শুধু তোমাকে নিয়ে কল্পনা করি - আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার ফটোগ্রাফি।। পর্ব-70

আসসালামু আলাইকুম।। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুব ভালো আছি।।

আজকে আমার লেখা, "শুধু তোমাকে নিয়ে কল্পনা করি" নামক গল্পের 70 তম পর্ব।।

পানিতে ডুবিয়ে উঠিয়ে রেখেছে। মুশারফ বলল, ইউসুফ আমিন সরকারি চাকরি করত। মোটামুটি বড় চাকরি। রিটায়ার করেছে এই বছরই। গার্মেন্ট আছে বউয়ের নামে। এক্সপোর্ট ইমপোর্টের আরও কি কি ব্যবসা যেন আছে। প্রচুর টাকা আছে। এখন তো আম্মা, সমাজে যাদের টাকা আছে, তাদের সব আছে। সে টাকা কেমন করে আসে, থাকে, কেউ আর খবর নেয় না। টাকা আছে, এই সংবাদটি যথেষ্ট। যাদের টাকা আছে তাদের ক্ষমতা আছে, প্রভাব আছে, প্রতিপত্তি আছে।
তাইয়েবা বলল, কি করতে চাস তুই তাহলে?
থানায় একটা এজাহার দিতে হবে।
নাজিম সংসারের কাউকে পছন্দ করে না, কারও কোন কাজ সে ভাল চোখে দেখতে পারে না। তার কেবল এক কথা, এই দেশে ভাল মানুষের জায়গা নেই।

For work I use:

---

মোবাইল	Iphone 14 Pro Max
ফটোগ্রাফার	@uncommonriad
লোকেশন	কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

নাজিম বলল, আব্বা ভাল মানুষ ছিলেন দেখলে তো কি হল! একটা লোক পাজেরো জীপটা তার ওপর দিয়ে চালিয়ে গেল, একবার ফিরেও তাকাল না, লোকটা বেঁচে আছে না মরে গেছে তা দেখার জন্য। আব্বার মত ভাল মানুষ গাড়ি চাপা পড়ে, তারা লেখাপড়া শিখেছিল তো! আর যারা পাজেরো জীপ চালায়, তারা গাড়ি চাপা দেয়, মানুষ খুন করে। মুনির পাজেরো চালাত, সে নিজের বউ রিমাকে খুন করেছিল।
শিরীন বলল, কিন্তু তার তো ফাঁসি হয়েছিল।
নাজিম কথাটা উড়িয়ে দেয়, বিচার হয়েছিল কারণ রিমার পক্ষে সমস্ত দেশ চলে গিয়েছিল। সবার ক্ষেত্রে এরকম হয় না শিরীন। এই যে আব্বা চলে গেল, একটা মামলা করতে যে টাকা লাগবে সেটা কে দেবে? কেউ দেবে? আর ইউসুফ আমিন? ও গুঁড় ছিটাবে, সব চামচে পিঁপড়ার মত সার বেঁধে তার কাছে যাবে।

For work I use:

---

মোবাইল	Iphone 14 Pro Max
ফটোগ্রাফার	@uncommonriad
লোকেশন	কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

মুশারফ বলল, তাহলে কিছুই করব না? আব্বাকে একটা লোক গাড়ির চাকার তলায় পিষে চলে গেল, আমরা যেমন খাচ্ছিলাম, দাচ্ছিলাম, হাসছিলাম, গল্প করছিলাম, তাই করে যাব?
তাইয়েবা বললেন, যা কপালে আছে তা হবে। আইনের পথে যাবে তোমরা। নাজিম মুখ বিকৃত করে, আইন! আইন আছে নাকি দেশে!

• না থাক, তবু সে পথে না গিয়ে আমাদের উপায় নেই।
  গেটের বাইরে ইনু অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল। কাকে ডাকবে সে ঠিক করতে পারছিল না। মুশারফকে কি ডাকবে? মুশারফ, মুশারফ ভাই? নাজিমকে ডাকবে? মহিলাকে? মা বলে দিয়েছে। ওকে মামি ডাকবি। ভদ্রলোক আমাকে 'বোন' ডেকেছিলেন। মামি ডাকতে তার লজ্জা করছে। আর শিরীনকে ডাকার কোনো প্রশ্নই উঠে না।
  সে জোরে একটা গলাকাশি দিল।....

গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ❤

This is original content by @uncommonriad. Thank you so much to visit my blog. Stay with me and get more post about travel, photography, life, story, love, technology and motivation etc. Please upvote, comment and resteem my post. Again thank you so much.