সৈয়দ মুজতবা আলী। একজন লেখক, শিক্ষক, ভাষাবিদ, সংগঠক। সর্বোপরি একজন সফল মানুষ। আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৪ সালের এই দিনে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। জন্ম হয় ১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, সিলেটের করিমগঞ্জ শহরে। দেশ ভাগের পর করিমগঞ্জ ভারতের আসামের মধ্যে পড়েছে। সৈয়দ মুজতবা আলীর বাড়ি হবিগঞ্জে। বাবা সৈয়দ সিকান্দার আলী ছিলেন সরকারি চাকুরে। যে কারণে তাঁদের পরিবারের স্থায়ীভাবে বসবাস করা হয়নি কোথাও। তাঁর প্রাথমিক পড়াশোনাও হয়েছে তাই সিলেটের বিভিন্ন এলাকায়। ১৯৪৯ সালে সৈয়দ মুজতবা আলী অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন বগুড়া আযিযুল হক কলেজে। অবশ্য এখানেও বেশি দিন ছিলেন না তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই যোগ দেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ সময় উপমহাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, সাহিত্যিক মাওলানা আবুল কালাম আজাদের আমন্ত্রণে সচিব হিসেবে যোগ দেন ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেসান্সে। এর পর পরিচালক হিসেবে যোগ দেন অল ইন্ডিয়া রেডিওতে। রেডিওর চাকরিতে ইস্তফা দেন ১৯৫৬ সালে। টানা চার বছর শুধু লেখালেখি করেই কাটান। ১৯৬১ সালে আবারও ফিরে আসেন বিশ্বভারতীতে। রম্য রচনা ছাড়া ভ্রমণ কাহিনীতেও অনবদ্য ছিলেন মুজতবা আলী। পড়াশোনা ও চাকরি সূত্রে তিনি বিদেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন অনেকবার। বাংলা সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদানের কারণে ১৯৪৯ সালে তিনি অর্জন করেন নরসিং দাস পুরস্কার। এ ছাড়া ১৯৬১ সালে অর্জন করেন আনন্দ পুরস্কার।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!