পোস্ট টি খুব গুরুত্বপূর্ণ সতর্ক বার্তা! তাই ফেইসবুক থেকে কপি করে,,কিছু পরিমার্যন করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি!!! কারণ- এটি সবার জানা দরকার!!!!!
ব্লু হোয়েল ( Blue whale ) গেম, যেই
ভিডিও গেম খেললেই সে আত্মহত্যা
করতে পারে।।
।।
বাংলাদেশেও পৌঁছে গেছে ‘ব্লু
হোয়েল’ গেমস। আর এই গেমসের
নেশায় পড়ে রাজধানীতে আত্মহত্যা
করেছে এক কিশোরী। গত বৃহস্পতিবার
রাতে সেন্ট্রাল রোডের বাসায়
নিজের পড়ার কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে
ঝুলন্ত অবস্থায় অপূর্বা বর্ধন স্বর্ণার
লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
।।
অ্যাডভোকেট সুব্রত বর্মনের মেয়ে
এবং ফার্মগেটের হলিক্রস স্কুলের
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে
জানা গেছে, স্বর্ণা বিদ্যালয়ের
ফার্স্ট গার্ল ছিল। ওয়াইডব্লিউসিএ
হাইয়ার সেকেন্ডারি গালর্স স্কুলে
প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত
সম্মিলিত মেধা তালিকায় তার
অবস্থান ছিল প্রথম ।
।।
অ্যাপ স্টোর , প্লে স্টোর , ইন্টারনেট
বা গুগল কোথাও খুঁজে পাবেন না এই ‘
ব্লু হোয়েল ‘গেম , খুঁজে পেতে পারেন
কারো পাঠানো কোনো গোপন
লিংকের মাধ্যমে । এটি একটি
সুইসাইড গেইম অর্থাৎ গেম খেললে
মৃত্যু অনিবার্য ।
।।
আপনি আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন –
একটি গেম খেললে কিভাবে মৃত্যু
হবে ? কি বলেন ডাক্তার সাহেব !
।।
ওয়েট , আমি ব্যাখ্যা দিচ্ছি ।
।।
‘ ব্লু হোয়েল ‘ বা Blue whale এর অর্থ
নীল তিমি । নীল তিমিরা মৃত্যুর
আগে সাগরের তীরে উঠে আসে –
তারা আত্মহত্যা করে বলে অনেকের
ধারণা ! একারণেই গেমের নাম রাখা
হয়েছে ‘ Blue whale ‘ বা নীল তিমি ।
মনে রাখবেন – গেমটি বাধ্য করে
তার ইনস্টলকারীকে সবগুলো স্তর
খেলার জন্য ।
‘ ব্লু হোয়েল ‘ গেমটি ৫০ টি লেভেলে
বিভক্ত । F57 নামক রাশিয়ান
হ্যাকার টিম গেমটি তৈরি করে ।
২০১৩ সালে তৈরি হয়েছিলো গেমটি
, কিন্তু ২০১৫ সালে VK. com নামক
সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয়তা
পায় এবং প্রচুর ডাউনলোড হয় গেমটি
। ফিলিপ বুদেকিন নামক রুশ হ্যাকার
যে কিনা সাইকোলজির ছাত্র ছিলো
এবং ভার্সিটি থেকে বহিষ্কার
হয়েছিলো – তার মাথার বুদ্ধি
থেকেই জন্ম নেয় এই গেমটি ।
রাশিয়ান আইন শৃঙ্খলা বাহিনী
তাকে গ্রেফতারের পর সে জানায়
হতাশাগ্রস্হদের পৃথিবী থেকে
নিশ্চিহ্ন করে দেবার জন্যই সে
গেমটি বানিয়েছে । হতাশা গ্রস্হদের
পৃথিবীত বেঁচে থাকার কোনো
অধিকার নেই ।
।।
রাশিয়ায় এ গেম খেলে মৃতের
সংখ্যা ১৫১ জন , এবং রাশিয়ার
বাইরে মারা গেছে ৫০ জন । জুলিয়া
ওভা ও ভের্নিকা ওভা নামক দুই বোন
প্রথম এই গেইমের শিকার । গেমটির
৫০ তম লেভেলে গিয়ে ছাদ থেকে
লাফিয়ে ওরা সুইসাইড করেছিলো ।
জুলিয়া ওভা মৃত্যুর ঠিক আগে
সোশাল নেটওয়ার্কে নীল তিমির
ছবি আপলোড দিয়ে লিখেছিলো – ‘
The end ! ‘
।।
গেমটি মূলত একটি ডার্ক ওয়েভের
( dark wave ) গেম । ডার্ক ওয়েভ হলো
ইন্টারনেটের অন্ধকার জগৎ । মনে
রাখবেন – গেমটি আপনি একবার
ডাউনলোড করলে আর কখনোই
আনইনস্টল করতে পারবেন না । গেমটি
আপনার ফোনের সিস্টেমে ঢুকে
আপনার আপনার আই পি এড্রেস ,
মেইলের পাসওয়ার্ড , ফেসবুক
পাসওয়ার্ড , কনট্যাক্ট লিস্ট ,
গ্যালারী ফটো এমনকি আপনার
ব্যাংক ইনফর্মেশান ! আপনার
লোকেশান ও তারা জেনে নিচ্ছে !
।।
‘ ব্লু হোয়েল ‘ গেম ওপেন করা মাত্র
আপনাকে একজন এডমিন পরিচালনা
শুরু করবে । আপনাকে জিজ্ঞেস করবে
– ‘ গেমটি খেলা শুরু করলে আপনি
কোনোভাবেই এর থেকে বেরিয়ে
আসতে পারবেন না , আপনি সর্বশেষে
মৃত্যু বরণও করতে পারেন , আপনি কি
চ্যালেন্জ গ্রহন করতে আগ্রহী ? ‘
।।
আপনি ইয়েস বা নো অপশনের মধ্যে ‘
ইয়েস ‘ অপশন ক্লিক করা মাত্রই পা
দিয়ে দেবেন মৃত্যু ফাঁদে ।
।।
গেমটির প্রথম দশটা লেভেল খুবই
আকর্ষনীয় । ইউজার এডমিন কিছু
মজার মজার নির্দেশনা দেন – যেমন
রাত তিনটায় ঘুম থেকে উঠে হরর ছবি
দেখা , চিল্লাচিল্লি করা , উঁচু
ছাদের কিনারায় হাঁটাহাঁটি করা ,
পছন্দের খাবার খাওয়া ইত্যাদি
নির্দেশনা দিতে দিতে এডমিন
হাতিয়ে নেবেন আপনার পার্সোনাল
ইনফরমেশন । প্রথম দশ টা লেভেল পার
করার পর আপনাকে তৈরি করা হবে
পরবর্তী দশটি লেভেলের জন্য ।
পনেরো লেভেল পর্যন্ত চলবে আপনার
ইনফরমেশান হাতানোর কাজ ! পনেরো
লেভেলের পর আপনাকে কঠিন মিশন
দেয়া শুরু হবে ! যেমন অ্যাডমিন
আপনাকে বলতে পারে আপনার হাতে
ব্লেড দিয়ে নীল তিমির ছবি আঁকুন !