"কুয়াশার নগরীতে - প্রথম পর্ব"
শীতের সকাল। চারপাশে কুয়াশার চাদর যেন পুরো নগরটাকে ঢেকে রেখেছে। এই নগরটি ছিল সাধারণের চেয়ে অনেকটাই আলাদা। গাছের পাতা থেকে শুরু করে প্রতিটি ইট, প্রতিটি ঘর কুয়াশার আড়ালে যেন ঢাকা পড়ে গেছে। দূরের কিছুই দেখা যায়না । শীতের কামড় আর কুয়াশার গর্জন যেন নগরবাসীদের ঘর থেকে বেরই হতে দেয় না।
তবে ছোট্ট ছেলেটি, নাম রনি, আজকের সকালটা একেবারে আলাদা ভাবে দেখছিল সে। ওর যেন মনে হচ্ছিল, কুয়াশার পেছনে কোথাও একটা রহস্য লুকিয়ে আছে। হয়তো কোনো গোপন পথ, কোনো অজানা জগত বা ঠিকানা। তাই সে মায়ের আপত্তি সত্ত্বেও সোয়েটার টা গায়ে জড়িয়ে বেরিয়ে পড়লো।
রনি ধীরে ধীরে হাঁটতে লাগল। কিছুদূর এগিয়ে গেলেই কুয়াশার মধ্যে থেকে রহস্যময় আওয়াজ শুনতে পেল সে। একটা মৃদু মিষ্টি সুর যেন ভেসে আসছে। আওয়াজটা অনুসরণ করে রুমি এগিয়ে গেল, কিন্তু সামনে কিছুই দেখা যাচ্ছে না সামনে। কুয়াশার ঘনত্ব যেন আরও বেড়ে গেছে। হঠাৎ তার সামনে এসে দাঁড়াল একটি ছোট্ট পাথরের পথ। এই পথ তো সে আগে কখনো দেখেনি এখানে!
রনি সেই পথ ধরে হাঁটতে লাগল। কিছুক্ষণ পর একটি বিশাল বাগানে পৌঁছালো সে। বাগানটি সুন্দর ফুলে ভরা, কিন্তু সেই ফুলগুলো একেবারেই যেন অচেনা তার। রঙ-বেরঙের আলোয় যেন ঝলমল করছে পুরো জায়গাটি। রনি কিছুটা অবাক হলো, এত সুন্দর বাগান সে আগে কখনো দেখেনি।
কিছুক্ষণ হাঁটার পর রুমি দেখতে পেল, বাগানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে এক বৃদ্ধ লোক....
চলবে...