গল্পের নাম, মাংস

in tag •  2 years ago  (edited)

মানুষ স্বপ্নে কখনো মরতে পারে না, কারণ মানুষ জানে না , মৃত্যুর যন্ত্রনা ঠিক কেমন,

স্বপ্নে হয়তো মৃত্যুর পরের অবস্থান দেখতে পারা যায়,
নয়তো মৃত্যুর আগের যন্ত্রনা কেমন হয় সেটা অনুভব করা যায়,
অর্থাৎ মানুষের ব্রেইন এমন কোন কিছু ভাবতে পারেনা, যেটার সাদৃশ্য তার চোখ কোন দিন ও দেখেনি,
তেমন আর্টিস্ট,রা কখনোই এমন কোন চেহারা আট‌‍ করতে পারেনা , যার চেহারার সাদৃশ্য তার চোখে পড়েনি,
সে যেই চেহারাটা আট করবে, কোন এক জন দেখা মানুষের সাথে মিলবে, কারণ চোখ না দেখে জিনিসের কল্পনা ব্রেইন করতে পারে না,,,,,

হঠাৎ শহরে ক্রাইম ইনভেস্টিগেটরদের মধ্যে ভয়ংকর উত্তেজনা তৈরি হয়,একের পর এক মিসিং ফাইল,। যারা মিসিং হচ্ছে তারা সবাই বড় লোকের মেয়ে,বা নিজে সেলিব্রেটি ছিলেন,
তাই কেইস গুলো একটি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়,
বিভিন্ন থানায় মোট একান্নটি মিসিং ফাইল জমা পড়েছে,গত দুই বছরে,
একটা মিল সব গুলো কেসের মধ্যে, মিসিং হওয়া মেয়েদের মধ্যে সবার বয়স 18/22 বছর এর মধ্যে, সবাই দেখতে অতিমাত্রায় সুন্দরী ছিলেন,,
আপাতত এই টুকু তথ্য ছিল ডিটেক্টিভ ওয়াটসনের কাছে ?
ওয়াটসন প্রমাণ খুঁজতে বের হয়ে গেলো,সাইকো কিলার কে ধরতে,, ওয়াটসন ধারণা করেছিলেন আরো খুন হবে,
কিন্তু গত এক মাস ধরে কোন মিসিং ফাইল হয়নি,,,
তাহলে কিলার কোথায়।.................................?

আরো ৯টা মেয়ে কে খুন করলাম,
৫০ টা মেয়ের শরীর পূর্ণ হলো,
কিন্তু কারো যৌনি, পছন্দ হয়নি,
টয় প্রোডাকশনে আমি অনেক গুলো যৌনি বানিয়েছি,
অবশ্যই আমার বানানো টয় গুলোর চাইতে ফিলা সুন্দর হবে।
ল্যাবে থাকা কোন যৌনি মানানসই হচ্ছে না,
গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গেলাম, রাতে অন্ধকার গতিতে ছুটছি,
কোথায় যাচ্ছি জানিনা,
চোখ ব্রেইন আর অস্থিরতা বাড়িয়ে দিয়ে দিগুন , নিউ ইয়র্কে একটা পার্কের পাশ দিয়ে যাচ্ছি,
হঠাৎ পারপল রংয়ের পোশাক এ একটা মেয়েকে রাস্তায় একা একা হাঁটতে দেখলাম, পিছন থেকে মাথায় দীর্ঘ চুল দেখে বুঝেছিলাম যতটুকু আন্দাজ করলাম মেয়েটার বয়স ২৫ এর মধ্যে হবে,
গাড়ি থামিয়ে আমি মেয়েটার পিছন পিছন হাঁটছিলাম,
মেয়ে টার কানে হয়তো ইয়ারফোন ছিল,
পিছন থেকে মুখোশ দিয়ে মেয়েটার মুখ ডেকে ফেললাম, চেহারা দেখার সময়টা ও নেই,
আজকের মধ্যে অঙ্গটি। আমার দরকার,
মেয়েটাকে তুলে নিয়ে এলাম,
ল্যাবে চলে আসলাম,
মুখোস খোলার সময় নেই, নিচের কাপড়টা খুলে ফেললাম , এবং মেয়ে টার যৌনি চেক করলাম,
কেন জানি নি প্রচুর হাত কাটছিলো,, বার বার চুড়ি পড়ে যাচ্ছিলো , কোন ভাবেই যৌনি তে চুড়ি চালাতে পারছিনা,
অথচ ৫০টা মেয়ের পর এই ৫১ নম্বর মেয়ে টার যৌনি আমার কাছে মানানসই মনে হচ্ছে,
ঠিক যেমনটা চেয়েছিলাম,
অদ্ভুত এক নেশায় আমি যেন ডুবে আছি,,
মেয়ে টার চেহারা দেখার আগ্রহটাই ছিলোনা,
তরতাজা অঙ্গ কেটে নিয়ে। মেয়েটার দেহটাকে ফ্রিজে রেখে দিলাম , এখানে অন্য মেয়েদের লাশ ও আছে,
এরপর একটু একটু করে বানিয়ে ফেললাম আমার বানানো সেরা পুতুল "ফিলা" কে ।
কোথায় কিছুর কমতি নেই,
নিজস্ব সুন্দর এ একক রাজত্ব করছে পিলার দেহ,
অসম্ভব এই সুন্দর পৃথিবীতে সৃষ্টি হওয়া অসম্ভব,
ফিলা শুয়ে আছে তার শরীরের কোন কাপড় নেই,ফিলা আমার দিকে তাকিয়ে আছে ঠোঁটে লাল কোমলতা, চুমু দেয়ার আগে পাগল হয়ে যাবে সব পুরুষই, এমন উষ্ণ ঠোঁট কেউ কোন দিন দেখেনি,
দু,বছর চেষ্টা অবশেষে সাফল্য,
আজ আমি ফিলার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করবো,
আর ধৈর্য মানছে না, ডিং করছি আর তাকিয়ে ফিলা কে দেখছি, আমার চোখে মুখে আনন্দের হাসি,
বিদ্যুৎ চমকানো সাদা রঙের মতো সাদা বিছানার উপর ফিলা শুয়ে আছে, আমার দিকে তাকিয়ে,
পুরো রুম সাদা রঙের আলো,।
শুধু আলোতে চোখ ঝলসে যাবে এমন অবস্থা,
আর এত আয়োজনের মাঝে,
বিছানায় দুধের মত রসালো রঙের স্ক্রীন নিয়ে ফিলা শুয়ে আছে,
আমি ফিলার কাছে গেলাম,
ফিলার দিকে তাকিয়ে মনে হলো ফিলা নিজে ও তৃষ্ণার্ত, কাছে গিয়ে ফিলা কে সর্প করলাম.
কিছু সময় পর মনে হলো ফিলার, অর্গাজম হচ্ছে..
অস্বাভাবিক অর্গাজম.‍.
একি ফিলা তো জীবিত মানুষ না।, ফিলার বড়ি সেদ্ধ করা মাংস দিয়ে তৈরি, , তাহলে অর্গাজম হচ্ছে কিভাবে..?
আমার হাত ভিজে গিয়েছে,
অর্গাজম প্রচন্ড গরম,,
যেন আগুনের লাভার এক অন্যরুপ,
একি ফিলার বডির তাপমাত্রা বাড়ছে কেন,
ফিলা ঘামছে, ফিলার শরীর ঘামছে কিভাবে,?
আমি তাজ্জব হয়ে যাচ্ছি,
২ বছর ৫১ টা খুন ,
একটু একটু করে ফিলা কে বানিয়েছি আর এখন এসব কি হচ্ছে,
আমার কোন হ্যালুসিনেশন হচ্ছে না তো,
ফিলার চোখের দিকে তাকিয়ে আছি,
আমার সব উওজনা নিমেষে শেষ হয়ে গেছে,
আমি বারবার থেকে করছিলাম , কিভাবে সম্ভব,
আমি কোন সমাধান পেলাম না,
অনেক চেষ্টার পর ও আমি কিছু করতে পারলাম না,,
হঠাৎ কেন জানি মনে হলো,ফিলার চেহারা চেনা চেনা মনে হচ্ছে,,
খেয়াল করে তাকালাম - আমার চুল গুলো ছুঁয়ে ছুঁয়ে কানের পাশ বেয়ে ঘাড়ের ওপর দিয়ে ঘাম বেয়ে পড়ছে,ফিলার চেহারা আমার ছোট বোন এনি অবয়ব ভেসে আসছে, আমি কেঁপে উঠলাম,এটা কি করে সম্ভব, এনির চেহারা ফিলার মুখে কিভাবে
আমি তাহলে ফিলার মুখে এনির অবয়ব এঁকেছি, কিন্তু কিভাবে, এতটা অচেতন আমি কিভাবে ছিলাম, কোন ভাবেই মানতে পারছিলাম না,এনির কথা ভাবতেই বাড়ির কথা মনে পড়ে গেল,ল্যাবে আসার পর ২ বছর বাড়ির সাথে যোগাযোগ করিনি খুব একটা, পরিবারে আমার মা,আর ছোট বোন,ওরা একাই থাকে নিউ ইয়র্ক থেকে বেশ দূরে একটা শহরে ওরা থাকে, আমার এখন থেকে গাড়ি চালিয়ে যেতে ৮ ঘন্টা সময় লাগে, আমার বাসা টা বিশাল বড় প্রয় ৪ হাজার স্কায়ার হবে,১৪ তলা বিল্ডিং এর টপ ইউনিটে আমার বাসা,ল্যাব,৬ টা বেডরুম,২ টা ডাইনিং সহ অনেক বড় ফ্লাট, আমার দেয়ার কাঁচের , চাঁদের আলো,আর বাতাস সব মুক্ত , অনায়াসে ১২ জন থাকতে পারবে,এত খোলা রুমে ও আমার ভালো লাগছে না,সারা রাত গাড়ি চালিয়ে মায়ের বাসায় এসেছি, পুরো বাসায় যেন একটা চাপা ভাব জন্মে গেছে, রুমে ঢুকলাম , মা বসে আছে মায়ের চোখে মুখে অন্ধকার,
আমি মায়ের কাছে যেতে সে জানালো , আজ প্রায় ১০ দিন হলো এনি নিখোঁজ,,,,,
এনিকে শেষ বারের মত নিউ ইয়র্কে একটা রাস্তার সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় ..
তোকে অনেক বার কল দিয়েছি, তোকে কলে পাইনি,
আমি কি করবো বুঝতে পারছি না,
নিউ ইয়র্কে পাশে শুনে চমকে উঠলাম,
মায়ের কথা শুনে আমার হার্টবিট বেড়ে গেছে,
চোখ লাল হয়ে গেছে, শরীর ঘামতে শুরু করলো,
প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছে,
কেন জানি অদ্ভুত ভয় কাজ করছে,
মায়ের সাথে কথা না বাড়িয়ে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গেলাম,
ল্যাবে আসিতেছি আবার, রাস্তা যেন শেষ হচ্ছে না, অনেক ধৈর্য ,র পরিক্ষা দিয়ে বাসায় আসলাম,
বুকের ধুক ধুক বেড়ে যাচ্ছে কেন জানি,
সোজা চলে আসলাম ফ্রিজের কাছে , যেখানে লাশ গুলো রাখা হয়েছে,বক্স খুললাম, বরফের আবরনে লাশ গুলো কে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে,,,,,
মুখোশে ঢেকে রাখা লাশটা দেখার অধির আগ্রহ, অর্ধেক কাঁটা লাশটা টেবিলে রাখলাম, ভয়ে ভয়ে মুখ খুললাম, খুলতেই কেন জানি বমি ভন হচ্ছে, দাঁড়াতে পারছিনা, হাত পা সব কাঁপছে,অনির লাশ মানে আমার ছোট বোন এর লাশ , আমি আমার ছোট বোনকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এলাম, অবচেতনতার ঘোরে, মুখ টা দেখার ইচ্ছা হয়নি , নিজের হাতে আমার ছোট বোনের যৌনাঙ্গ চুড়ি দিয়ে কেটেছি , সেই রক্ত আমার হাতে লেগেছে, আমার বোনের যৌনাঙ্গ আমার কাছে সব থেকে সুন্দর ও ফিট মনে হয়েছিল,
ছিঃ ভাবেই অবাক লাগছে। আর এনির অঙ্গ,টা ফিলার শরীরের স্থাপন করেছি ,
আর ভাবতে পারছি না ,
চোখ দিয়ে নিজের বোনের পেলে রাখা দেহটা দেখতে পারছি না ,. চোখ জ্বলে যাচ্ছে ,
বুকটা ফেটে যাচ্ছে, আমার পেসার লো হয়ে যাওয়াতে আমি ফ্লোরে পড়ে যাই , বেশ কিছুক্ষণ পরে স্বাভাবিক চোখ খুলি, ফিলা আমার সাথে বসে আছে,
ফিলার যৌনাঙ্গ থেকে রক্ত পড়ছে, আমি চোখ ফিরিয়ে নিয়েছিলাম,..................................
Continue.........

Like and follow plz

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...