আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, আজ পবিত্র জুম্মার দিন। সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি। আজকে আবারো আপনাদের সামনে আরেকটি নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।
সাধারণত আমরা অন্যান্য দিনের তুলনায় জুম্মার দিনকে একটু বেশিই গুরুত্ব দিয়ে থাকি।জুম্মার দিন আযান দেওয়ার সাথে সাথে দুনিয়াবী সকল কাজকর্ম বন্ধ করে নামাজের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।জুম্মার দিনের গুরুত্ব এবং তাৎপর্য বিবেচনা করে প্রত্যেকটা মুসলিমের এই দিনটিকে কাজে লাগানো উচিত।
আল্লাহ তায়ালার কাছে জুম্মার দিনের গুরুত্ব এতটাই বেশি যে পবিত্র কোরআন মাজীদে (জুমা) নামে একটি সূরা নাযিল করা হয়েছে। জুম্মার দিনটিকে গরীবের হজের দিন হিসাবেও বিবেচনা করা হয়।জুম্মার দিন নামাজের জন্য যে ব্যক্তি যত তাড়াতাড়ি মসজিদে যাবে সেই ব্যক্তির তত বেশি সওয়াব পাবে।
জুম্মার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে নবী করীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
,যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়,ওই দিনগুলোর মধ্যে জুম্মার দিন সর্বোত্তম।জুম্মার দিন আদম (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছে। জুম্মার দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং জুম্মার দিনে তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেয়া হয়।আরে জুম্মার দিনে কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে'।
মুসলিম শরীফ হাদিস আর ৮৫৪।
আল্লাহ তাআলা আদম (আ.) কে জুম্মার দিন সৃষ্টি করেছেন। এই জুম্মার দিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান এবং দুনিয়াতে এই দিনেই তাকে পাঠান। এই জুম্মার দিনে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামত সংঘটিত করবেন। এছাড়াও এই জুম্মার দিনে ইতিহাসে বড় বড় মহৎ ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়াও জুম্মার দিনের তাৎপর্য ও গুরুত্ব নিয়ে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে।রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম আরো একটি হাদিসে বলেছেন,
'আল্লাহর কাছে জুম্মার দিনটি ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের দিনের মতো শ্রেষ্ঠ দিন।এই দিনটি আল্লাহ তাআলার কাছে অতি মর্যাদা সম্পন্ন দিন'।
ইবনে মাজহা হাদিস ১০৮৪।
জুম্মার দিনের তাৎপর্য ও গুরুত্ব অনেক বেশি। জুম্মার দিনের তাৎপর্য ও গুরুত্ব বিবেচনা করে আমাদের প্রত্যেক মুসলিমের উচিত এই দিনটিতে বেশি বেশি করে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী করা।
প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে এ পর্যন্তই আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।