স্যার মাই,য়াডারে , উলঙ্গ দেইখা আমি লোভ সামলাতে পারিনায় , স্টুপিড ওটা একটা মৃত মেয়ে ছিল, একটা লাশের সাথে তুই?,ঃ।
আমি ও জানতাম,
কিন্তু জিন্দা কিভাবে হয়ে গেল, ওইটা আমার মাথায় ঢুকেনাই ,।
লাশ কখনো জীবিত হয়, পুলিশের সাথে ভাঁওতাবাজি করিস,স্যার কসম করে বলছি,স্যার ঢাকার বাইরে যাবার পর একটা বিলের উপর এম্বুলেন্সটা , দাড় করিয়েছিলাম, আমি মানুষের মুখে এত দিন হুনছি, এম্বুলেন্সের ড্রাইভারগো , লগে বহু কিছু ঘটে,। ওগো এসব কথা হুইনা আমার, হাসি পাইতো, ঠিক আপনের মত, আমার লগে এরকম ভৌতিক কিছু কখনো ঘটেনি, তাই এগুলোর পাত্তা ও দিতাম না,,
কিন্তু স্যার ওই দিন মুতার জন্য আমি গাড়ি খাড়া করেছি,,, তখন আমার হেল্পার, বলল ওস্তাদ আপনি তো এই লাইনে নতুন,সবে দুই মাস হলো, গাড়ি চালান, মৃত মেয়েদের সাথে সহবাস করার মজা নিয়েছেন,
আমি তো বহু বার নিছি,লন আইজকা আপনারে ও মজা দিমু, হেল্পার এর কথা, শুনে স্যার আমার কুমতলব জায়গা উঠছে, আমি খাড়াই খাড়াই, দেখতেছিলাম, হেল্পার এম্বুলেন্সের দরজা খুইলা ভিতরে ঢুকছে,
আমি ও রাস্তার কিনারা থেইকা এম্বুলেন্সের পিছনে গিয়ে দাঁড়ালাম,,,,
হেল্পার লাশের বক্স থেকে লাশ টারে টাইনা ছিটের উপরে তুলছে ,,
পরে লাশের দেহ থেইকা সব কাপড় খুইলা হেল্পার কাজ শুরু করলো,মাইয়াড়া দেখতে অনেক সুন্দর আছিলো স্যার,,,
মরার পরেও মাইয়াডারে নায়েকা মত লাগতেছিল,
হেল্পার কাম সাইরা আসার পর , আমারে কইল যাইতে, উলঙ্গ লাশ টারে দেইখা আমার লোভ বাইডা তাই আরো,,, পরে আমি ও যাই তৃপ্তি মিঠাই লইছি,
।। শালারা মানুষ নামের অমানুষ তোরা, আচ্ছা বল পরে কি হলো, পরে স্যার আমি গাড়ি থেকে নাইমা দেখি, একটা গাড়ি আইতাছে,,
রাত তখন 2 টার বেশি, গেরামের। রাস্তায় এত রাইতে গাড়ি,মানে পুলিশের গাড়ি, আমি পুলিশের গাড়ি ভাইভা তারাতারি, এম্বুলেন্সের দরজা লাগাই দিছি,
ভিতরে যে মাইয়া,ডার লাশ বক্স এ ভরিনাই ওইটা আমার খেয়াল নাই,
দরজা লক করে আমি সামনে গিয়ে বসি,
পরে এম্বুলেন্স সর্ট করতে দেখি একটা মুরগির গাড়ি যাইতেছে, পুলিশ ভাইভা ডরাই গেছিলাম, পরে একটা সিগারেট ধরাই আমি গাড়ি টান দিতেই পিছন থেকে কেউ বইলা উঠলো ,"গাড়ি থামা " বিশ্বাস করেন স্যার
এত ভয়ানক আছিলো কন্ঠস্বর , আমি তাকাই হেল্পার এর দিকে হেল্পার তাকাই আমার দিকে,
কিছু বুঝে উঠার আগেই এম্বুলেন্সের কাঁচ ভাইঙ্গা ,
সেই মরা মাইয়া আমার গাড়ি ধইরা বসে,
এরপর তো কইলামি স্যার,,,,
লাফ মাইরা আমি আর হেল্পার গাড়ি থেকে নিচে পড়ে যায়,হুশ আছিলো না আর, জ্ঞান আসার পর দেখগ মাগয়াডা আর নাই, এম্বুলেন্স খালি, কসম স্যার এর বেশি আমি আর জানিনা ইন্স,পেক্টর মনির ঘটনা শুনে কিছুটা সময় চুপ করে রইলো,
সকাল থেকে ড্রাইভার আর হেল্পার কে ভাংগা পিটা করে ,হাতা কাটা গেঞ্জি আর,হ্যাফ,পেন্ট পরিয়ে বসিয়ে রেখেছে,পোর থানা যখন নিরব তখনই মরা মেয়ে টার পরিবার উপস্থিত হয় থানায়, ইন্স, পেক্টর। মনির ব্যাপারটা নোটিশ আগেই মারা মেয়েটার বাবা মা চিল্লানি দিয়ে বলে, আমার মরা মেয়ের লাশ টারে কোথায় লুকাইছিস বল এরকম ধমক দিতে দিতে মেয়ে টার বাবা মা ড্রাইভারের জামার কলার ধরে,
ইন্স,পেক্টর মনির ব্যাপারটা সামাল দিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়,
মেয়ের বাবা আকবর সাহেব খুব রেগে আছেন,
উনি ধস্তাধস্তি ভিতরে ড্রাইভারকে লাথি ঘুষি মেরে দেয়, এসব দেখে থানায় উপস্থিত সবাই এসে হাজির হয়, সবাই আকবর সাহেব কে সামাল দিয়ে বাসায়,
উনি চেয়ারে বসে হুট করে কান্না শুরু করে দেন,
কান্না স্বরে বলতে লাগলো , আমার মেয়েটার অকাল মৃত্যু আমি এখন ও মেনে নিতে পারি নি,রোগ নেই কিছু নেই হুট করে মারা গেল,,, আল্লাহ তার বান্দাকে তার কাছে নিয়ে যাই,গ্রামে আমাদের পরিবারের কবরস্থান এ কবর দিবো এজন্য ঢাকা থেকে গ্রামে লাশ আনতে ছিলাম,
তোদের উপর বিশ্বাস করে লাশ গাড়িতে তুলছি,
আমার কেউ সাথে আসেনি,
তাই লাশ বিক্রি করে দিলি,,
তোদের কত টাকা লাগবে আমাকে বল আমি দিবো , তবুও বল আমার মেয়েটার লাশ কোথায় রাখছিস ,
আকবর সাহেবের কান্না দেখে ড্রাইভিরের ও মন খারাপ হয়ে যায়,, ইন্স, পেক্টর মনির তখন মনে মনে বলে দেখ ড্রাইভারের অভিনয়, আকবর সাহেব যুদি জানে এই দুইটা তার মেয়ের সাথে কি করেছে কোর্টে তোলার ও সুযোগ দিবেনা,,,
এখানে গুলি করবে,
মরা বাড়ির মত এখানে কান্নার বাজনা দেখে লকারে অনেক কয়দি ও কান্না শুরু করে দিল,
ইন্স, পেক্টর মনির এসব দেখে আকবর সাহেব কে বললেন , দেখুন সাহেব ,
এম্বুলেন্সের এক্সিডেন্ট হয়েছে ড্রাইভার হেল্পার গাড়ির প্রচুর ক্ষতি হয়েছে,, আমি বিষয়টি তদন্ত চালাচ্ছি, এই দুইটা কে তো আমি ঝুলাচ্ছি, আপনার মেয়ের লাশ বের করে আপনাকে জানাবো,,,
এরকম নানা ট্রপিক ও যুক্তি বুঝানোর পর আকবর সাহেব মানতে রাজি হন,,,
উনি থানা থেকে ওনার পরিবার নিয়ে বাড়িতে চলে গেলো, ইন্স, পেক্টর মনির ড্রাইভার ও হেল্পার কে লকাবে ঠুকিয়ে দিলো,,,
এরপর করিমকে বললো ,
আমার জন্য এক কাপ চা নিয়ে আসো আমার কেবিনে,,,,
করিমকে চা এর নির্দেশ দিয়ে মনির সাহেব তার কেবিনে চলে যান,,
করিম কিছুক্ষণ সময় নিয়ে চা বানিয়ে চলে গেলো মনির সাহেব এর কাছে ,
টেবিলে চা রেখে চলে আসবে তখন মনির সাহেব পিছন থেকে ডাক দিয়ে বলে, তোমার কি মনে হয় ড্রাইভার হেল্পার সত্যি কথা বলছে, সত্যি কি গাড়ি এক্সিডেন্ট হওয়ার পর লাশ গায়ের হয়েছে,
আর লাশ কিভাবে জীবিত হয়,
এসব বানোয়াট মনে হচ্ছেনা তোমার, করিম মনির সাহেব এর কথা শুনে থমকে দাঁড়ায়, এরপর পি ঘুরিয়ে পেছন তাকালেন, করিম সাহেব মনির সাহেবের কাছে এসে ফিসফিস করে বলল ,স্যার ওই রাস্তা ভালো না ,
কখনো নিজের চোখে দেখেনি ঠিক কিন্তু অনেক শুনেছি,, করিম সাহেব এর ভয় আর কৌতূহল দেখে মনির সাহেব বললেন কি শুনেছেন ওই রাস্তার ব্যাপারে,,,,
মনির সাহেব এর আগ্রহ দেখে করিম সাহেব একটা চেয়ার টেনে বসলো,
এরপর ধীরে কন্ঠে বলল ,,
স্যার আমরা প্রশাসনের লোক কথা বাহিরে গেলে লোকে হাসা হাসি করবে,,
কিন্তু সত্যি এটা যে এই রাস্তায় অনেক কিছু ঘটে,
পুলিশে জয়েন হবার আগে শুনেছি ওই রাস্তায় অনেক লাশ পাওয়া যেতো,
রাস্তাটা বিলের মধ্যেখান দিয়ে গিয়েছে,
দুই পাশে বিল আর মাঝ খানে পাকা রাস্তা,,,।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!