প্রিয়, পাঠকগণ,
কারো মুখে কথা নেই। শুধু ঘড়ির পেন্ডুলামটার টিকটিক শব্দ স্পষ্ট শোনা
যাচ্ছে। খখল বলল, 'আমার আধখানা মন ভালোবাসে, আর আধখানাতে ঘৃণা। একে তুমি মন বলবে?'
বইএর পাতা ওল্টানোর খস্থসানি শোনা যায়। পাভেল পড়তে শুরু করেছে নিশ্চয়। মা চোখ বুঝে নিথর হয়ে শুয়ে থাকে; যেন নিশ্বাস ফেলতে ভয়। খখলের জন্য বড় মায়া হয়; কিন্তু ছেলের জন্য আরো বেশি। লক্ষ্মী ছেলে...
'তাহলে না বলাই ভালো?'
খখল হঠাৎ বলে বসে, শান্তভাবে জবাব দেয় পাভেল, 'আমার তো মনে হয় তাই ঠিক হবে।'
'বেশ তাই হবে,' খখল বলে। তারপর কয়েক সেকেন্ড চুপ করে থেকে ধীরে ধীরে বিষণ্ণভাবে বলে, 'এ অবস্থায় পড়লে তোমার কী কষ্ট হবে পাভেল...'
'কষ্ট তো হচ্ছেই...'
দেয়ালের গা ঘেঁষে বাতাস শনশনিয়ে যায়। পেন্ডুলামটা নির্ভুলভাবে সময় মেপে চলে।
'এটা ঠাট্টার ব্যাপার নয়', খখল বলে। মা বালিশে মুখ গুঁজে নিঃশব্দে কাঁদে।
হামেশা যেমন-সেই রোগা সোজা চুপচাপ। এতদিন খখলকে মা আন্দ্রেই ওনিসিমভিচ্ বলে ডেকে এসেছে। কিন্তু আজ ভোরবেলা নিজের অজান্তেই বলে ফেলল:
আন্দ্রিউশা, * জুতোটা মেরামত করা দরকার, নইলে ঠাণ্ডা লাগবে।' 'মাইনে পেয়ে নতুন জুতো কিনব এক-জোড়া। হেসে জবাব দেয় খখল।
তারপর হঠাৎ হাতদুটো মায়ের কাঁধে রেখে বলে: 'আপনিই হয়তো আমার নিজের মা। আমি কিনা আপনার কুচ্ছিৎ ছেলে, তাই লোকের সামনে স্বীকার
করতে চান না। তাই না?' মা কথা না বলে আস্তে আস্তে ওর হাতে হাত চাপড়ায়। আদর উথলে উঠতে চায়। কিন্তু ব্যথায় আর দরদে ভরে আছে বুক; মুখ দিয়ে কথা সরে না।
For work I use:
মোবাইল |
realme C25s |
ফটোগ্রাফার |
@dreamlife10 |
লোকেশন |
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
মাঠে |
সমাজতন্ত্রীদের কথা বলাবলি করে বস্তির মানুষ। তারা নাকি নীল কালিতে লেখা ইস্তাহার বিলিয়ে থাকে। সে-সব ইস্তাহারে থাকে কারখানা-ব্যবস্থার কড়া সমালোচনা, পিটার্সবুর্গ আর দক্ষিণ রাশিয়ার ধর্মঘটীদের খবর। নিজেদের স্বার্থরক্ষার জন্য শ্রমিকদের এক হবার ডাক আসে।
কারখানায় যাদের বেশ দু-পয়সা রোজগার সেই মধ্য-বয়সীর দল চটে যায়। 'শুধু শুধু হাঙ্গামা বাধানো। মুখ ভোঁতা করে দিতে হয় ওদের।
চলবে..........
"অনেক ধন্যবাদ 💐 এই চিত্রের জন্য। সময় না-মেলে আগামী পর্বে ফিরে পাওঁ। 🙏
চিত্রটির মধ্যে দেখা যাচ্ছে, কল্পনা শীতকাল! 😊 ভেজা-ঘুমোড় হঠকার সব।
অনেক ধন্যবাদ 💐"
For work I use:
সমাজতন্ত্রীদের কথা বলাবলি করে বস্তির মানুষ। তারা নাকি নীল কালিতে লেখা ইস্তাহার বিলিয়ে থাকে। সে-সব ইস্তাহারে থাকে কারখানা-ব্যবস্থার কড়া সমালোচনা, পিটার্সবুর্গ আর দক্ষিণ রাশিয়ার ধর্মঘটীদের খবর। নিজেদের স্বার্থরক্ষার জন্য শ্রমিকদের এক হবার ডাক আসে।
কারখানায় যাদের বেশ দু-পয়সা রোজগার সেই মধ্য-বয়সীর দল চটে যায়। 'শুধু শুধু হাঙ্গামা বাধানো। মুখ ভোঁতা করে দিতে হয় ওদের।
চলবে..........
ধন্যবাদ জানিয়ে আজ এখানে শেষ করছি। দেখা হবে আগামী পর্বে। আল্লাহ হাফেজ।।"
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit