প্রতিদিনের মতো রিফাত মাঠের রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিল। সে প্রতিদিন বিকাল হলেই বাড়ি থেকে বের হয়ে মাঠের এই রাস্তায় চলে আসে। ওর নিরিবিলি জায়গা খুবই ভালো লাগে। ও যখনই সময় পাই তখনই একা একা মাঠের এসব নিরিবিলি জায়গায় ঘুরে বেড়ায় আর প্রকৃতিকে উপভোগ করে। প্রতিদিন স্কুল শেষে বাড়ি এসে খাওয়া দাওয়া করে রেস্ট করে বিকেলে বের হয়ে যায় মাঠের রাস্তার দিকে। ওর বন্ধুরা খেলার মাঠে খেলা করে, কিন্তু ও মেঠোপথে হাটাহাটি করে প্রকৃতিকে উপভোগ করে।
এরকম একদিন হাঁটতে হাঁটতে ও একটি আখ ক্ষেতের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। যেতে যেতে ও শুনতে পেল আঁখ ক্ষেতের ভেতরে কিসের যেন শব্দ হচ্ছে। শব্দটি ঠিক যেন কোন কিছুর অনেক জোরে নড়াচড়ার মত। শব্দটি পেয়ে ও চিন্তা করল ভেতরে গিয়ে দেখবে কিনা। তখন বিকাল প্রায় শেষের দিকে সন্ধ্যা প্রায় হয়ে এসেছে। আশেপাশে কোন লোকজনও ছিল না। ও চিন্তা করলো একেবারে ভেতরে না গিয়ে একটু খানে গিয়ে ওকে দিয়ে দেখার। কয়েকটি আখের গাছ খেলে ভেতরের দিকে গিয়ে একটু উঁকি দিল। ওকে দিয়ে যা দেখল সেটা দেখে কিছুটা ভয় বিস্মিত হল।
রিফাত দেখল ইয়া বড় এক মোটা তাজা শিয়াল আখ ক্ষেতের ভেতরে কোন একটি দড়ির সাথে আম গাছের সাথে শিয়ালটির পা পেঁচিয়ে গেছে। সেই পা অনেকক্ষণ ধরে জোরে জোরে ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলে চারিদিকে এরকম ঝটপট শব্দ হচ্ছে। কিন্তু পিছনের দুটি পা এমনভাবে দড়ির সাথে এবং আঁক গাছের সাথে পেঁচিয়ে আছে যে সে ওই দুটোকে কোনভাবেই ছাড়াতে পারছে না। রিফাত তোর থেকে ওকে দিয়ে দেখছিল আর চিন্তা করছিল কি করবে। কারণ শিয়ালটি অনেক বড় সাইজের এবং দেখতেও বেশ ভয়ানক। আবার তার সাথে আশেপাশে কেউ নেই।
চলবে...