শুধু তোমাকে নিয়ে কল্পনা করি - আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার ফটোগ্রাফি।। পর্ব-148

আসসালামু আলাইকুম।। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুব ভালো আছি।।

আজকে আমার লেখা, "শুধু তোমাকে নিয়ে কল্পনা করি" নামক গল্পের 148 তম পর্ব।।

হয়, একজন শাণিত ব্যক্তিত্ব হন্টন করছে। অনুভূতিটা মূল্যবান। আসলে বাঁচতে হলে এমন করেই বাঁচা উচিত। স্টাইল থাকবে, ক্যারেক্টার থাকবে, থাকবে গুরুত্বপূর্ণতার পুরো ছাপ তার চলায়-ফেরায় বলনে-কথনে। হাস্যে-লাস্যে।
সে আবার আয়নায় নিজেকে দেখল। তাকে কার মত দেখাচ্ছে? নাজিমের মত ময় নিশ্চয়ই। তবে কি বিল ক্লিনটন-এর মত, নাকি লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিয়োর মত? হঠাৎ নাজিমের মনে হল জ্যোতি বসুর পোশাক তার খুব ভাল লাগত। না ঠিক পোশাক নয়। জ্যোতি বসুর চেহারাটিকে ভাল লাগত। কেন? সে ধুতি-পাঞ্জাবির জন্য? চেহারার জন্য? তুমি যখন বড় হয়ে যাও, তখন তোমার পোশাকে কিছু যায় আসে না। তুমি যখন ছোট, তখন পোশাক দিয়ে তোমাকে প্রমাণ করতে হয় তুমি ছোট নও, বড়, কেউকেটা, দারুণ মূল্যবান মানুষ।

• আলী।

For work I use:

---

মোবাইল	Iphone 14 Pro Max
ফটোগ্রাফার	@uncommonriad
লোকেশন	কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

কোন জবাব নেই।
সুন্দর করে সুরেলা কণ্ঠে ডাকলে সঙ্গে সঙ্গে দরজার পর্দার আড়ালে এসে দাঁড়ায়
আলী, বলে, স্যার? নাজিম আবার ডাকল, আলী?
ইংরেজিতে সে আদেশ করল, ভিতরে প্রবেশ করো।
আলী ভিতরে ঢুকল, বলল, স্যার।

For work I use:

---

মোবাইল	Iphone 14 Pro Max
ফটোগ্রাফার	@uncommonriad
লোকেশন	কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

আলী যে ভিজা বেড়ালের চেহারা নিয়ে নাজিম ও সিরাজের সামনে উপস্থিত হয় সেটা তার আসল চেহারা নয়। তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় যে গলা ব্যবহার করা হয় সেটিও তার আসল গলা নয়। একটু অতিরিক্ত মাত্রায় চতুর এবং বেয়াড়া। আড়ালে, অসাক্ষাতে তাদের সে ভ্যাংচায়, তাদের নিয়ে হাসাহাসি করে, বিদ্রুপ করে, এটা বোঝা যায়। সামনের বাড়ির দোতলার যুবতী বুয়া সাবিহার সঙ্গে এমনি যখন সিরাজকে নিয়ে রঙ্গ করছিল একদিন, তখন নাজিম তা দেখেছে ও শুনেছে। আর তার এই দেখা ও শোনাকে আলী লক্ষ্য করে ফেলেছিল। কয়েকদিন আলী ভয়ে ভয়ে ছিল, নাজিম স্যার বোধ হয় সিরাজ স্যারকে বলে দেবে এবং তার চাকরি যাবে। তার কিছুই যখন হয়নি তখন অন্তত নাজিমের প্রতি তার কিঞ্চিৎ আনুগত্যের ভাব হলো। এখন নাজিম যে জন্য আলীকে ডেকেছিল তা ওকে বলবে কি না ঠিক করতে পারছে না। স্যুটে তাকে কেমন দেখাচ্ছে, এটা আলীর মত জনকে জিজ্ঞেস করলে একটু লাই দেওয়া হবে।
নাজিম ওর দিকে তাকাল, প্রশ্ন করল, বিরাম কবে ফিরবে, জান?

• না স্যার।
  আবার প্রশ্ন করে নাজিম, তোমার ঘড়িতে এখন কয়টা বাজে। ঘড়ি দেখে সে জবাব দিল, সাতটা তেইশ মিনিট।
  সরকারি অফিস কয়টার সময় শুরু হয়, কোন আইডিয়া আছে?

গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ❤

This is original content by @uncommonriad. Thank you so much to visit my blog. Stay with me and get more post about travel, photography, life, story, love, technology and motivation etc. Please upvote, comment and resteem my post. Again thank you so much.