" কুয়াশার নগরীতে - শেষ পর্ব"
গত পর্বের পর....
কিছুক্ষণ হাঁটার পর রুমি দেখতে পেল, বাগানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে এক বৃদ্ধ লোক।
তার গায়ে একটি পুরনো চাদর দিয়ে মোড়া, হাতে একটি বাঁশের লাঠি। রনি সাহস করে বৃদ্ধ লোকটির কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল, “এই জায়গাটা কী? কোথায়? আমি আগে তো কখনো দেখিনি।”
বৃদ্ধ লোকটি মৃদু হেসে বললেন, “এটা সেই জায়গা যেখানে কেবল যারা সত্যিকার অর্থে কল্পনা করতে পারে, তারাই আসতে পারে এখানে। এটা কুয়াশার নগর। এখানে যা কিছু তুমি দেখছো, সবকিছু তোমার কল্পনার ফসল।”
রনি বিস্মিত হয়ে বৃদ্ধের কথা শুনল। বৃদ্ধ লোকটি বললেন, “তুমি যতক্ষণ এখানে থাকবে, ততক্ষণ তোমার কল্পনার জগতে তুমি বসবাস করবে। কিন্তু মনে রেখো, সূর্য ওঠার আগে তোমাকে ফিরে যেতে হবে, নইলে তুমি এই কল্পনার জগতে চিরতরে আটকে পড়বে।”
রুমি কিছুটা ভয় পেলেও, বাগানের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে আরও কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করলো। কিন্তু সময় গড়িয়ে যাচ্ছিল, আর কুয়াশাও ধীরে ধীরে পাতলা হয়ে আসছিল। বৃদ্ধের কথা মনে পড়তেই রনি দ্রুত ফিরে আসার জন্য পথ ধরল।
বাড়িতে ফিরে এসে রনি দেখে, কুয়াশা কেটে গিয়েছে। চারপাশের জগৎটা আবার আগের মতোই হয়ে গেছে। সে কি সত্যিই সেই কল্পনার জগতে গিয়েছিল, নাকি সবই তার মনের কল্পনার খেলা? এই প্রশ্নের উত্তর সে জানে না। তবে এতটুকু জানে, কল্পনার জগতে একবার ঢুকে পড়লে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা সত্যিই কঠিন।
সেই দিন থেকে, রনি শীতের কুয়াশা দেখলেই হাসে, কারণ সে জানে, কুয়াশার আড়ালে একটা রহস্যময় নগরী লুকিয়ে আছে।