আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, এই তীব্র তাপমাত্রা ও রোদ গরমে সবাই কেমন আছেন?আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি। আজকে আবারো আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম আরেকটি নতুন ব্লগ নিয়ে।আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।
আজকে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে এক ট্রাক মাল লোড হচ্ছে। আজকে যে মাল লোড হচ্ছে সেটি হচ্ছে পুরাতন লোহা।এ সকল মাল আমি স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করে থাকি। যারা ভাংড়ির ব্যবসা করে সেই সকল দোকানদাররা আমার প্রতিষ্ঠানে মালগুলো পৌঁছে দেয়। এরপর আমরা এই মালগুলো প্রসেসিং করে গাড়ি লোড দিয়ে ঢাকায় রড কারখানায় পাঠায়।
আজকে ট্রাকে যে মাল লোড হচ্ছে, এখানে দুই কোয়ালিটির মাল আছে। একটা মাল হচ্ছে সুপার, আরেকটা হচ্ছে রড কাটিং। দুইটা কোয়ালিটি মালের দুই রকম দাম।আজকের মিল রেট অনুযায়ী সুপার কোয়ালিটি মালটির দাম প্রতি কেজি ৫৬ টাকা ৫০ পয়সা এবং রড কাটিং কোয়ালিটির মালটির দাম প্রতি কেজি ৫৯ টাকা ৫০ পয়সা। এই ট্রাকে ১৫ হাজার ২৯০ কেজি মাল রয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৯ লক্ষ টাকার উপরে।
এই ট্রাকটি সম্পূর্ণ লোড করার জন্য ৬ জন লেবার রয়েছে।এদের সাথে আমার গাড়ি চুক্তি করা। এই গাড়িটা সম্পূর্ণ লোড করে দিবে তাদের পারিশ্রমিক হিসেবে দেয়া হবে ৬ হাজার টাকা। সকালে এবং দুপুরের খাওয়া দাওয়া আমাকে দিতে হবে। লেবারগুলো সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে এই গাড়িটা সম্পূর্ণভাবে লোড করে দিচ্ছে। এখানে আমার একজন ম্যানেজার আছে তার নাম মোঃ আশরাফুল ইসলাম। গাড়ি লোডের এই সম্পূর্ণ দায়িত্বটা তার উপর। ম্যানেজার সার্বিক সবকিছু দেখাশোনা করে আজকে এই গাড়ি লোডটি সম্পূর্ণ করে দিচ্ছে।
গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে লোড হয়ে গেলে সুন্দর করে রশি দিয়ে বেঁধে ঢাকায় রডমিলের উদ্দেশ্যে রওনা করবে। আজকের এই গাড়িটি যাবে কদমতলী স্টীল মিলে। গাড়ির নাম্বার ঢাকা মেট্রো ট ১৬-৮৬৮৯।আজকে এই গাড়িটি নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে আছে ড্রাইভার মোঃ মুক্তার আলী। তিনি একজন অভিজ্ঞ ড্রাইভার। তিনি দীর্ঘ ২০বছর ধরে এই কাজে নিয়োজিত আছেন। তার এই ২০ বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি এখনো পর্যন্ত এই কাজ ভালোভাবে করে যাচ্ছেন।
প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।