ইসলামের দৃষ্টিতে পাখি পালন :
ইসলামের দৃষ্টিতে পাখি পোষা বৈধ না অবৈধ?
বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম
মানুষ মাত্রই বিনোদন প্রিয়। মানুষ মাত্রই বন্ধু প্রিয়। মানুষ মাত্রই সঙ্গ প্রিয়।
তাই মানুষ নিজ নিজ রুচি ও সামর্থ অনুযায়ী বিনোদন লাভের চেষ্টা করে। এবং নিঃসঙ্গতা কাটানোর জন্য কিংবা অবসর সময়টা আত্মতৃপ্তির সাথে অতিবাহিত করার জন্য সঙ্গীর সহায়তা নেয়। এই সঙ্গী হতে পারে অন্য কোন মানুষ কিংবা কোন প্রাণী।
স্বজাতী মানুষের বাইরেও মাছ, গাছ, পশু, পাখি প্রভৃতির প্রতি মানুষের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখতে পাই। তবে বহুকাল আগে থেকেই মানুষ তার সঙ্গী হিসেবে রিফ্রেশমেন্টের জন্য বিভিন্ন পশু ও পাখি পুষে আসছে। শুধুমাত্র মুসলিম নয়, অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষের মাঝেও এই শখ আছে বলে আমরা ইতিহাস হতে জানতে পাই। আমরা যারা গ্রামে থাকার সৌভাগ্য পেয়েছি তারা দেখেছি মানুষ শখে হাস-মুরগী-কবুতর জাতীয় পাখি পালন করে থাকে। এই শখ মূলতঃ বিনোদন থেকে আসেনি। বরং অবসর সময়টা যেন বাড়ীর মহিলাদের কোয়ালিটি টাইম হয় সে ধারণা থেকেই ওসব পালন করা। ওগুলো পেলে পুষে তাদের সময় যেমন কাটে তেমনি ডিম বাচ্চা থেকে দু পয়সা ইনকামও হয় হাত খরচের জন্য।
তবে বাংলার শহুরে সংস্কৃতিতে অনেককেই কথা বলা ময়না, টিয়া, শালিক স্রেফ শখের বসে পুষতে দেখা যায়।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই শখের পাখাল ছিলো আছে এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ্! কারণ নিষ্পাপ বিনোদনের যতগুলো মাধ্যম আছে তার মধ্যে পাখিই বর্তমানে প্রথম স্থান দখল করে আছে।
আমাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন পাখি পালক সংগঠনের ফেসবুক গ্রুপ, ওয়ার্কশপ ও সামাজিক সচেতনতা কর্মসূচীর পজেটিভ ইম্প্যাক্ট হিসেবে ইয়ং জেনারেশন এবং আমার মতো তরুন মনের বয়স্ক মানুষদের অনেকেই পাখি পালনে শখ হিসেবে বেছে নিয়েছে। অনেক মানসিক ফ্রাস্টেশনে ভোগা ভাই ও বোনদেরকে দেখেছি যারা পাখি পুষতে শুরু করার পর আজেবাজে নেশা ও আড্ডাবাজি থেকে ফিরে এসে কোয়ালিটি টাইম পাস করতে সক্ষম হচ্ছে।
ইসলাম মানুষকে সঙ্গীহীন নিরস জীবন কাটাতে বলেনি। অর্থাৎ বৈধ শখ থাকা এবং তা বৈধ উপায়ে মেটানোকে ইসলাম সমর্থন করেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের শখ ও বিনোদনের জন্য কোন পশু বা পাখি পালনের অনুমোদন ইসলাম দিয়েছে কি-না?
আমরা আল কুরআনে দেখতে পাই সুলায়মান আলাইহিস সালাম-এর পোষা পাখি ছিল। যার নাম ছিল হুদহুদ। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে-
‘সুলায়মান পক্ষীকুলের খোঁজ-খবর নিল। অতঃপর বলল, কি হ’ল হুদহুদকে দেখছি না যে? না-কি সে অনুপস্থিত’ (নমল ২০)
আর বিখ্যাত সাহাবী আব্দুর রহমান ইবনু সা’খর-কে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিড়ালের ছানা পালার কারনে আবু হুরাইরা নামকরণ করেছেন..মানে বিড়াল ছানার বাপ।
সাহাবী আনাস ইবনু মালিক (রাযিআল্লাহু আনহু) এর এক ছোট ভাই আবূ উ’মায়র পাপিয়া বা বুলবুলি পাখি পালন করতো।
আনাস ইবনু মালিক (রাযিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের নিকট আসতেন, আর আমার একটা ছোট ভাই ছিল- যার কুনিয়াত (ডাক নাম বা উপনাম) ছিল আবূ উমায়র। তার ছোট একটা পাখী ছিল,যা নিয়ে সে খেলা করতো। হঠাৎ পাখিটি মারা যায়। তখন নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদিন তার কাছে এসে তাকে বিমর্ষ দেখে বলেন- তার কি হয়েছে? লোকেরা জবাব দেয়- তার চড়ুই/পাপিয়া পাখিটি মারা গেছে। তখন তিনি (ওর মন ভালো করার জন্য ছন্দে ছন্দে) বলেন-
ইয়া আবা উ’মায়র
মা ফাআ’লান নূগায়র!
অর্থ- হে আবূ ‘উমায়র!
কেমন আছে তোমার নুগায়র?
[সূনান আবু দাউদ (ইফা.), অধ্যায়ঃ ৩৬/ আদব, হা/ ৪৮৮৫] [অনুরূপ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)-৬১২৯, আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-৫৫৮৬] [অনুরূপ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)-৬২০৩, মুসলিম ৩৮/৫, হা/২১৫০, আধুনিক প্রকাশনী হা/৫৭৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন হা/৫৬৫৭]
** আরবী নুগায়র হচ্ছে চড়ুইয়ের মত একটি ছোট্ট পাখি। কেও কেও একে পাপিয়া বা বুলবুলি পাখিও বলেছেন।
নোট:
আল্লাহ্’র রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবী আনাস ইবনু মালিক (রাযিআল্লাহু আনহু) এর ছোট ভাই চড়ুই বা পাপিয়া জাতীয় ছোট পাখি পালতেন। রাসূলুল্লাহ্ও সাহাবী আনাস এর ছোট ভাইয়ের পাখি পালন সম্পর্কে জানতেন। এজন্য সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের বাড়ীতে গেলে পাখিটির খোজ খবর নিতেন। লক্ষ্যনীয় হচ্ছে, বনের পাখি ঘরে পালন যদি অবৈধ হতো তবে রাসূলুল্লাহ্ জানা মাত্রই পাখিটিকে ছেড়ে দিতে বলতেন, তা না করে আবূ উমায়রের সাথে পাখিটিরও খোঁজ-খবর চেয়ে মজা করতেন না।
খুঁজলে হয়তো আরো এমন ঘটনা বেড়িয়ে আসবে। তাই মূল প্রসঙ্গে আসা যাক-
ইসলামী শরীয়ায় খাঁচা বা বদ্ধ জায়গায় পাখি ও পশু পালনে কোনরূপ নিষেধাজ্ঞা পাওয়া যায় না অর্থাৎ একে হারাম বা নিষিদ্ধ করা হয়নি। আবার উৎসাহিতও করা হয়নি। অর্থাৎ এটা মুবাহ্ (সওয়াবও নেই, গুনাহও নেই)। তবে যদি কেউ কোন পাখি বা পশু শখ করে পুষতে চায় তবে ইসলাম তার শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দিয়েছে। আর সে শর্ত হচ্ছে- পোষা পাখি ও পশুর প্রতি যত্নবান হতে হবে, তাদেরকে উপযোগী বাসস্থান দিতে হবে, পর্যাপ্ত পানি ও খাদ্য প্রদান করতে হবে, অবস্থান অনুযায়ী সম্মান করতে হবে, ভালোবাসতে হবে এবং অসুস্থ্য ও রোগাক্রান্ত হলে চিকিৎসা করাতে হবে। যদি পালকের অযত্ন ও অবহেলার কারণে পোষা পাখি ও পশুর কোনরূপ কষ্ট হয় বা তারা মৃত্যুবরণ করে তবে তাকে নিশ্চিত মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্’র নিকট কঠিন জবাবদিহীর সম্মুখীন হতে হবে। আপনি যদি ভাবেন যে, সামান্য পাখিই তো! ওর সেবা বা চিকিৎসা করতে গিয়ে আমার মূল্যবান সময় আর অর্থ অপচয়ের মানে হয় না, মরে গেলে আরেকটা কিনে আনব। ওয়াল্লাহি! আল্লাহ্’র শান ও মানের কসম! আপনার নিকট সামন্য মনে হওয়া এই অযত্ন ও অবহেলার শাস্তিস্বরূপ আপনাকে জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হতে পারে।
পালিত পশু-পাখিকে যথাযথ খাবার খাওয়ানো, সঠিক যত্ন নেয়া এবং তার যেনো কোনোপ্রকার কষ্ট না হয় সেদিকে ভালোভাবে খেয়াল রাখা একজন পালকের নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের দয়ার নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব সময় পশু-পাখির প্রতি দয়া প্রদর্শন করতে বলেছেন। অকারণে তাদেরকে মেরে ফেলা, তাদের ওপর অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেয়া, নিজেদের বিনোদনের নামে অতিরিক্ত কষ্ট দেয়াকে তিনি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
সাহল ইবনু হানযালিয়্যা (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, ‘এসব বোবা প্রাণীর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। সুস্থ অবস্থায় এগুলোতে আরোহণ করো, সুস্থ অবস্থায় ভক্ষণ করো।’ (আবু দাউদ, ইফা. হা/২৫৪০)
আমরা অনেকেই ছোট ছোট বাচ্চদেরকে হাতে পাখি তুলে দেই তাদের বিনোদন বা খুশির জন্য। অথচ ঐ অবুঝ বাচ্চাটির অবহেলা ও বুঝজ্ঞান কম থাকার জন্য যদি পাখিটি মারা যায় তবে অভিভাবককে তার দার দায়ীত্ব বহন করতে হবে।
হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাযিআল্লাহু আনহু) কিছু সংখ্যক কুরায়শ যুবকের কাছে দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। তারা একটি পাখি বেঁধে তার প্রতি তীর নিক্ষেপ করছিলো। আর তারা পাখীর মালিকের জন্য প্রতিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট তীর নির্ধারণ করছিলো। অতঃপর তারা ইবনু উমার (রাযিআল্লাহু আনহু) কে দেখে এদিক সেদিক পালিয়ে গেল। উমার (রাযিআল্লাহু আনহু) বললেন, কে এ কাজ করলো? যে এরূপ করেছে তার প্রতি আল্লাহর লাণত-অভিসম্পাত। রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অভিসস্পাত করেছেন, যে কোন প্রানীকে লক্ষ্যস্থল বানায়। [সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) হা/৪৯০২]
ইবনু ‘উমার হতে বর্ণিত যে, তিনি ইয়াহ্ইয়া ইবনু সাঈদের কাছে গিয়েছিলেন। এ সময় ইয়াহ্ইয়া পরিবারের একটি বালক একটি মুরগীকে বেঁধে (খেলাচ্ছলে) তার দিকে তীর ছুঁড়ছিল। ইবনু ‘উমার মুরগীটির দিকে এগিয়ে গিয়ে সেটি মুক্ত করে দিলেন। তারপর মুরগী ও বালকটিকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে গিয়ে বললেন, হত্যার উদ্দেশে এভাবে বেঁধে পাখি মারতে তোমরা তোমাদের বালকদের বাধা দিও। কেননা, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি- তিনি হত্যার উদ্দেশে জন্তু জানোয়ার বেঁধে তীর নিক্ষেপ করতে নিষেধ করেছেন। [সহীহ বুখারী (তাওহীদ) হাদিস নম্বরঃ ৫৫১৪, মুসলিম ৩৪/১২ , হাঃ ১৯৫৭, ১৯৫৮]
আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একজন মহিলাকে একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে আযাব দেওয়া হচ্ছে। মহিলাটি বিড়ালটি বেঁধে রেখেছিল, অবশেষে বিড়ালটি ক্ষুধায় মারা যায়। এ কারণে মহিলা জাহান্নামে প্রবেশ করলো। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (মহিলাকে উদ্দেশ্য করে) বলেন, আল্লাহ ভালো জানেন, বাঁধা থাকাকালীন তুমি তাকে না খেতে দিয়েছিলে, না পানি পান করতে দিয়েছিলে এবং না তুমি তাকে ছেড়ে দিয়ে ছিলে, তা হলে সে যমীনের পোকা-মাকড় খেয়ে বেঁচে থাকত।
আবূ হুরায়রা (রাযিআল্লাহু আনহু) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে। [সহীহ বুখারী (ইফা.), হা/২২০৯] [সহীহ বুখারী (তাওহীদ)-২৩৬৫, ৩৩১৮, ৩৪৮২, মুসলিম ৩৯/৪০, হা/ ২২৪২, আধুনিক প্রকাশনী: ২১৯২, ইসলামী ফাউন্ডেশন: ২২০৯]
নোট:
হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী বিড়ালটিকে ঘরে আটকে পালার জন্য নয়, বরং পোষা বিড়ালটির মৌলিক চাহিদা (খাদ্য, পানি, বাসস্থান) পূরণ না করার কারণে এবং পোষা প্রাণীর প্রতি অবহেলা প্রদর্শণের কারণে মহান আল্লাহ্ মহিলাটিকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করেছেন। অর্থাৎ যদি মহিলাটি তার পোষা বিড়ালকে প্রয়োজনীয় খাবার ও পানি দিতো, যত্ন নিতো, অসুস্থ্য ও রোগাক্রান্ত হলে চিকিৎসা করাতো তবে তার কোন অপরাধ হতো না।
পরিশেষে বলবো, সঠিক যত্নের সঙ্গে পশু-পাখি খাঁচায় বন্দি করে পালন করা ইসলামের দৃষ্টিতে যদিও জায়েজ, কিন্তু এর দ্বারা যেন তাদের বিচরণের স্বাধীনতা হরণ করা না হয়। তাই যেসকল পাখি বনে জঙ্গলে সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকতে সক্ষম এবং সরকারের নিষিদ্ধ তালিকার অন্তর্ভূ্ত এসকল পাখি আমাদের কাো হাতে আসে তাদের বন্দি না বানিয়ে স্বাধীনভাবে ছেড়ে দেয়াই উত্তম। আবদুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ (রাযিআল্লাহু আনহু) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন- আমরা কোন এক সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সংগে ছিলাম। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রয়োজনে বাইরে গেলে, আমরা সেখানে একটা চড়ুই পাখী দেখতে পাই, যার দু'টি বাচ্চা ছিল। তখন আমরা তার বাচ্চা দু'টি নিয়ে আসলে, সে আমাদের উপর আছড়ে পড়ে। এ সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে বলেনঃ কে এর বাচ্চা এনে একে কষ্ট দিচ্ছ! এর বাচ্চা একে ফিরিয়ে দাও। [আবু দাউদ (ইফাঃ) হা ৫১৭৮]
কুরআন ও হাদীস যেহেতু বিপরীত বক্তব্য পাওয়া যায় না সেহেতু ইসলামে পাখি পালন নিষিদ্ধ নয় এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়। গবেষক আলেমগণও এই মত ব্যক্ত করে ফাতাওয়া প্রদান করেছেন।
মহান আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়া মায়া দেখিয়ে ভালো মুসলিম হিসেবে বেঁচে থাকার তাওফীক দিন।
এ বিষয়ে প্রখ্যাত উলামাগণের ফাতাওয়া জানতে দেখুন-
http://www.islamqa.com/en/ref/48008/birds
http://qa.sunnipath.com/issue_view.asp?HD=3&ID=4150&CATE=417
http://www.islam.tc/ask-imam/view.php?q=13240
হাদীস ও ফাতাওয়া সংকলন: Akik Rŭssel