আসসালামু আলাইকুম।
কাছের দূরের মানুষ গল্পের পাঠ ১
কেবল বাজে সকাল ১০ টা। আমাদের গল্পের নায়ক আবির তিনি এখনো পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছেন। সারারাত ধরে গেমস খেলে ক্লান্ত তিনি, এবং তার মা ক্লান্ত আবিরকে ডাকতে ডাকতে। সকল মায়েদের মতো আবিরের মায়ের ও একটা মাধ্যম আছে ছেলেকে ঘুম থেকে উঠানোর আর তা হলো ফেন বন্ধ করে দেওয়া। অতিরিক্ত গরমের কারণে আবিরের আর ঘুম টিকে না। চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে বসে।
এবার আমাদের নায়কের বিষয়ে যানা যাক। নাম তার আবির, বাবা মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান। ছেলে আবার লাখে একটা। এতো গুন তার মধ্যে যে বলে শেষ করা যাবেনা। পড়াশোনা তে গোল্লা, না পারে কোন খেলাধুলা, না দেখতে সুন্দর, সারাদিন শুধু মোবাইল চালানো তার কাজ, বেশি বন্ধু নেই তার তবে যেগুলো আছে সেগুলো এক একটা বজ্জাতের হাড্ডি। সব সময় আলসেমি করাই তার মুল লক্ষ্য। এক কথায় কোন কাজের না😁
যাই হোক ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখে তার স্কুল শুরু হতে মাত্র ১০ মিনিট বাকি। নাকে মুখে হাত মুখ ধুয়েই না খেয়ে দোর দেই স্কুলের দিকে। স্কুল বাসার কাছে হওয়ায় তারা তারি পোঁছে যায়, কিন্তু লাভ কি হলো তাতে। পিটি শুরু হয়ে গিয়েছে গেট ও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আজকেউ তাকে আাবার বকা শুনতে হবে হেড স্যারের কাছে।
পিটি শেষ হওয়ার জন্য আবির অপেক্ষা করতে লাগলো স্কুলের সামনে বসে।
আমাদের নাইকা এর নাম হলো সানজিদা। এক কথাই বলতে গেলে সকলের চোখের মণি। মেয়ে পড়াশোনার দিক থেকে যেমন ভালো তেমনি অন্যান্য কাজেও তার পরিশ্রম থাকে অনেক। বাসার সবাই মা,খালা,নানা,নানি,মামা,কাকা ইত্যাদি তাকে মাথায় তুলে রাখে, প্রথম মেয়ে বলে কথা।
এখন প্রশ্নে হলো এই দুইজন একে অপরের সাথে মিলবে কিভাবে
একটা কথা বলে রাখা ভালো [ আবির কিন্তু সানজিদা কে আগে থেকেই ভালোবাসে আর এদিকে সানজিদা আবিরকে পাত্তাই দেই না ]