বাংলাদেশের গ্রামে পুজোর শপিংsteemCreated with Sketch.

in travel •  11 months ago 

গতকাল বিকেলে একবার পুজোর শপিং সেরে এসেছি । বাংলাদেশের গ্রামের শপিং সেন্টারে এটাই আমাদের প্রথম পুজোর কেনাকাটা । মূলত ঘুরতেই বেরিয়েছিলাম এদিন । এখানকার গ্রামের রাস্তাঘাট পাকা, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট সবই আছে । কোনো কোনো বাড়িতে গ্যাসেই রান্না হয় । ইঞ্জিন চালিত ভ্যান রিকশা আর ব্যাটারী চালিত টোটো এখানকার গ্রামের রাস্তাঘাটের একমাত্র যানবাহন ।

মোবাইলে চার্জ না থাকায় এদিনের ঘোরাঘুরির কোনো ছবিই তুলতে পারিনি । তবে আজ থেকে ছবি তোলা শুরু করবো । তনুজা অবশ্য তুলেছিল ছবি । চারিদিকে এতো সবুজ গাছগাছালি আর জল টলটলে পুকুর দেখে টিনটিন খুশিতে একেবারে যাকে বলে আত্মহারা । তো, আমরা দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পরে রোদ পড়ে এলে সবাই মিলে বেরিয়ে পড়লাম । এদিককার টোটোগুলো যথেষ্ঠ বড় । ড্রাইভার সুদ্ধ মোট ১০ জন যাওয়া যায় একত্রে । আমরা ছিলাম মোট পাঁচ জন । ৭০০ টাকা দিয়ে ঘন্টা তিনেকের জন্য টোটোটা রিজার্ভ করে নিলুম ।গ্রাম থেকে শপিং সেন্টার প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার দূরে । যেতে প্রায় মিনিট তিরিশেক লেগে গেলো । এই জায়গাটা মূলত একটা গঞ্জ টাইপের । বড় বড় অনেকগুলো ইলেট্রনিক্স পণ্যের শো রুম আছে এখানে । আর আছে প্রচুর পোশাক-আষাকের দোকান, মনিহারি দোকান, পাইকারি মাছের আড়ৎ, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান, মিষ্টি ও নানান খাবারের দোকান । এছাড়াও রয়েছে একটি বৃহৎ কাঁচা বাজার, মাছের বাজার ও মাংসের বাজার । কয়েকটি ব্যাংকের শাখাও রয়েছে দেখলাম । রীতিমত যাকে বলে জমজমাট এক গঞ্জ ।

সর্বপ্রথম আমাদের ঢুকতে হলো টিনটিনবাবুর খেলনা কেনার জন্য একটা দোকানে । এরপরে ড্রেস কেনা স্টার্ট হলো । আমি একটা টি-শার্ট কিনলাম । তনুজা অনেকগুলো শাড়ি বেছে বেছে ঢাকাই মসলিনের একটা শাড়ি পছন্দ করলো । দাম যা হাঁকলো দোকানদার শুনে আমি ফিট । যাই হোক বিস্তর দরাদরি করে (যেটা আমি একদমই পারি না) ১৭০০ টাকা কমাতে পারলাম । এরপরে আমার ভাইয়ের জন্য আরেকটা টি-শার্ট কিনলাম
04.jpg
। গ্রামের গঞ্জে এই ব্র্যান্ডটা পেয়ে যাবো সেটা আশাই করিনি ।

কেনাকেটা শেষে ভাবলুম সবাই মিলে একটু বাংলাদেশী স্ট্রীট ফুডের টেস্ট নিই । সেই মতো কিনলাম সিঙ্গাড়া, সামুচা, পিঁয়াজি, বেগুনি, আলুর চপ আর ডাল পুরি । একটু বেশি পরিমাণেই কিনলাম সবগুলি । এরপরে আবার টোটোতে চেপে বাড়ি ফিরে এলাম তখন সবে সন্ধ্যা উৎরেছে । গরম গরম চা সহযোগে স্ট্রীট ফুডগুলো চাখা শুরু করলাম । শেষ করার ঘন্টা খানেক পর থেকেই পেটে মোচড় মারতে শুরু করলো । আর কী, রাতে বার দু'য়েক একটু দৌড়াদৌড়ির পরে গেলো । এরপরে পেট ভরে গরামগরম ভাত, ডাল, মাছের ঝোল আর হাঁসের মাংস সেঁটে ঘুম দিলাম । সকালে উঠে দেখি পেট একদম ফিট ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!