শুধু তোমাকে নিয়ে কল্পনা করি - আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার ফটোগ্রাফি।। পর্ব-74

আসসালামু আলাইকুম।। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুব ভালো আছি।।

আজকে আমার লেখা, "শুধু তোমাকে নিয়ে কল্পনা করি" নামক গল্পের 74 তম পর্ব।।

স্বাধিকার আন্দোলন। এপ্রিল মাসে আমিনুদ্দিন তাদের বাড়িতে এসেছিল। দেশ স্কায়েকদিন থেকেও ছিল। সেই সময় সমর্থ সমস্ত জোয়ানদের পাক আর্মির লোক ধরে কবে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন একদিন গভীর রাতে গ্রামের কয়েকটি ছেলের সঙ্গে আমিনুদ্দিনও অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। এরপর আমিনুদ্দিনের সঙ্গে মেরীর আর দেখা হয়নি। ১৯৭২ সনের ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখে সকাল বেলা ইনু নিঃশব্দে ভূমিষ্ঠ
হয়। এরপর ১৯৭৩ সনের শেষ দিকে আমিনুদ্দিনের কাছ থেকে রেজিস্ট্রি ডাকে একটা চিঠি আসে। চিঠির ভাষা সংক্ষিপ্ত। এছাড়া আমার আর কোন উপায় ছিল না। চিঠির সঙ্গে ডিভোর্সের কাগজ। ১৯৭৮ সনে ছয় বছরের ইনুকে নিয়ে মেরী ঢাকা চলে আসেন। ১৯৭৯ সনে মেরীর আব্বা মারা যান।

For work I use:

---

মোবাইল	Iphone 14 Pro Max
ফটোগ্রাফার	@uncommonriad
লোকেশন	কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

ইতিমধ্যে আমিনুদ্দিন বড় চাকরি পেয়েছে। বিয়ে করেছে বড় অফিসারের মেয়েকে। ভারতে এই পরিবারের সঙ্গে একই বাড়িতে তারা আশ্রয় নিয়েছিল। চাকরি পাওয়ার পেছনে তার নতুন শ্বশুরের প্রভাব প্রতিপত্তি বড় ভূমিকা রেখেছিল। আমিনুদ্দিন এফিডেভিট করে নাম পরিবর্তন করে ইউসুফ আমিন হয়েছে। তার একটা কেরিয়ারের দরকার ছিল, তার ওপরে ওঠার প্রয়োজন ছিল, আর তার জন্য যা যা করা দরকার তার সব করতে সে সর্বতোভাবে তৈরি ছিল। আসলে আমিনুদ্দিনের দোষ নেই। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য সবাই সুযোগের অপেক্ষা করে। আর তা এলেই তা লুফে নেয়। বৃহত্তর স্বার্থ ও প্রয়োজনের কাজে দুর্নীতি, চক্ষুলজ্জা, দুর্নাম এসব জিনিস তুচ্ছ হয়ে যায়। মেরী প্রশ্ন করলেন, তুই কি মনে করিস ইনু, ওর কাছে তোর একবার যাওয়া দরকার?
যাবো? একটা ধাক্কা খেয়ে জেগে ওঠে ইনু, জোরে বলে ওঠে, না। কেন মা? কেন

For work I use:

---

মোবাইল	Iphone 14 Pro Max
ফটোগ্রাফার	@uncommonriad
লোকেশন	কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

কেন যাবো? কেন যাবো? সম্ভবত যে তার অস্তিত্বের কথাই জানে না তার কাছে কেন যাওয়া?
মেরী বললেন, যাওয়া বোধ হয় দরকার। এরা মামলা মোকদ্দমা করছে, এটা আগে থেকে জানা থাকলে ওর জন্য ভাল হবে।
ইনু বলল, উনি খুব শক্তিশালী মানুষ মা। তার অনেক প্রতাপ, অনেক টাকা। তার কোন অসুবিধা হবে না। ....., হ্যাঁ মা, জান, গাড়িতে ওর সঙ্গে ওর পাশে একজন মহিলা ছিলেন।
তার স্ত্রী?

• না মা। অন্য কেউ।
  একটু থেমে বলল, একজন ক্যামেরাম্যানও ছিলেন। ক্যামেরাম্যান নাকি........

গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ❤

This is original content by @uncommonriad. Thank you so much to visit my blog. Stay with me and get more post about travel, photography, life, story, love, technology and motivation etc. Please upvote, comment and resteem my post. Again thank you so much.