তমালের ঢাকা শহরের চাকুরিটা অনেক ভালো। থাকা খাওয়া তো আছেই। সাথে মাসে মাসে ৮০০ টাকা বেতন। অথচ গ্রামের মেম্বারের বাড়িতে থাকতে মেম্বারের বউয়ের হাতে মার খেয়ে কয়েকদিন সে আর কাজ করতে যায়নি। মেম সাহেবের ছোট ছেলেটা তমালের সমবয়সী। নতুন ক্লাসে উঠেছে। নতুন কতগুলো বই। তমালেরও পড়তে ইচ্ছা করে। কিন্তু ভয়ে ভয়ে বইগুলো সে ধরতেও পারে না। যদি মেম সাহেব কিছু বলে। সে পড়তে জানে না, তাই যখন ছোট সাহেব পড়তে বসে সে সময় পেলে দূরে দাঁড়িয়ে থাকে। বইয়ের সুন্দর ছবিগুলো দেখে তার জানতে ইচ্ছা হয় কী লেখা আছে সেখানে। কিন্তু কেউ তাকে বলে না সেই কথা! বাসায় যখন কেউ থাকে না তখন সে বইয়ের পাতাগুলো উল্টিয়ে দেখে। নতুন বইয়ের গন্ধ তাঁর দারুন লাগে।
তমালের সাহেবের বাড়িতে প্রতিদিন-ই ভালো ভালো রান্না হয়। কোনো দিন সে কিছু অংশ পায় আবার অনেক সময় বাসি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে। বাসি খাবার তমালের খারাপ লাগে না। রান্না ঘরে বসে সে খায় আর কল্পনায় তাঁর গ্রামের বন্ধুদের ভালো খাওয়ার গল্প শোনায়। পরক্ষনেই তাঁর মনে পড়ে এই মাসের মাইনে এখনো সে বাড়িতে পাঠাতে পারেনি। তমালের ভিক্ষুক দাদি না জানি তমালের ছোট দু বোনকে নিয়ে কি না কি খাচ্ছে। তমালের গাল বেয়ে দু ফোঁটা নোনা জল ঝরে পড়ে।
amazing
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit