একটা মেয়ের জীবন নস্ট করে কি হবে??
আমি ওকে ছেড়ে দেই।ওর জামাটা ছিড়ে যায়।
তাই নতুন একটা থ্রীপিচ এনে দেই ওকে।
তারপর দিন সকালে ওকে বাড়ীতে সযত্নে পৌছে দিতে যায়।
কিন্তু সেখান থেকে পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে।
আমারই ভুল ছিল ওখানে যাওয়া।আমার ভাবা উচিত ছিল আমি একটি মেয়েকে কিডন্যাপ করেছি।
তারা নিশ্চয় মেয়েটিকে খুজছে।
পুলিশ আমাকে নিয়ে যায়।
অন্ত তখন কিছু বলতে চেয়েছিল কিন্তু ওর বাবা ওকে বলতে দেয়নি।
ওর বাবা আমার নামে মামলা করেছে কিডন্যাপ ও রেপের।
এই কেসের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাসিও হতে পারে আমার।
পুলিশ আমাকে আজ অনেক মেরেছে।
আমার হাটার শক্তি টুকুও রাখেনি।
আজ আমাকে আদালতে নেওয়া হবে। আমার বিচার হবে আজ।
আমি আদালতে গেলাম।
দেখি ব্রেঞ্চে বসে আছে অন্তি ও তার বাবা।
জর্জ সাহেব আসলেন।
উনি আমার পক্ষের উকিল খুজলেন কিন্তু কেউ নেই।
আমারইতো দুকূলে আর কেউ নেই।তাহলে উকিল আনবে কে?
জর্জ সাহেব বিচার কার্জ শুরু করলেন।
অন্তির বাবা আমাকে বিভিন্ন ভাবে দোষারোপ করলো।
জর্জ সাহেব আমাকে জিঞ্জাসা করলেন এসব ঠিক কিনা?
অন্তির দিকে তাকালাম দেখি ও কাদছে।
আমি জর্জ সাহেবকে বললাম--অন্তি যদি নিজের মুখে এসব বলে তাহলে আমি সব দায় মাথা পেতে নেব।
আমার কেন জানি মনে হলো অন্তি মিথ্যা বলবে না।
অন্তিকে ডাকা হলো।অন্তি বললো---জর্জ সাহেব ও বড়ই অপরাধী।ওর সব চেয়ে বড় অপরাধ ও এখান থেকে ৫বছর আগে আমাকে লাভ লেটার দিয়েছিল।তার শাস্তি স্বরুপ ওর মাকে হারিয়েছে।ও আবার অপরাধ করেছে প্রতিশোধ নেবে বলে আমাকে কিডন্যাপ করে আবার আমার কোন ক্ষতি না করে বাড়িতে ফিরিয়ে দিতে এসে।জর্জ সাহেব ও যদি অপরাধী হয় তাহলে আমার বাবা খান সাহেব ওর চেয়ে বড় অপরাধী কারণ উনিই ওর মাকে কেড়ে নিয়েছে ওকে বানিয়েছে বখাটে।
আমি বড়ই আশ্চর্য হয়ে গেছি আজকের এই অন্তিকে দেখে।
যাকে ৫বছর আগে দেখেছিলাম এটা সেই অন্তি নয়।
ও নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে আমি আবার নতুন করে ওর প্রেমে পড়ছি আজ।
তারপর জর্জ সাহেব আমাকে মুক্ত করে দিলেন।
অন্তি যাওয়ার আগে আমাকে বলে গিয়েছিল আজ বিকেলে দেখা করতে।
আমি বিকেলে দেখা করতে গেলাম।
ও আমাকে একটা লেটার দিল।
লেটারটা ছিল----
প্রিয় স্বপ্নবালক
তুমি কি বোঝ না আমার এ দু চোখের ভাষা?তোমাকে পাওয়ার জন্যে আমার চোখ, মন ও দেহের প্রতিটি অঙ্গ বেধেছে স্বপ্নের বাসা।
ওহে বালক তুমি হয়তো জানো না, তোমাকে দেখলে বেড়ে যায় আমার বুকের ধুুকধুকুনি।হয়তো তখন আমার হার্টবিট 100bpm পার হয়ে যায়।বালক তুমি হয়তো জানো না আমার শয়নে স্বপনে কাজে সব সময় সব দিকে শুধু তুমি আর তুমি।বালক আমি মনের অজান্তেই তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি।বালক সোনো তোমার প্রেমে পড়েছি এই আমি দোষ হলে ক্ষমা করে কাছে টেনে নিও।
আমি তোমাকে নিয়ে একটা নতুন রাজ্য বানাবো যেথায় থাকবে তুমি আমি আর আমাদের কত গুলো বেব
। মনে রেখো আমি তোমাকে কোন দিন ছেড়ে যাব না।থাকবো তোমার পাশে সারা জীবন। তুমি দেবে না আমায় সেই সুযোগ??
ইতি
তোমার প্রেম প্রত্যাশী
অন্তি

আমি মনে মনে পুলকিত।কিন্তু ও আমার চিঠির নকল করলো কেন।
আমি বললাম---না এটা সম্ভভ না।
---কেন?
---কি আছে তোমার?
---কি নেই আমার?
---বুদ্ধি।
--- কি?
---হ্যা যে মেয়ে নিজের বুদ্ধি দিয়ে একটা লেটার লিখতে পারে না তাকে কি করে ভালবাসবো? আর যাচ্ছি তোমার বাবার কাছে এটা দেখাতে
---যেতে দিলে তো যাবে
বলেই ও আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
আমি আর ছাড়ানোর চেস্টা করিনি কারণ আমিও ওকে ভালবেসে ফেলেছি।
---সমাপ্ত--

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Hi! I am a robot. I just upvoted you! I found similar content that readers might be interested in:
https://www.ustream.tv/HowTo

Nice site ......thanks for shearing