গভীর রাত। গ্রামের শেষ প্রান্তের এক পুরানো বাড়ি। লোকমুখে শোনা যায়, সেই বাড়ির ভেতর একটা অলৌকিক আগুন জ্বলে, যা কোনোদিন নেভে না। সেই আগুন নিয়ে গ্রামের মানুষদের মনে নানা ভীতি আর কৌতূহল রয়েছে।
সাকিব, শহর থেকে আসা এক যুবক, গ্রামের মানুষদের এই গল্প শুনে হাস্যকর ভাবে। সে চ্যালেঞ্জ করে, এই কথিত ভৌতিক আগুনের রহস্য সে উদঘাটন করবে। এক রাতে, সে একা একা সেই পুরানো বাড়ির দিকে পা বাড়ায়। বাড়ির সামনে পৌঁছাতেই তার চোখে পড়ে, বাড়ির ভেতর থেকে হালকা একটা লালচে আলো দেখা যাচ্ছে।
দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে সে দেখতে পায়, একটা পুরানো কক্ষে মেঝের ঠিক মাঝখানে একজায়গায় আগুন জ্বলছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, আগুন থেকে কোনো ধোঁয়া নেই, আর আগুনের তাপে কোনো কিছু পুড়ছেও না। সাকিব কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে হঠাৎ করে বুঝতে পারে, এই আগুন সাধারণ কোনো আগুন নয়।
সে চারপাশে তাকিয়ে দেখতে পায়, ঘরের দেয়ালে কিছু পুরানো পাণ্ডুলিপি ঝোলানো আছে। সে এগিয়ে গিয়ে একটি পাণ্ডুলিপি হাতে নেয়। পাণ্ডুলিপিটি খুলতেই তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে কয়েকটি প্রাচীন মন্ত্র, যা এই আগুনকে চারদিক থেকে বেঁধে রেখেছে। সৌম্য দ্রুত মন্ত্রগুলো পাঠ করতে শুরু করে।
মন্ত্র শেষ হতেই, আগুন এক মুহূর্তের জন্য জ্বলে উঠে আবার দপ করে নিভে যায়। ঘরটিতে আর কোনো আলো ছিল না, শুধু সৌম্যের হাতে থাকা পাণ্ডুলিপিটির ম্লান আলো ছাড়া।
সাকিব ফিরে আসে, গ্রামের মানুষদের জানায় যে ভৌতিক আগুন আর নেই। গ্রামের মানুষদের মন থেকে ভয় দূর হয়, কিন্তু সাকিন জানে, সে এক রহস্যের মুখোমুখি হয়েছে, যা কেবলই শুরু।
সাকিব বুঝতে পারে, এই আগুন আসলে এক প্রবেশদ্বার ছিল এক অন্য জগতের, যা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু তার মধ্যে কৌতূহল জাগে, সেই জগতের অন্য রহস্যগুলো কী হতে পারে। আর সেই কৌতূহলই তাকে পরবর্তী অভিযানে নিয়ে যায়।