বিরাট কোহলি-আনুশকা শর্মা গত দুই দিন ধরে এই দুটি নামই যেন প্রতিধ্বনিত হচ্ছে সংবাদ মাধ্যমে। সদ্যই রূপকথার বিয়ে সারলেন এই মুহূর্তে এশিয়ার অন্যতম রোম্যান্টিক তারকা জুটি। রোম থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে তাস্কানির বর্গ ফিনোচ্চিয়েতো অঞ্চলে ছিল এই হাই প্রোফাইল বিয়ের অনুষ্ঠান।
এবার জেনে নিন বিরুষ্কার বিয়ে সম্বন্ধে কিছু অজানা তথ্য।
- বিয়ের সমস্ত প্ল্যানিং করেছেন দিল্লির ওয়েডিং প্ল্যানার দেবিকা নারিন।
অ্যালব্যামের সব ছবি তুলেছেন পৃথিবী বিখ্যাত ওয়েডিং ফটোগ্রাফার দেবিকার স্বামী জোসেফ রাধিক। দিল্লি বা বম্বেতে প্রতিদিনের শুটে তিনি সাধারণত পাঁচ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নেন। বাইরে হলে তার ডবল। এক্ষেত্রে বিয়ে হল ইতালির তাস্কানিতে। প্রায় দু’কোটি খরচ হয়েছে কেবল ছবি ও ভিডিওফিল্মিং এ।
আনুশকা ও বিরাটের বিয়ে ও বউভাতের সব ছবির এক্সক্লুসিভ রাইট বেচে দেওয়া হবে নির্দিষ্ট ম্যাগাজিন ও বিনোদন চ্যানেলকে। দু’কোটির অনেকটাই উঠে আসবে ওখান থেকে।
বিয়ের পর বউভাত হবে দিল্লির তাজ ডিপ্লোম্যাটিক এনক্লেভ-এ। রিসেপশনের নিমন্ত্রণপত্র ছাড়াও একটা মস্ত মিষ্টির বাক্স ও ড্রাই ফ্রুটসের ঝুড়ি উপহার দেওয়া হয়েছে। নিমন্ত্রণ পত্রতে একটা ইউনিক QR Code আছে। সেটি স্ক্যান করা আবশ্যিক।
সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় আনুশকার পোশাক ও গয়নার দ্বায়িত্বে ছিলেন। সব্যসাচীর হেরিটেজ জুয়েলারি কালেকশন থেকে কেনা দশ লক্ষের হিরের নেকলেস পড়েছিলেন নায়িকা। আনকাট ডায়মন্ড, মাঝে চুনি ও নীচে মুক্তো বসানো। সঙ্গে একই রকম ঝুমকো।
বিয়ের পোশাক ছিল গুলকন্দ বারগেন্ডি রঙের। কলকাতার শ্রেষ্ঠ কারিগরদের হাতে বোনা জরদৌসি ও মারোরি লেহেঙ্গা পরেছিলেন আনুশকা। লেহেঙ্গারজমিতে মুক্তোদানা বসানো।
বিরাট দিল্লির পাঞ্জাবি ছেলে। তার জন্য ছিল হাতে বোনা বেনারসি কাজের নক্সা করা শেরওয়ানি। যাতে গোলাপ কাঠের বোতাম লাগানো। সঙ্গে গোলাপি রঙের কোটা সিল্কের পাগড়ি। বুকে পিতলের ব্রোচ।
পুরো বিয়ের অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় ছিল ‘শাদিস্কোয়াড’ নামক জনৈক সংস্থা। চার মাস ধরে প্ল্যানিং চলেছে। টপ বস ছাড়া বাকি সদস্যরা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি। সকলেই জানতেন বড়লোক কোনও ক্লায়েন্ট এর বিয়ে হবে বিদেশে। সেই মতো সেট ডিজাইন করা হয়।
প্রথম থেকেই ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন আনুশকা। তার ইচ্ছে ছিল, প্রকৃতির মাঝে বিয়ে করার। মূলত তার ইচ্ছাতেই ইতালিতে গাঁটছড়া বাঁধলেন দুই লভ বার্ডস।
দুর্দান্ত মেনু ছাড়া বিরুষ্কার বিয়ে কী জমে? হাই প্রোফাইল এই বিয়ের খাবারের দায়িত্বে ছিলেন সেফ রিতু ডালমিয়া। রিতুর ‘চিত্তামানি’ রেস্তোরাঁর বেশ কিছু সিগনেচার পদ ছিল এলাহি মেনুর মধ্যে।
সবশেষে হনিমুনে বিরুষ্কা যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহের পর কাজে ফিরবেন দু’জনেই।