এক সময় বাংলার লীলাভূমিতে রাজা নামে এক অপূর্ব বাংলার বাঘ বাস করত। রাজা তার শক্তি, সাহস এবং বুদ্ধিমত্তার জন্য সমগ্র বনে পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন সত্যিকারের জঙ্গলের রাজা।
একদিন রাজার ঘুম ভেঙ্গে গেল। তার মনে হয়েছিল যে তাকে বনে থাকার চেয়ে বড় কিছুর জন্য বোঝানো হয়েছিল। তিনি বিশ্বে একটি চিহ্ন রেখে যেতে চেয়েছিলেন, মহান কিছুর জন্য স্মরণীয় হতে চেয়েছিলেন।
তিনি জঙ্গল অন্বেষণ এবং তার চারপাশের প্রাণী পর্যবেক্ষণ শুরু করেন। তিনি লক্ষ্য করেছিলেন যে অনেক প্রাণী তাকে ভয় পায় এবং সে বুঝতে পেরেছিল যে তার শক্তি অন্যদের নিরাপদ এবং নিরাপদ বোধ করতে সাহায্য করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
তিনি বনের একজন রক্ষক হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, এতে বসবাসকারী সমস্ত প্রাণীর অভিভাবক হন। তিনি এলাকায় টহল শুরু করেন, সবকিছু এবং সবার উপর নজরদারি রাখেন। তিনি যেকোন সম্ভাব্য হুমকিকে ভয় দেখাতেন এবং প্রয়োজনে যে কোন প্রাণীকে সাহায্য করতেন।
অন্যান্য প্রাণীরা রাজার আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করতে শুরু করে। তারা বিস্মিত হয়েছিল যে তিনি কীভাবে একজন হিংস্র শিকারী থেকে একজন যত্নশীল এবং প্রতিরক্ষামূলক অভিভাবক হয়েছিলেন। তারা তাকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল এবং এমনকি তার দিকে তাকিয়ে ছিল।
সময়ের সাথে সাথে রাজার খ্যাতি বনের বাইরেও বাড়তে থাকে। সারা বিশ্বের মানুষ তাঁর এবং তাঁর মহৎ কাজের কথা শুনেছিল। তিনি শক্তি, সাহস এবং সহানুভূতির প্রতীক হয়ে ওঠেন।
রাজার গল্প আমাদের শেখায় যে আমাদের সকলেরই পৃথিবীতে একটি পার্থক্য করার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের শুধু আমাদের উদ্দেশ্য খুঁজে বের করতে হবে, এবং অন্যদের সেবা করার জন্য আমাদের শক্তি ও প্রতিভা ব্যবহার করতে হবে। আমাদের ক্রিয়াকলাপ যত বড় বা ছোট হোক না কেন, সেগুলি আমাদের চারপাশের বিশ্বে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
তাই, আসুন আমরা সবাই রাজা, বেঙ্গল টাইগারের মতো হই, এবং আমাদের শক্তি এবং সাহসকে ব্যবহার করে বিশ্বকে একটি সুন্দর জায়গা করে তুলি।