আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।এই কয়েকদিন অনেক রোদ গরম পড়েছে।আজকে আবার প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল।বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোকে মহা বিপদ সংকেত দেয়া হয়েছে।আমরা সকলেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সতর্কতা অবলম্বন করব এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করব যেন আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। আজকে আমি আপনাদের সামনে আরেকটি নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।
আজকে আমি আমার শখের মোটরসাইকেলে ঘুরাঘুরির তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। এর আগে আমি প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে মোটরসাইকেল এ ঘুরাঘুরির কয়েকটি জায়গায় গিয়েছিলাম এবং সেগুলো আপনাদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেছিলাম। আজকের ব্লগ টি হল বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী মুজিবনগর নিয়ে।আমার বাসা থেকে মুজিবনগর প্রায় ৭০/৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আমার প্রিয় বন্ধুবান্ধব নিয়ে মুজিবনগর যাওয়ার একটি প্ল্যান করলাম। যেই প্লান সেই কাজ সবাই মুজিবনগর যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। আমরা মোটরসাইকেল যোগে মুজিবনগর যাওয়ার জন্য সকাল ১০টায় বাসা থেকে বের হলাম।আমরা মোট ১০ জন বন্ধু পাঁচটা মোটরসাইকেল যোগে মুজিবনগরের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
আমরা রাস্তায় কয়েক জায়গায় ব্রেক নিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ আমরা সবাই খুব ভালোভাবে মুজিবনগর পৌঁছেছি। আমাদের মুজিবনগর যেতে যেতে দুপুর হয়ে গিয়েছিল। আমরা সবাই একটি হোটেলে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে নিলাম। এরপর আমরা মুজিবনগরের যে ঐতিহাসিক স্থানগুলো আছে সবগুলো ঘুরে ঘুরে দেখলাম।বিশাল জায়গা জুড়ে এই মুজিবনগর কমপ্লেক্সটি তৈরি।আমরা প্রথমে মুজিবনগর এর ঐতিহাসিক স্মৃতি সৌধ ওই জায়গাটিতে ঘুরলাম। স্মৃতিসৌধের ওই জায়গায় আমি ছবি তুলি নাই তাই ছবি এখানে দিতে পারি নাই। এরপর আমরা চলে গেলাম মুজিবনগর কমপ্লেক্সএ।ওই জায়গাটিতে বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকানো আছে এবং মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি এবং অনেক ভাস্কর্য আঁকানো আছে। আমরা এর চারপাশ ঘুরে দেখলাম এবং এর সৌন্দর্য উপভোগ করলাম কিছু ছবি তুললাম।
মুজিবনগর কমপ্লেক্সটি অনেক বড় জায়গা জুড়ে অবস্থিত। সেখানে বিশাল বড় বড় আম বাগান আছে। আমরা মোটামুটি সব জায়গায় ঘুরাঘুরি করলাম ছবি তুললাম। এরপর আমরা চলে গেলাম বাংলাদেশ-ইন্ডিয়ার সীমান্তের কাছে। সীমান্তের কাছে বাংলাদেশের বিজিবি পাহারা ছিল তারা আমাদেরকে বেশি দূরে যেতে দেয়নি। কারণ এটাই তাদের দায়িত্ব। আমরা নিজের চোখে দেখলাম ওই পাশে ইন্ডিয়া আর এই পাশে বাংলাদেশ।নিচের ছবিটিতে যে সাদা পিলারটি দেখা যাচ্ছে সেটি হল বাংলাদেশের শেষ সীমানা আর ইন্ডিয়ার সীমানা শুরু।
এরপর আমরা ওইখান থেকে ঘুরাঘুরি শেষ করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।পথেমধ্যে আমার এক বন্ধু বলল চুয়াডাঙ্গার ডিসি পার্ক নামে একটি দর্শনীয় স্থান আছে। এরপর আমরা চুয়াডাঙ্গায় ডিসি পার্কে গেলাম ওই জায়গাও একটু ঘোরাঘুরি করলাম। সময় স্বল্পতার জন্য আমরা বেশিক্ষণ ওই জায়গায় থাকতে পারি নাই। এরপর আমরা সবাই আবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আলহামদুলিল্লাহ আমরা সবাই খুব ভালোভাবে সন্ধ্যার পরে বাসায় এসে পৌছালাম। এই সারাক্ষণ ঘুরাঘুরির মধ্যে আমার প্রিয় শখের মোটরসাইকেল এবং আমার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবগুলো সারাক্ষণ আমার সাথেই ছিল। ধন্যবাদ সবাইকে।