সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের নতুন আয়োজন রবিবারের আড্ডা-১৫তম পর্বে। আমরা শুরু হতেই বার বার বলে আসছি আমার বাংলা ব্লগ ব্যতিক্রম কমিউনিটি এবং আমাদের চিন্তাধারাও ব্যতিক্রম, তাই সব ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন নিয়ে আমার বাংলা ব্লগকে সাজানোর চেষ্টা করি। নতুন এই আয়োজনটি নিয়ে আমরা এখনো চিন্তা করছি, কাংখিত ক্ষেত্রে আরো কি কি পরিবর্তন আনা যায়, আশা করছি সময়ের সাথে সাথে কাংখিত পরিবর্তনগুলো ঠিক দেখতে পাবেন।
আমাদের এই আয়োজনটি চারটি সেগমেন্টে ভাগ করা হয়েছে, প্রথম সেগমেন্টে আমরা আমাদের অতিথির সাথে পরিচিত হবো এবং তার নিকট হতে আমাদের পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করবো। এ সম্পর্কে আপনাদের কোন প্রশ্ন বা কিছু জানার আগ্রহ থাকলে সেটা আমরা দ্বিতীয় সেগমেন্টে জানার চেষ্টা করবো। অর্থাৎ আমাদের দ্বিতীয় সেগমেন্টেটি আপনারা যারা দর্শক সারিতে রয়েছেন তাদেরকে নিয়ে। আপনারা নিজেদের কৌতুহল কিংবা আগ্রহ থেকে প্রশ্ন করতে পারবেন এবং সেখান হতে অতিথি নিজে তিনজন সেরা প্রশ্নকারী নির্বাচন করবেন। যাদের জন্য থাকছে বিশেষ পুরস্কার।
এরপর আমার নিজের পছন্দের একটা গান শুনবো, তারপর শুরু হবে তৃতীয় সেগমেন্ট ঝটপট রাউন্ড, এখানে কমপক্ষে পাঁচটি প্রশ্ন করা হবে, অতিথি এক কথায় ঝটপট উত্তরগুলো দেয়ার চেষ্টা করবেন। সবশেষে আমরা যাবো চতুর্থ সেগমেন্টে অর্থাৎ শেষ পর্বে, যেখানে আমরা অতিথির নিকট হতে আমার বাংলা ব্লগের ব্যাপারে কিছু পরামর্শ বা দিক নির্দেশনা শুনতে চাইবো। এই হলো আমাদের রবিবারের আড্ডার টোটাল প্যাকেজ।
আসুন আমরা আমাদের অতিথির নিকট যাই এবং তার সাথে পরিচিত হই, তার সম্পর্কে কিছুটা জানি। স্বাগতম @blacks দাদা, আমার বাংলা ব্লগের সম্মানিত কো-ফাউন্ডার। সংক্ষেপে যদি নিজের সম্পর্কে কিছু বলতেন? তারপর @blacks দাদা তার সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু পরিচিতিমূলক কথা বলেন এবং এরপর আমরা শুরু করি প্রথম পর্বের পাঁচটি প্রশ্ন যা নিচে তুলে ধরা হলো।
15.png
আড্ডা -১৫.png
স্ক্রিনশট ক্রেডিটঃ @alsarzilsiam সিয়াম ভাই
প্রশ্নঃ স্টিমিটে আসলেন কিভাবে?
উত্তরঃ ২০১৭ সালের জুন মাস হতে Blacks দাদা স্টিমিটে কাজ শুরু করেন। তার আগ হতে বড় দাদা কাজ করতেন, মাঝে মাঝে তার রুমে গেলে তখন দাদা বলতেন এটার কথা এবং পোষ্ট করতে, কবিতা, ফটোগ্রাফি এসব পোষ্ট করা যায়। তখন স্টিমের প্রাইজ ছিলো দুই ডলার। তখন দাদা এ সম্পর্কে বুঝাতেন যে, এখানে দশ দেখছো আসলে এটা দশ না বরং এটা আরো দুইগুন বেশী হবে, তখন এ সম্পর্কে তেমন কোন আগ্রহ ছিলো না কারন পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। এর মাঝে হঠাৎ একবার স্কুলের পরীক্ষা চলাকালীন সময় মাত্র তিনটি পরীক্ষা দিতে পেরেছিলাম তারপর বাড়ীতে ছিলাম অসুস্থতার কারনে। তখন বেশ সময় ছিলো হাতে এবং একটু হতাশও ছিলাম কি করা যায় এটা নিয়ে। তখন বড় দাদা আবারও এখানে কাজ করতে বলেন, তখন আইডি খোলার সিদ্ধান্ত নেন এবং কি নামে আইডি খুলবেন? নাকি নিজের নাম দিবেন? এসব দিধাদ্বন্ধে হুট করে মাথায় আসে Blacks, তখন কোন অর্থ কিংবা চিন্তা না করেই এই নামটা দিয়ে আইডিয়া খোলেছিলাম।
তারপর পোষ্ট করা শুরু করলাম ফটোগ্রাফি দিয়ে এবং এরপর কবিতা লেখা। আমার কবিতা লেখার শুরুটা এখান হতেই। তখন দিনে তিন/চারটে পোষ্ট করতাম, আর দিনে তিন/চারটে পোষ্ট করতে গেলে টপিকস এর প্রয়োজন, কনটেন্টস এর প্রয়োজন। তখন চিন্তা করলাম, একটা ফটোগ্রাফি, একটা কবিতা, একটা জেনারেল কনটেন্ট। এসব চিন্তা হতেই তখন কবিতা লেখার চেষ্টা শুরু করা হয়। কবিতাটা মূলত স্টিমিটের জন্যই লেখা শুরু করা হয়। এমনি কোন সাহিত্য কিংবা প্রেম-ট্রেম হতে না। তারপর আস্তে আস্তে ভালো লাগা কাজ করতে শুরু করে, তখন অবশ্য এই রকম কমিউনিটি ছিলো না, তখন পোষ্ট পড়ে দেখা আর কমেন্ট এনগেজমেন্ট ছিলো, আর কনটেন্টগুলো ট্যাগ সিস্টেম ছিলো যদিও অতো বেশী জনপ্রিয় ছিলো না এটা।
প্রশ্নঃ বিউটি অব ক্রিয়েটিভিটি কমিউনিটি খোলার উদ্দেশ্য কি ছিলো?
উত্তরঃ বিউটি অব ক্রিয়েটিভিটি কমিউনিটি খোলার সময় তেমন কোন উদ্দেশ্য ছিলো। আসলে যখন স্টিমিটে কমিউনিটি সিস্টেম আসলো, যদিও কমিউনিটি সিস্টেম আসার পর স্টিমিটের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিলো না। আমাদের পরিচিতি এক দিদি করোনাকালীন সময়ে চাকুরী হারিয়ে কিছুটা হতাশায় ভোগতে থাকেন। তখন বড় দাদা উনাকে এই প্লাটফর্মের কথা বলেন এবং তিনি এখানে কাজ শুরু করেন। তখন তিনি তেমন কিছুই বুঝতেন না, মাঝে মাঝে এসে এটা-ওটা জানতে চাইতেন। তখন তিনি বার বার আমাকে বলতেন দাদা একটা কমিউনিটি খোলে দিলে কাজ করতে সুবিধা হতো। তখন এসব নিয়ে অতো বেশী টাইম দেয়ার সুযোগ ছিলো না, তাই আর কমিউনিটি খোলার আগ্রহ দেখাই নাই। কিন্তু সেই সময় দিদি অন্য কারো সাথে যোগাযোগ করে একটা কমিউনিটি খোলেন এবং আমাকে সেখানে কাজ করতে অনুরোধ করেন।
তখন আমি সেখানে কাজ করতে শুরু করি, যেহেতু আমাদের নিজেদের সাপোর্ট ছিলো। পরে ইউংলেস সহ আরো কয়েকজন বন্ধুকে সেখানে কাজ করতে বলি। কিন্তু তখন উনি ইউংলেসসহ অন্যদের পোষ্ট নমিনেশনে পাঠাতেন না, তারা ভোট পেতো না এবং তারা আমাকে অভিযোগ করতো। তখন আমি বলতাম আসলে জিনিষটা খুব খারাপ। এরমাঝে একদিন বাড়ীতে ছিলাম, বেশ সময় হাতে ছিলো আর ল্যাপটপও সম্মুখে ছিলো, হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই ডলার খরচ করে এই কমিউনিটি খোলে ফেলি। অবশ্য কি নাম দিবো সেটা নিয়ে চিন্তা করে কিছু বের করতে পারি নাই, যেহেতু এখানে ক্রিয়েটিভিটি শো করা হয় এবং কাজের মাধ্যমে বিউটি উপস্থাপন করা হয়, তাই নাম দিলাম বিউটি অব ক্রিয়েটিভিটি। তারপর মডারেটর খোঁজতে শুরু করলাম, যেহেতু ঐ সময়ে তেমন কারো সাথে কানেক্টিভিটি ছিলো না। তখন সীমা রায়কে বললে উনি ডিনাই করেন, কিন্তু তাকে দায়িত্ব দেয়া হয় কমিউনিটির নাম ভিবিন্ন চ্যানেলে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য। তারপর আমিও প্রমোশন করলাম এবং প্রথম দিয়েই বেশ সাড়া পেলাম ২৫-৩০ জনের মতো সদস্য হয়ে গেলো।
তারপর আস্তে আস্তে সবাই আসতে লাগলো এবং পোষ্ট সংখ্যা বাড়তে থাকলো। তারপর হঠাৎ একদিন ইন্দোনেশিয়ান ইউজার আব্দুল ওয়াহাব মডারেটর হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে এবং তখন ইন্দোনেশিয়ান প্রচুর ইউজার স্টিমিটে এ্যাকটিভ ছিলো। তারপর তাকে মডারেটরের মেইন দায়িত্ব প্রদান করি। এরপর আসলো ফয়সাল আমিন, যদিও আমি তখন তাকে নিয়ে বেশ দিধাদ্বন্ধে ছিলাম, কারন তার দেশ এবং সেই দেশের মানুষদের প্রতি আস্থা রাখাটা বেশ দুষ্কর ছিলো আমার জন্য। তারপর না চাওয়া সত্বেও যেহেতু তার এই সম্পর্কে পড়াশুনা ছিলো এবং সে বার বার বলতেছিলো সবকিছু ঠিক ঠাক সামলাতে পারবে, তাই তাকে মডারেটর এর দায়িত্ব দেই। তারপর আসলো তার চাচাতো ভাই, তার কিছুটা অসুবিধা ছিলো এবং বেশ দীর্ঘ সময় তাকে ঝুলিয়ে রেখে দায়িত্ব দেই। মোটামোটি এই তিনজন মিলে সেই শুরু হতে এই কমিউনিটির সাথে আছে। হ্যা, তারা বেশ যোগ্যতা এবং দক্ষতা দেখিয়েছেন।
প্রশ্নঃ আমার বাংলা ব্লগ নিয়ে শুরুতে প্রত্যাশা কেমন ছিলো?
উত্তরঃ আমার বাংলা ব্লগ শুরু করা হয়েছিলো শুধুমাত্র মজা করার জন্য। আর কখনো সিরিয়াসনেস ছিলো না এটা নিয়ে। বড় দাদা চেয়েছিলেন এদিকে বিউটি অব ক্রিয়েটিভিটি যেমন চলতেছিলো চলুক আর এদিকে সবাই বাংল ভাষায় একটু কবিতা, প্রবন্ধ টাইপের গল্প টল্প লিখলো, একটু সময়ও কাটলো। এসব চিন্তা ভাবনা হতেই শুরু করা, তখন তেমন বিনিয়োগও কিন্তু ছিলো না। এখানে আসলো, একটু এনগেজমেন্ট হলো, যেহেতু বাংলা ভাষা চর্চার কোন জায়গা নেই, সেই উদ্দেশ্য নিয়েই কমিউনিটি খোলা। কিন্তু তখন এই রকম কোন চিন্তা ভাবনা ছিলো না যে, স্টিমিটে এটা লিডিং পজিশনে কাজ করবে, এই রকম কোন রোডম্যাপও ছিলো না, সময়ের সাথে সাথে এটা এগিয়ে গেছে।
মজার ব্যাপার হলো এখানেও সীমা রায়কে মডারেটর হওয়ার আহবান জানানো হয়েছিলো, তখনও সে পারবো না পারবো না বলে অপারাগতা প্রকাশ করেছিলো। একটা সময় চলে গেলে সেই সময়টাকে আর ফিরিয়ে আনা যায় না। যে কোন জিনিষের প্রথম শুরু করাটা গুরুত্বপূর্ণ। ঐ জিনিষ হয়তো বহু মানুষ করবে কিন্তু প্রথম কে শুরু করলো সেটা হলো বিষয়। এই জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিচক্ষনতা রাখা উচিত। প্রথমে নিজেরই শুরু করতে হবে, সবাই শুরু করলে সেখানে এগিয়ে যাওয়া বা প্রথম হওয়া বেশ টাফ ব্যাপার। এ প্রসঙ্গে দাদা বাস্তব জীবন নিয়ে আরো কিছু উদাহরণ দেন এবং বিষয়টির ব্যাখ্যা করেন। বাস্তব জীবনের জন্য অনেক কিছুই শেয়ার আছে এখানে, বাস্তব জীবনে এটা বেশ ফলপ্রসূ হবে। জীবনে অনেক কিছুরই গুরুত্ব রয়েছে, তাৎক্ষনিক লাভবান হওয়ার চিন্তা না করে ভবিষ্যতে কতটা লাভবান হতে পারবো সেটা চিন্তা করা উচিত।
প্রশ্নঃ ব্লকচেইন জীবনের স্মরণীয় কোন ঘটনার অনুভূতি শুনতে চাই আমরা?
উত্তরঃ তখন আমাদের কমিউনিটি ছিলো না, যখন স্টিমিটি ভাগ হয়ে হাইভ ব্লকচেইন ক্রিয়েট হলো তখন মোটামোট সবাই হাইভে কাজ শুরু করেছিলেন আবার। তখন আমিও হাইভে পোষ্ট করতাম, কয়েকটি কমিউনিটিতে পোষ্ট করতাম, এই রকম একটা কমিউনিটি ছিলো জেমস। তখন কিছুজন বদমাইশি করে বলতো আমার পোষ্ট প্লাগিয়ারিজম, যদিও আমার পোষ্টে লিংক থাকতো, সোর্স উল্লেখ থাকতো। আসলে পেছনে লেগে কাজই করতে দিতো না। তখন আমাকে রিকুয়েস্ট করতে বলতে বলে কিন্তু আমি বলেছি অসম্ভব ভোট পাওয়ার জন্য আমি রিকুয়েস্ট করতে পারবো না। তারপর সেটা বাদ দিয়ে পুনরায় স্টিমিটে কাজ শুরু করলাম। যখন আমরা এখানে লিডিং পজিশনে আসলাম তখন বিষয়টি দেখলাম যে, চাইলে অনেক ক্ষমতার অপব্যবহার করা যায়। কিন্তু ওরা যেটা করলো আমার সাথে ঐ আজিরকনের টীমের একজন যাকে বললো আমার দিকে নজর রাখতে হবে। উনি বলেছিলেন যে, আমার রেপুটেশন খুবই হাই, আমাকে ধরা ছোঁয়া খুব কঠিন ব্যাপার।
খুব সাধারন একটা বিষয়, কোটি কোটি টাকার হিসেব না কিন্তু, ব্লগিং করার জায়গা এটা আর কতই বা ভোট পড়তো আমার পোষ্টে? বড়জোর ২০-২৫ ডলার করে। তাই এই রকম পিছনে লেগেছিলো! তখন আমি দেখলাম, আমি যখন লিডিং পজিশনে গেলাম আমি যা ইচ্ছে তা করতে পারবো। তখন বুঝলাম এটা আসলেই ছেলে মানুষী। এটার কোন মানে নেই। তাদের উপর তখন আমার রাগ চলে আসছিলো। আরো একটা বিষয় বুঝতে পারলাম যে, এখানে কাজ করে আমার কোন ক্ষতি হচ্ছে না। আমার আর্থিক দিক হতে তো একটা সাপোর্ট পাচ্ছি আরো একটা ইংরেজীর উপর দক্ষতা। আমি যখন ঢুকেছিলাম ঐ সময়ে আমার ইংরেজী পরীক্ষা ছিলো, আগের দিন রাতে আমি জাস্ট শুধু টপিকসগুলো পড়েছিলাম আর লাইন বাই লাইনগুলো মনে রেখেছিলাম। যেহেতু এখানে ইংরেজীতে পোষ্ট করতে হতো, আর ইংরেজীতে পোষ্ট করতে করতে আমার এমন দক্ষতা তৈরী হয়েছিলো যে, আমি নিজের মতো করেই পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলাম। সেই পরীক্ষায় আমি ১০০ -র ভেতর ৯৪ নাম্বার পেয়েছিলাম। তখন আমি এই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারলাম যে, এই জায়গাটা আমার কোন ক্ষতি করছে না বরং উপকার করছে।
এই জন্য যখন স্টিমিটের খারাপ অবস্থা ছিলো, সারা মাস শেষেও ৫ হাজার টাকা ইনকাম হতো না, তখনও কিন্তু আমি স্টিমিট ছাড়ি নাই। কিন্তু আমার এক বন্ধু ছিলো, সে মাসে দেড় দুই লাখ টাকাও ইনকাম করেছে। দাম কমে যাওয়ায় সে বুদ্ধি দিয়েছিলো সব পাওয়ার ক্যাশ আউট করে বেরিয়ে যা আর বলেছিলো স্টিমিট শেষ, কিন্তু স্টিমিটি শেষ হয় নাই বরং সেই বন্ধু শেষ হয়ে গেছে। এখানে এখন প্রত্যেকেই বাংলা লিখছে, প্রতেক্যের মাঝেই সৃজনশীলতা বেড়ে যাচ্ছে। আপনি অফিসে কাজ করছেন, এখানে বাংলা লিখতে লিখতে আপনার যে দক্ষতা বাড়ছে সেটা দিয়ে অফিসে একটা রিপোর্ট লেখা কোন ব্যাপারই না। এখানে যারা পোষ্ট করছেন, বাস্তব জীবনে প্রত্যেকেই লেখা লেখির ক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে যাচ্ছে। এটা অবশ্যই একটা বড় অর্জন। এই জিনিষটা আমি উপলব্ধি করেছি, বাস্তব জীবনে এখান হতে আমি একটা সুবিধা পেয়েছি, এটা বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে।
প্রশ্নঃ পছন্দের একটি গানের কথা বলুন, যেটা সব সময় শুনতে ইচ্ছে করে?
উত্তরঃ । দাদা পছন্দের যে গানটি শুনেন বেশী সেটি হচ্ছে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এর
"আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা
আর কত কাল আমি
রবো দিশাহারা, রবো দিশাহারা"
এরপর শুরু করা হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব, অর্থাৎ দর্শক সাড়িতে যারা রয়েছেন তাদের নিয়ে এই সেগমেন্ট। অতিথিকে সরাসরি প্রশ্ন করার এবং উত্তর শোনার দারুণ একটা সুযোগ। আমরা ইউজারদের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন এবং তার উত্তরগুলো অতিথির নিকট হতে শুনি। মোট ৩৮টি প্রশ্ন করা হয়েছিলো আজ এবং সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দেন দাদা। তারপর বিজয়ী নির্বাচনের জন্য কিছুটা সময় দেয়া হয় অতিথিকে এবং সেই ফাঁকে আমার পছন্দের একটা গান সবাই মিলে উপভোগ করি।
এরপর আমরা @blacks দাদার কাছে জানতে চাই আজকের প্রশ্নো-উত্তর পর্বে সেই ভাগ্যবান বিজয়ী কারা? দাদার বিবেচনায় বিজয়ীরা হলেন- @tuhin002, @emranhasan, @bristy1, @nusuranur এবং আমি। অভিনন্দন আপনাদের যারা প্রশ্ন করে বিজয়ী হয়েছেন, যথা নিয়মে আপনাদের ওয়ালেটে পুরস্কার পাঠিয়ে দেয়া হবে।
অতিথি এবং প্রশ্ন পর্বে বিজয়ীদের যথা নিয়মে রিওয়ার্ডস প্রেরণ করা হয়েছে-
প্রাইজ-15.png
রবিবারের আড্ডার প্রাইজ পুলের পৃষ্ঠপোষক @rme দাদা, ফাউন্ডার-আমার বাংলা ব্লগ।
সবশেষে আমরা আমাদের অনুষ্ঠানের একদম শেষ পর্যায়ে চলে যাই অর্থাৎ চতুর্থ সেগমেন্টে। এখানে আমরা @blacks দাদার কাছে জানতে চাই আমার বাংলা ব্লগের ব্যাপারে কিংবা ইউজারদের উদ্দেশ্যে উনার পরামর্শ বা সাজেশন। @blacks দাদা তার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সকলের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু কথা বলেন, যা শুধু ব্লকচেইন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ না বরং ব্যক্তি জীবনের ক্ষেত্রেও জরুরী এবং আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সৌন্দর্য ধরে রাখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। তারপর আমরা শেষ করার পূর্বে অনুষ্ঠানটির সম্পর্কে দাদার অনুভূতি শুনার চেষ্টা করি।
সবশেষে আজকের এই বিশেষ আয়োজন রবিবারের আ্ড্ডায় যারা উপস্থিত ছিলেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ, তবে যাওয়ার আগে আরো একটা বিষয়ে সবাইকে অনুরোধ করবো, এই শো’টি সম্পর্কে আপনাদের কোন আইডিয়া কিংবা পরামর্শ থাকলে অবশ্যই আমাকে অথমা মডারেটরদের ডিএম করবেন, আমরা চেষ্টা করবো শোটিকে আরো সুন্দর এবং প্রাণবন্ত করে তোলার, আপনাদের কাংখিত পরামর্শগুলো নিয়ে। তারপর সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শো সমাপ্ত ঘোষণা করি। পরবর্তী পর্বে আমাদের অতিথির নাম ঘোষণার মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@jadeja