ক'দিন আগে একটা নিউজ পোর্টালের একটা নিউজে আমার চোখ আটকে গিয়েছিলো । নিউজটা ছিল এ রকম -
"মুকেশ আম্বানির সন্তানেরা যখন স্কুলে পড়তো তখন তাদেরকে টিফিন খরচ হিসেবে খুবই কম পরিমাণ অর্থ দেওয়া হতো । এশিয়ার শীর্ষ ধনী, সমগ্র বিশ্বের মধ্যে নয় নম্বর ধনী শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি । যাঁর এই মুহূর্তে মোট সম্পদের পরিমাণ ১১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি । মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি যখন স্কুলের নীচু ক্লাসে পড়তো, তখন দৈনিক টিফিনের খরচ হিসেবে তাকে মাত্র পাঁচ টাকা দেওয়া হতো । "
মাত্র পাঁচ টাকা দেওয়ার পেছনে কারণ ছিল সন্তানকে অর্থের মূল্য বুঝতে শেখানো । প্রয়োজনের তুলনায় অধিক অর্থ খরচ করা ভবিষ্যতের জন্য খারাপ হতে পারে । একটা ক্লাস ওয়ানে পড়া বাচ্চার দৈনন্দিন টিফিনের খরচ পাঁচ-দশ টাকার অধিক কখনোই হতে পারে না । প্রয়োজনের তুলনায় বাড়তি খরচ একজন মানুষকে শুধুমাত্র বিলাসিতার দিকে ধাবিত করে । বিলাসিতা যে খুব খারাপ এমনটাও নয় । কিন্তু, তার একটা মাত্রা থাকা দরকার এবং কিছু বিষয়ের উপর ডিপেন্ড করা উচিত ।
কঠোর পরিশ্রম দ্বারা উপার্জন করা অর্থের কিছুটা অংশ আপনি অবশ্যই বিলাসিতায় ব্যয় করতে পারেন, কিন্তু, যে অর্থের যোগানদার অন্য কেউ সেই অর্থে আপনি শুধুমাত্র নিজের প্রয়োজনটুকুই মেটাতে পারেন, বিলাসিতায় নয় । কারণ, অর্থের মূল্য এই দুনিয়ায় অনেক । অর্থ ছাড়া দুনিয়াটাই অচল । অর্থশূন্য মানুষ বন্ধুহীন, আত্মীয়হীন । অর্থ না থাকলে এ বিশাল পৃথিবীতে আপনি হেল্পলেস, বেঁচে থাকার অধিকার হারাবেন অতি শীঘ্রই ।
তাই অর্থকে মূল্য দিতে শিখুন । আয় অনুযায়ী ব্যয় করতে শিখুন । ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে শিখুন । কারণ, আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত । বিপদ কখন কোথা দিয়ে আসবে তা কখনোই বলা যায় না । ভবিষ্যতের বিপদ আপদে অর্থই পারে আপনার একমাত্র সহায় হতে ।
আজ আপনার হাতে প্রচুর অর্থ আছে, আর তাই আপনি প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি প্রচুর অপ্রয়োজনীয় বা কম প্রয়োজনীয় জিনিসে ঘর ভর্তি করে ফেলছেন, আপনার জন্য কিন্তু ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করে আছে । এভাবে অপ্রয়োজনীয় জিনিসের পাহাড়ের উপর বসে এমন একটা সময় আপনার আসবে তখন প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কেনার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ আর আপনার হাতে থাকবে না ।