ফ্লোর ডি লা মার

in banglablog •  last year  (edited)

images.jpeg

হারিয়ে যাওয়া সেই অভিশপ্ত জাহাজ

আরেকটি পরিচিত নাম ফ্লোর ডিলা মার। এটি একটি পর্তুগিজ জাহাজ। ১৫০২ সালে নির্মাণ করা জাহাজটি কেবল বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেই নয়, যুদ্ধক্ষেত্রেও সমানভাবে ব্যবহার করা হতো। ১৫১১ সালে নিখোজ হওয়ার আগ পর্যন্ত এটি ব্যস্ত সময় পার করে। দীর্ঘ নয় বছর সাফল্যের সঙ্গে সমুদ্র দাপিয়ে বেড়ায় ফ্লোর দেলা মার। কিন্তু সমস্যা বাঁধে যখন জাহাজটি ফুটো হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। যদিও এর আগে নিয়মিতভাবে জাহাজটির মেরামতের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু কোনো প্রকার সুরক্ষাকবচ না নিয়ে, শেষবারের মতো জাহাজটি মালাক্কার পথে যাত্রা করে। কথিত আছে- সোনা, হীরা এবং অনেক রত্নপাথর বোঝাই কার্গো নিয়ে ফ্লোর দেলা মার মালাক্কায় যাত্রা করে। যদিও এর স্বপক্ষে সঠিক দলিল মেলেনি। বলা হয়, সেদিন জাহাজে থাকা স্বর্ণ, মূল্যবান মণিমুক্তা, রাজভান্ডারের সোনার মোহর ইত্যাদি সবই ছিল লুটকৃত। তাই নাকি বোঝাই করে জাহাজটি শেষ যাত্রা করেছিল। জাহাজের মেরামতের প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও বন্দর ছাড়ার আগে এটি বেশ অনিরাপদ এবং নিয়ন্ত্রণহীন বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো সেদিন কোনো ক্র সদস্যই এই যাত্রা থামানোর চেষ্টা করেননি। সে যাত্রায় দায়িত্বরত ক্রু সদস্যরা কাগো বোঝাই সম্পদ নিয়ে লিসবনে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছিল দৃঢ় এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। অতিরিক্ত আত্মত্মবিশ্বাসের কারণে নাকি তারা জাহাজ নিয়ে পর্তুগালের উদ্দেশে পাড়ি দেয়। দুঃখজনকভাবে, জাহাজটি মালাক্কা প্রণালি হয়ে যাওয়ার সময় ভয়ানক এক ঝড়ের কবলে পড়ে।

ফলাফল মেরামতহীন জাহাজটি রক্ষিত ধনসম্পদ নিয়েই সুমাত্রার উত্তর তীরের সাগরে তালিয়ে যায়। যেহেতু প্রচলিত রয়েছে, জাহাজে প্রচুর ধনসম্পদ ছিল, তাই এটি খুঁজে বের করার জন্য অসংখ্যবার অনুসন্ধান চালানো হয়। যদিও জাহাজটি আর কখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। কথিত আছে, লুটকৃত ধনভান্ডারের অভিশাপেই নাকি জাহাজটি সমুদ্রগর্ভে চিরতরে বিলীন হয়ে গেছে। প্রকৃত ঘটনা যাই হোক, আজো উৎসুক গুপ্তধন অনুসন্ধানকারীরা জাহাজ পুনরুদ্ধারে কাজ করছে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

Thank you