সবাই কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ্ আমিও ভালো আছি।আজকে আমরা হালখাতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
হালখাতা নামক শব্দটি আমাদের সকল মানুষের কাছেই মোটামুটি পরিচিত।আগের দিনের ব্যবসায়ী মানুষেরা একটি মোটা খাতায় তাদের সাড়া বছরের হিসাব নিকাশ জমা রাখতো।তার পর প্রতি বৈশাখ মাসে তারা এই হালখাতা করতো।বৈশাখ মাসের শুরুতেই নতুন করে আবার হালনাগাদ করা হতো।
আগের দিনের মানুষের থেকেই এই হালখাতাটি প্রচলিত হয়েছে।প্রাচীন যুগ থেকে পাওয়া অনেক কাজই আমরা এখন করি না।কিন্তু আদিম যুগের এই হালখাতার প্রচলনটি এখনো সব ব্যবসায়ীগন ধরে রেখেছে।এখন আমাদের দেশের সকল ছোট বড় ব্যবসায়ীরাই বছরের শুরুতে হালখাতা করে।তার পর নতুন করে আবার সকল ব্যবসা শুরু করে।
হালখাতা বছরে একবারই করা হয়ে থাকে।হালখাতার সময় ব্যবসায়ীরা সকল ক্রেতাদের কে মিষ্টি প্রদান করে থাকে।ছোট বড় সব রকম দোকানেই এই হালখাতার অনুষ্ঠানটি পালন করা হয়ে থাকে।সকল ব্যবসায়ীদের কাছেই একটি আনন্দময় দিন হয় এটি।পহেলা বৈশাখে এই হালখাতার অনুষ্ঠানটি যেন সকল ব্যবসায়ীদের মনে আনন্দ নিয়ে আসে।
আগের দিনের মানুষেরা অনেক আয়োজন করে এই হালখাতাটি উৎযাপন করতো।তবে বর্তমান কালে এই হালখাতার অনুষ্ঠান উৎযাপন করা অনেকটাই কমে গিয়েছে।এখনকার মুসলিম ব্যবসীরা হিসাবের নতুন খাতার শুরেতে বিসমিল্লাহ্ কিংবা আল্লাহ্ ভরসা লিখে বছরের হিসাব নিকাশ শুরু করে থাকে।
For work I use:
মোবাইল |
Oppo A17 |
ফটোগ্রাফার |
@ayeshasiddika10 |
লোকেশন |
জীবননগর, চুয়াডাঙ্গা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
তবে হালখাতার সময় গান-বাজনা না বাজিয়ে মান সম্মত ভাবে হালখাতা পালন করাটাই সব চাইতে ভালো।হালখাতা হলো বাকি টাকা কালেক্ট করার দিন।ক্রেতারা সারা বছর যে সব জিনিস গ্রহন করে থাকে এবং তার মুল্য পরিশোধ না করে।সেই সকল মুল্য পরিশোধ করা হয় এই হালখাতা নামক দিনটিতে।