ছোটবেলা থেকে লেখালেখি করতে অনেক ভালো লাগে সেই সুবাদে আপনাদের জন্য একটি গল্প লিখলাম যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই চালিয়ে যাব.....
মিতা মামার বাড়ি থেকে পড়াশোনা করতো।নবম শ্রেনীতে উঠার পর মিতার বিয়ে হয়ে যায়।মিতা শশুড় খুব নামকরা
ধনী এবং জমিদার পুত্র বলে এলাকায় তার একটা আলাদা
কদর আছে।স্কুল কমিটির সদস্য মিতার শশুড় তাই মিতা
ঐ স্কুলে ক্লাস করার সুযোগ পেলো কিন্তু মিতার পূর্বের স্কুল
থেকে টি সি আনতে হলোনা।মিতা খুব ভালো ছাত্রী ছিলো,
নাচে,গানে,বিতর্ক প্রতিযোগিতা সমান ভাবে পারদর্শী। মিতা তার আগের স্কুলও ছেড়া দিলোনা।পরীক্ষার সময় হলে মিতা তার স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দিতো।এস এস সি পাশ করলো,তারপর ডিগ্রি পাশ করলো এভাবে কেটে গেলো প্রায় তেইশ বছর।হঠাৎ মিতা খবর পেলো তার বড় মামা আর বেচে নেই। কথা টা মিতার কাছে আকাশ ভেঙে পরার মতো মনে হচ্ছিল কারণ মিতার বড় মামা মিতাকে বড্ড ভালোবাসতেন। সেদিন ছিলো হরতাল কঠিন হরতাল।
পায়ে হেটে খানিক পথ রিক্সা চেপে চল্লিশ মিনিটের পথ প্রায় তিন
ঘন্টা লেগে গেলো মামা বাড়ি পৌঁছাতে।দাফন শেষে সবাই
বসলো চারদিন পর মিলাদ পড়ানো হিসাব নিয়ে। যাহোক
চারদিন পর মিলাদের অনুষ্ঠানে মিতা উপস্থিত হলো।অনেক আত্মীয় স্বজনরা আসছে সেই অনুষ্ঠানে বিশাল আয়োজন।
সব মেহমানরা খাওয়ার পর মিতা ওর মামীদের এবং মামাত ভাই বোনদেন নিয়ে খেতে বসছে।মিতা সামনের দিকে তাকিয়ে দেখে ওর দিকে আসছে প্রিন্স ভাইয়া।প্রিন্সের সাথে
প্রায় তেইশ বছর পর দেখা।এক গাল মিষ্টি হাসি দিয়ে প্রিন্স বলে,কেমন আছো মিতা,আমায় চিনতে পেরেছ।মিতা মুখের
দিকে তাকিয়ে বলে,হুম ভালো আছি,চিনতে পারবোনা কেন
আপনি প্রিন্স ভাইয়া। কেমন আছেন আপনি। ভালো আছি
মিতা,আমি তো ইন্জিনিয়ারিং পাশ করার পর কানাডায় চলে গিয়েছিলাম এখন ওখানেই স্যাটেল হয়েছি।তারপর অনেক কথা প্রিন্সের সাথে।প্রিন্স মিতাকে বলে,মাহফুজ এর সাথে কি তোমার কোন যোগাযোগ হয়।মিতা দীর্ঘশ্বাস ফেলে
বলে না।ওদের কোন ফোন নাম্বার আমার কাছে নেই। প্রিন্স
ভাইয়া আপনার কাছে কি কাকলী বাবলী কিংবা মাহফুজ ভাইয়ের কোন নাম্বার আছে কিনা।প্রিন্স কেমন যেন একটা বিদ্রুপ হাসি দিয়ে বললো,তোমার কাছে মাহফুজের নাম্বার
নাই এটা বিশ্বাস হচ্ছে না। সত্যি বলছি ভাইয়া ওদের সাথে আমার বিয়ের পর আর কোন যোগাযোগ নাই। আচ্ছা মিতা আমার কাছে মাহফুজের নাম্বার আছে তুমি নাও।
নাম্বার টা
দেয়ার পর প্রিন্স মৃদুস্বরে বললো,তোমাকে ধরে রাখার ক্ষমতা মাহফুজের হলনা কিন্তু আমাকেও বঞ্চিত হতে হলো,আজ আমার জীবন হয়তো আরও একটু অন্য রকম হতে পারতো তোমাকে পেলে।মিতা নাম্বার টা নিলো কিন্তু প্রিন্সের কথায় কোন মন্তব্য করলোনা। মামার বাসা থেকে ফেরার পরের দিন মিতা, মাহফুজের ফোনে কল করলো।
প্রথম বার রিং হয়ে কেটে গেলো,দ্বিতীয় বার কল রিসিভ করে সালাম দিয়ে বললো কে বলছেন। মিতা সালাম দিয়ে জবাব দিলো আমি মিতা বলছি,কেমন আছেন ভাইয়া। কথাগুলো শুনতে পেলো কিনা মাহফুজ মিতা বুঝতে পারলোনা।মাহফুজ শুধু এতটুকু বললো আমি ব্যস্ত রাউন্ডে আছি রুগী দেখছি
.......................চলবে