হঠাৎ মেয়েটি তার প্রেমিককে বললো -আচ্ছা তিথি খুব সুন্দরী ছিলো তাই না?
প্রেমিক প্রশ্ন শুনে একটা ঢোক গিলে। তিথি তার সাবেক প্রেমিকা। এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া পৃথিবীর সবচে' কঠিন কাজ। কারণ এটা এমন একটা প্রশ্ন, যে প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলেই ফেইল এবং শাস্তি। অতএব ছেলেটি অন্যপথ ভেবে কাঁচুমাচু করে বললো "না! না! তুমি-ই খুব সুন্দরী"।
-এটা তো হলো না। আমি সুন্দরী কিনা জিজ্ঞেস করিনি।
-না না তিথি মোটেও সুন্দরী না!
মেয়েটি এবার গলা কিছুটা নরম করে " বলো না প্লিজ, আমি সিরিয়াস। খুব সুন্দরী ছিলো?"
-আমিও সিরিয়াস। সে ততটা সুন্দরী না (কনফিডেন্স অক্ষুন্ন রেখে)
-ততটা মানে কতটা সুন্দরী তাহলে?
-সুন্দরী না! একদমই না।
মেয়েটার কন্ঠ এবার আরও কোমল হয় “প্লিজ বাবু সত্যি করে বলোও নাআআ। ঝগড়া করবো না। মানুষ সুন্দরী কিনা জানতে চাইতে পারে না?
-হু পারে, আলবৎ পারে
-তাহলে বলো, সুন্দরী কিনা?
-এঁএএএএ্ঁএএএঁ
-বলো বলো, শোন একটা মানুষ সুন্দরী হতেই পারে। সেটা তো তোমার দোষ না। আমি একদম রাগ করবো না।
-হু (ছেলেটি সত্য বলার সাহস পাচ্ছে)
-তাহলে বলো না তিথি দেখতে কী অনেক সুন্দরী ছিলো?
ছেলেটি অনেক ভেবে, প্রেমিকার উপর পূর্ণ বিশ্বাসে এনে, মুখটাকে D: ইমোর মত হাসি হাসি করে উত্তর দেয় “হ্যাঁ অন্নেক সুন্দরী ছিলো”।
- কী তিথি অন্নেক সুন্দরী? তো আমার পাশে বসে আছো কেন? যাও না তোমার তিথির কাছে!খবরদার তুমি আমাকে আজকের পর আর ফোন দিবা না।