একটি ছোট্ট গ্রামে একদিন আকাশে একটি রংধনু দেখা দিলো। সেই রংধনুটি ছিলো অনেক সুন্দর। গ্রামের সবাই মুগ্ধ হয়ে রংধনুর দিকে তাকিয়ে দেখলো। ছোট্ট মেয়ে কলি, তার বাবার হাত ধরে দাঁড়িয়ে রংধনুর দিকে তাকিয়ে ছিলো। সে তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করল, "বাবা, এই রংধনু এত সুন্দর হয় কিভাবে?"
বাবা হাসিমুখে উত্তর দিলেন, "রংধনু আসলে সূর্যের আলো আর বৃষ্টির ফোঁটার খেলা। সূর্যের আলো যখন বৃষ্টির ফোঁটায় ভেঙ্গে যায়, তখন সাতটি রঙ তৈরি হয়ে ওঠে। এই রংগুলো মিলেই রংধনু তৈরি করে।"
তুলি ভাবল, "রংধনু তো সত্যিই জাদুর মতো!"
সে সিদ্ধান্ত নিলো, একদিন সে বড় হয়ে রংধনুর মত সুন্দর কিছু বানাবে।
সেই দিন থেকে তুলি তার স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে চলতে লাগলো। সে ছবি আঁকতে শুরু করল এবং তার সব ছবিতেই রংধনুর সাতটি রঙের ব্যবহার করত। দিন দিন তার আঁকা ছবির প্রশংসা বাড়তে লাগল। একদিন সে একটি বড় প্রদর্শনীতে তার আঁকা ছবি দেখানোর সুযোগ পেয়ে গেলো। তার আঁকা ছবিতে রংধনুর রঙের ঝলকানি দেখে সবাই মুগ্ধ হয়ে গেলো।
কলি বুঝল, তার ছোট্ট স্বপ্ন ধীরে ধীরে বাস্তব হয়ে উঠেছে। তার মনে হল, রংধনু শুধু আকাশেই নয়, আমাদের মনেও রঙিন স্বপ্নের জাদু ছড়িয়ে দেয়।
এভাবেই তুলি তার রংধনুর মতো রঙিন স্বপ্নের পথে সাফল্যের সাথে চলতে থাকল, আর গ্রামের সবাই তার সাফল্যে খুশি হলো।