প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাsteemCreated with Sketch.

in amarbanglablog •  2 months ago 

কোটা বিরোধী বিক্ষোভকারীদের উপর মারাত্মক পুলিশি দমন-পীড়নের ফলে গত মাসে ২০০ এর উপর নিরিহ মানুষ মারা যায় ।বাংলাদেশী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতারা বলেছেন যে গত মাসে কোটা বিরোধী বিক্ষোভকারীদের উপর মারাত্মক পুলিশি দমন-পীড়নের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলন (আইন অমান্য অভিযান) চালিয়ে যাবেন।
images.jpegScreenshot_2024-08-05-04-23-48-52_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12.jpg

বৈষম্যের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় ।তারা তাদের ৯ দফা দাবিকে ১ দফা দাবিতে পরিবর্তন করে আর এই ১ দফা দাবি হচ্ছে "প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ "।

সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম রাজধানী ঢাকায় জাতীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে হাজার হাজার জনতার কাছে বজ্রকণ্ঠে আবেদন করে বলেন, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে এবং তাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে,” ।আগের দিন শনিবার হাসিনার সাথে আলোচনার প্রস্তাব বিক্ষোভকারীরা প্রত্যাখ্যান করেছিল ।

বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্ররা রবিবার থেকে তাদের স্বদেশীদের ট্যাক্স এবং ইউটিলিটি বিল ( গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ) দেওয়া বন্ধ করে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে বলেছেন।
তারা সরকারি কর্মী ও দেশের অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ পোশাক কারখানার শ্রমিকদের এই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে বলেছে। এদিকে দেশের সকল শ্রেণীর মানুষেরা ( ডাক্তার , শিক্ষক, অভিভাবক , উকিল, আলেম-ওলামা, ও সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ) এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। সরকার বিরোধী দেশের সকল রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
Screenshot_2024-08-05-04-22-32-24_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12.jpg13-20240804000412.jpg

সকলে হাসিনা সরকারকে "স্বৈরাচারী সরকার "আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে এই সরকারের পদত্যাগের দাবি জানান। সকলের মুখে একটাই স্লোগান " দফা এক দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ"।

এদিকে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশীরা আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন,"আন্দোলনকারীরা ছাত্র নয় বরং তারা সন্ত্রাসী, এদের দমন করা হবে"।

রবিবার অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্র, সরকারি দলের নেতাকর্মী, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের হিসেবে ৯০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন কয়েক শতাধিক । ফলে এই দিনে সারা দেশে সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফিউ জারি করা হয়েছে।

এদিকে বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্ররা তাদের মঙ্গলবার এর " লং মার্চ টু ঢাকা "কর্মসূচি মঙ্গলবার এর পরিবর্তে একদিন এগিয়ে নিয়ে সোমবার এই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ।

এখন প্রশ্ন থেকে যায় , " লং মার্চ টু ঢাকা" কর্মসূচি কি সফল হবে না কি সরকারের দেয়া কার্ফিউর কারণে এই কর্মসূচি ব্যাহত হবে। আর এই কর্মসূচি যদি সফলতার মুখ দেখে তাহলে কি সরকারের পতন হবে? যদি হাসিনা সরকারের পতন হয় তাহলে ক্ষমতায় কে আসবে? নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দেশ চলবে ? নাকি সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে?

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.