পরিবারের বড় ছেলে যে কেনো হলি তুই... বড় ছেলে না হলে বেঁচে যেতি অনেক দায়িত্ব থেকে"
'বন্ধু নীলের কথা শুনে আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে নিরব হাসলাম।
'তুই হাসছিস কেনো?
আমি বললাম পরিবারের বড় ছেলে হয়েছি বলেই নিজ দায়িত্বে মা বাবার জন্য দিন রাত খেঁটে তাদেরকে সেবা করার সুযোগ পাচ্ছি। পরিবারের বড় ছেলে বলেই ছোট ভাই দুটোকে পড়াশোনা করিয়ে সমাজের মুখ থেকে বাহবা পাচ্ছি। এই সৌভাগ্য কয়টা ছেলের জুটে বলতো?
বাসায় ঢুকতেই দেখলাম মা বারান্দায় মোমবাতি জ্বালিয়ে বসে আছে আমার জন্য। আমি সামান্য একটা চাকরি করি। বাবা কয়েকদিন আগে এক্সসিডেন্টে একটা পা হারায়। মা অনেক বার কাজ করবে বলেছিলো আমি করতে দেয়নি।
"বাপ আইছোস?
" হো আম্মা। তুমি ঘুমাওনাই?
"তোরে না খাওয়াইয়া আমি কোনোদিন ঘুমাইবার গেছি?
" সবাই খাইছে?
"আমি কথাটা বলতেই দেখলাম আমার দুইটা ছোট ভাই চুপচাপ মসথা নিচু করে আমার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। বাবাও এসে দাঁড়িয়েছে। তখন বুঝলাম কেউ খায়নি। আমি না আসা অব্দি কেউ কখনো খেয়ে ঘুমাইনা। আমি বললাম, " আম্মা বেগুন ভাজা আর শুঁটকির ভর্তা দিয়া ভাত ভারো। সবাই জমিয়ে খাবো। ভাই দুটো জড়িয়ে ধরলো আমায়। আম্মার মুখে স্নিগ্ধ হাসি। বাবার চোখে আনন্দের অশ্রুকণা। এইগুলোর চেয়ে বড় উপহার একটা ছেলের জীবনে কিইবা হতে পারে!