বর্তমান বিশ্বের পরাশক্তি বলা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। শক্তি-সামর্থ্য, ধন-সম্পদ, আধুনিকতা-ঐশ্বর্য সকল দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র বা আমেরিকা বর্তমান বিশ্বের এক নম্বর। বর্তমান বিশ্ব সভাকে যুক্তরাষ্ট্র তার নিজের ইচ্ছা মতো পরিচালিত করে থাকে। বিশ্বের প্রায় সকল রাষ্ট্র সমূহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা ও পরামর্শ দ্বারা পরিচালিত হয়। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র এমনই একটি দেশ, যার সাথে শত্রুতা করলে ভাগ্যে নেমে আসে করুণ পরিণতি। তবে এই পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নামক এই দেশটির এক সময় পৃথিবীর মানচিত্রে অস্তিত্ব ছিল না।
কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের মাধ্যমে এই স্থানটির গোড়াপত্তন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আরেক নাম “আমেরিকা” তবে আমরা অনেকেই হয়তো জানি না, কিভাবে এই আমেরিকা রাষ্ট্রের নামকরণ হয়েছে। অদেখা ভুবনের এই পর্বে জানবো কিভাবে আমেরিকার নাম করন করা হল।
চ্যানেলে নতুন হয়ে থাকলে সাবসক্রাইব করতে ভুলবেন না।
আজকের দুনিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেরা ধনী আর শক্তিশালী দেশ হিসেবে পরিচিতি পেলেও এর ইতিহাস আরম্ভ হয়েছে মাত্র ২০০ বছর আগে। আমাদের জানা আছে যে, উত্তর আমেরিকা আর দক্ষিণ আমেরিকা দুটি স্বতন্ত্র মহাদেশ। আমেরিকা মহাদেশ আবিষ্কার করেন ক্রিস্টোফার কলম্বাস। কিন্তু কলম্বাসের নামে এই মহাদেশ দুটির একটারও নামকরণ করা হয়নি। আমেরিকার নামকরণে রয়েছে এক মজার কাহিনী।
কলম্বাস যেমন স্পেনের রাজার সাহায্যে সমুদ্রযাত্রা করেন, আমেরিগো ভেসপুচ্চি তেমনি পর্তুগালের পতাকার নিচে ১৫০১ এবং ১৫০২ খ্রিস্টাব্দে যাত্রা করে দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলে গিয়ে উপস্থিত হন। ভেসপুচ্চি এটা ঠিকই বুঝেছিলেন যে কলম্বাস যাকে ভারতবর্ষ ভেবে ভুল করেছিলেন সেটা আসলে একটা অনাবিষ্কৃত নতুন মহাদেশ।
কলম্বাস এই দ্বীপে এসে নিজের নতুন দ্বীপ ঘোষনা না দিতে পারলেও,ভেসপুচ্চি ঠিকই এই এলাকাটিকে নতুনভাবে আবিষ্কার এর ঘোষনা দেন। ফলে এই এলাকার নাম ভেসপুচ্চির নামানুসারে আমেরিকা রাখা হয়।
জার্মানির ভূগোলবিদ ভাল্ডয়ে মুলার ব্রাজিলকে আমেরিগোর সম্মানার্থে আমেরিকা আখ্যা দেন। আমেরিকা নামটা এতই প্রচলিত হয়ে পড়ে যে, ব্রাজিল থেকে উত্তর আমেরিকা আর দক্ষিণ আমেরিকা দুই মহাদেশেরই নামকরণ হয় আমেরিকা।
কলম্বাসই সর্বপ্রথম আমেরিকা আবিষ্কার করলেও তার ভুলের কারণে আমেরিকা আবিষ্কারক হিসেবে আমেরিগোর নাম অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রের নাম আমেরিকা হয়ে যায়। তবে কলম্বাস যে আমেরিকা আবিষ্কার করে ছিল সে কথা ইতিহাস থেকে মুছে যায়নি।