আসসালামুআলাইকুম আপনারা সবাই নিশ্চয়ই ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে আমার একটা ভ্রমণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।
অফিসের কলিগ মিলে কাজের ফাঁকে সবাই বিনোদনের জন্য স্পোর্টস খুঁজে বেড়াচ্ছে। হঠাৎ মাথায় আসলো যদি কোথাও যাই তাহলে আমরা আমাদের চাঁদপুর এর বাইরে কোথাও বেড়াতে যাব। যেই কথা সেই কাজ ৮-ই সেপ্টেম্বর আমরা প্ল্যান করলাম সবাই মিলে বান্দরবান "চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায়" যাব, এতে করে আমাদের ফিজাইক্যাল অ্যাক্টিভিটির সাথে সাথে মন মানসিকতার চাঙ্গা হবে। তারিখ ঠিক করলাম 10 সেপ্টম্বর রাত ১১টায় আমরা ট্রেনে রওনা দেব। কিন্তু এখানে ছোট একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল কারণ আমাদের সবার কাছে বাইক ছিলো, যারা আমরা শহর থেকে একটু দূরে থাকতাম তারা সবাই বাইক দিয়ে শহরে যাতায়াত করতাম। আর গ্রাম থেকে এত রাতে গাড়ি পাওয়াটা খুবই দুষ্কর। কিন্তু কিছু করার ছিল না বাইক নিয়ে আসতে হলো, মানুষিক শক্তি বাড়িয়ে আমরা সবার বাইক গুলো ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রেখে দিলাম। রাতে আমাদের জন্য লক খুলতে নাইট গাট কে আগে থেকেই কন্টাক করে রাখলাম। যে কথা সেই কাজ।আমরা সবাই নির্দিষ্ট একটা সময়ে পৌঁছে গেলাম ক্রিকেট স্টুডিয়ামে এবং বাইক গুলো সুন্দর করে রেখে রওনা দিয়ে
কালীবাড়ি রেলওয়ে স্টেশন।
গেলাম চাঁদপুর "কালীবাড়ি রেল স্টেশনে"। আমরা ট্রেনের টিকিট কাটলাম সেখানেও নতুন একটা অভিজ্ঞতা হল, কারন এরকম একটা ভ্রমণের মধ্য দিয়ে আমার প্রথম ট্রেন যাত্রা শুরু হলো। প্রতিটা মুহূর্ত আমার কাছে খুবই রোমাঞ্চকর মনে হল কারন ট্রেনে উঠবো জালানার পাশে বসবো কিরকম একটা আনন্দ আসলে বলে বুঝানো যাবে না।
ট্রেন তার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই চাঁদপুর কালীবাড়ি রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে গেল, আমরা যেহেতু সদস্য সংখ্যা বেশি তাই আমরা একটা বগিতে সবাই থাকলাম, সবাই একসাথে গান গাইলাম, হই হুল্লোর করলাম।
মেহের স্টেশন
আমরা ভোর ৫ টা ৫৬ মিনিটে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে "মেহের" নামক স্টেশনে থামলাম।
আমরা কিছু নাস্তা করলাম তারপরে ট্রেন থামলো "চিতোষী রেল স্টেশন" ওখানে কিছুক্ষণ থাকার পরে আমরা "ফেনি জাংশনের" উদ্দেশ্যে রওনা দেই
ট্রেনে উঠলাম এবং ট্রেনের শেষ গন্তব্য পর্যন্ত পৌছালাম।
ফেনী জংশন থেকে আমরা ছোট গাড়িতে করে বিশ্বরোড পর্যন্ত আসলাম!
বাসের জন্য অপেক্ষা করলাম।
আমরা বাসে করে চলে আসলাম চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে।
পিছনে চন্দ্রনাথ পাহাড়।
মিশন চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়া।
সবাই সবার প্রস্তুতি অনুযায়ী ড্রেস চেঞ্জ করল এবং আমরা সবাই একটা উদ্দেশ্য নিয়ে রওনা করলাম "মিশন চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়া"।
যতটা সহজ ভাবে লিখতে পারলাম কিন্তু অতটা সহজ ছিলো না এই পাহাড়ের চূড়ায় ওঠা।
প্রথমে তো আমাদের সংগ্রহ করতে হয়েছে বেশকিছু পানির বোতল এবং খাবারের জন্য "হ্যাপি ফ্রুট কলা"। অতিরিক্ত গরমের কারণে অসহ্য যন্ত্রনা হচ্ছিল পাহাড়ের গা বেয়ে উপরে উঠতে।কিন্তু মনের জোরে দেহ যেন শুধু চলতেই থাকল, আমরা পাহাড়ে ওঠার সময় কিছু সেভ জোনে পানি বিরতি দিলাম।
এখানে দেখতে পেলাম শত শত মানুষের মনের অদম্য শক্তি যা দিয়ে তারা অনায়াসে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছে যাচ্ছিল, তাদেরকে দেখে আমরাও মোটিভেটেড হলাম এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত রাখলাম।
পাহাড়ের কন্ডিশন টা এতটাই মারাত্মক ছিল যে হালকা একটু পা পিছলে গেলেই কয়েক শত ফুট নিচে পড়ে আপনার মারাত্মক ইনজুরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তীব্র রোদে পুড়ে এবং পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ পাথরগুলোর সাথে যুদ্ধ করতে করতে অবশেষে পৌঁছে গেলাম চূড়ায়।
চন্দ্রনাথ পাহাড় চূড়া
কিছুক্ষণ অবস্থান করে"তৃপ্তিবিষাদময়" হাসি নিয়ে আবার আমরা সেই চূড়া থেকে ব্যাক করলাম।শরীরটা এতটাই ক্লান্ত ছিলো, মন চাচ্ছিল উপর থেকে গরিয়ে গরিয়ে নামতে থাকি।সেই দিনটা আমরা কিভাবে সংজ্ঞায়িত করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না, তবে এটা বুঝতে পারছি যে পাহাড়ের চূড়ায় উঠা মানে শুধু পাহাড় জয় করা নয় বরং নিজের অন্তসত্তাকে জয় করে ফেলা এবং পাহাড় আমাদেরকে আনন্দই দেয় না এ যেন এক অসমাপ্ত বেদনাদায়ক সুখের তৃপ্তি দিয়ে ভ্রমণ অভিজ্ঞতা পরিপূর্ণ করে দেয়।
ক্যামেরা : স্যামসাং অ্যান্ড্রয়েড M01
ফটোগ্রাফার : আমি নিজেই
লোকেশন : চট্টগ্রাম।
This is a one-time notice from SCHOOL OF MINNOWS, a free value added service on steem.
Getting started on steem can be super hard on these social platforms 😪 but luckily there is some communities that help support the little guy 😊, you might like school of minnows, we join forces with lots of other small accounts to help each other grow!
Finally a good curation trail that helps its users achieve rapid growth, its fun on a bun! check it out. https://plu.sh/somland/
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি কমিউনিটিতে পোস্ট না করে নিজের ওয়ালে পোস্ট করেছেন। পোস্টটি ভালো হওয়া সত্ত্বেও এই কারণে কিউরেশনে দিতে পারলাম না। ভবিষ্যতে আপনাকে আরো সতর্ক হতে হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি খুবই লজ্জিত আমার কৃতকর্মের জন্য। সচেতনতার দিকটা আমার ঘাটতি ছিলো। ইনশাআল্লাহ এইরকম ভুল করা থেকে আমি বিরত থাকবো।আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit