এই সমগ্র পৃথিবীতে সাতটি আশ্চর্য রয়েছে যার মধ্যে একটি হল তাজমহল। আগ্রার তাজমহলকে ভারতের গর্ব ও ভালোবাসার প্রতীক মনে করা হয়। উত্তরপ্রদেশের তৃতীয় বৃহত্তম জেলা আগ্রা ঐতিহাসিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাজমহল একটি প্রাকৃতিক দৃশ্যের মতো দেখতে একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থান। এটি উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় অবস্থিত। এটি একটি খুব সুন্দর জায়গায় একটি বিশাল এলাকায় অবস্থিত, যার পিছনে একটি নদী রয়েছে। মনে হয় পৃথিবীতে স্বর্গ। এটি সাদা মার্বেল ব্যবহার করে নির্মিত।
আগ্রার তাজমহল
এটি উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি একটি খুব সুন্দর সমাধি যা শাহজাহান তার স্ত্রী মমতাজ মহলের জন্য তৈরি করেছিলেন। প্রাচীনকালে, শাহজাহান একজন রাজা এবং তার স্ত্রী ছিলেন মমতাজ মহল। শাহজাহান তার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসতেন এবং তার মৃত্যুর পর তিনি খুব দুঃখ পেয়েছিলেন। তারপর তিনি তার স্ত্রীর স্মরণে একটি বড় সমাধি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। এবং তিনি তাজমহল তৈরি করেছিলেন, যা আজ বিশ্বের সাতটি আশ্চর্যের একটি।
তাজমহলটি আগ্রা ফোর্টের ঠিক পিছনে অবস্থিত, যেখান থেকে রাজা নিয়মিত তার প্রিয়তমা স্ত্রীর স্মরণে তাজমহলে যেতেন। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ তাজমহলের সৌন্দর্য দেখতে আগ্রায় আসেন। অনেক শিল্পী ও কলাকুশলীর কঠোর পরিশ্রমে এটি তৈরি করা হয়েছে। 200 মিলিয়ন ভারতীয় মুদ্রা দিয়ে এটি প্রস্তুত করতে 20 বছর লেগেছে। রাতের চাঁদের আলোয় তাজমহলকে খুব সুন্দর দেখায়।
তাজমহলের সৌন্দর্য
এটি আগ্রায় অবস্থিত। এটি বিশ্বের সাতটি আশ্চর্যের একটি। এটি সাদা মার্বেল দিয়ে তৈরি সবচেয়ে সুন্দর ভবন। মনে হয় স্বপ্নের স্বর্গ। এটি সুন্দরভাবে ডিজাইন করা হয়েছে এবং রাজকীয় সৌন্দর্যে সজ্জিত। এটি পৃথিবীর আশ্চর্যজনক প্রকৃতির সৌন্দর্যের একটি। গম্বুজের নিচে অন্ধকার প্রকোষ্ঠে রাজা ও রাণী উভয়ের সমাধি রয়েছে। এর দেয়ালে কাঁচের টুকরো দিয়ে কুরআনের কিছু আয়াত খোদাই করা হয়েছে। এর চার কোণায় অবস্থিত অত্যন্ত আকর্ষণীয় চারটি মিনার রয়েছে।
উপসংহার
আসলে তাজমহল দেশের এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। এটি বিশ্বের 7 আশ্চর্যের মধ্যে গণনা করা হয়। শুধু ভারতীয়রাই নয়, অন্যান্য দেশের মানুষও এর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হন। যতদিন এই বিস্ময়কর ভবনটি এদেশে থাকবে ততদিন প্রাচীন ভারতীয় স্থাপত্য ও কারুকার্যের গৌরবও রক্ষিত থাকবে।