আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ,কেমন আছেন সবাই। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আরও একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি শেষ পর্যন্ত সবাই আমার পাশে থাকবেন।
বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে জয়ের হাসি হাসলো দক্ষিণ আফ্রিকা। টাইটেল দেখেই বুঝতে পারছেন আজকের ব্লগটি কি নিয়ে। আজকের ব্লগটি হল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ এর ২১ তম ম্যাচ বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই খেলাটি বাংলাদেশ সময় রাত ৮:৩০ মিনিটের শুরু হয়েছে। আমরা সবাই একসাথে খেলাটি উপভোগ করব বলে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে সমাবেত হয়েছিলাম।
টসে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেয়। শুরুতেই বাংলাদেশী পেস বোলারদের তাণ্ডবে চাপের মুখে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশী পেস বলার তানজিম সাকিব একাই গুরিয়ে দেয় শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডার ব্যাটিং লাইন। একে একে ফিরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম চারজন ব্যাটসম্যান। প্রথম পাওয়ারপ্লে ৬ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৫ রান।
এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটসম্যান হেইনরিস ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার মিলে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেন। তারা দুইজন মিলে ৮২ বলে ৭৯ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ করেন। দ্রুত উইকেট পড়ে যাওয়ার কারণে এই দুই আফ্রিকান ব্যাটসম্যান দেখে শুনে খেলছিলেন।
১৭ ওভার ৩ বলে আফ্রিকান শিবিরে আবারো আঘাত আনেন বাংলাদেশী পেস বলার তাসকিন আহাম্মেদ। ধীরে ধীরে বিপদজনক হয়ে উঠা হেইনরিস ক্লাসেনকে তিনি সরাসরি বোল্ড আউট করে ৭৯ রানের জুটি ভাঙেন। ১৮ ওভার ২ বলে আবারো আফ্রিকান শিবিরের আঘাত আনেন বাংলাদেশী স্পিনার রিশাদ হোসাইন। তিনিও বিপদজনক হয়ে ওঠা ডেভিড মিলার কে বোল্ড আউট করে প্যাভিলিয়ানে পাঠান। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করে। বাংলাদেশের টার্গেট ১১৪ রান।
ইনিংস বিরতি শেষে আবারো খেলা শুরু হয়। এদিন বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিং করতে আসেন তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশ তাদের প্রথম উইকেট হারায়। দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বলারদের তাণ্ডবে দিশেহারা বাংলাদেশী টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। একে একে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারায়। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৫০ রান।
এরপর বাংলাদেশের ত্রাতা হয়ে দাঁড়ায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও তাওহীদ হৃদয়। তারা দুইজনে মিলে ৪৪ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ করেন। তখন ভালোভাবে ম্যাচ বাংলাদেশের হাতে ছিল কিন্তু ১৭ ওভার ১ বলে দলীয় ৯৪ রানে কাগিজো রাবাদার বলে আম্পায়ারস কলে এল ভি ডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তাওহীদ হৃদয়। তখনই বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়।
শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের ১১ রান। বোলিং করতে এসেছিলেন কেশব মহারাজ। জাকের আলী ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মিলে চেষ্টা করেছেন কিন্তু বাংলাদেশকে জয়ের বন্ধরে নিয়ে যেতে পারেনি। শেষ ২ বলে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৬ রান। স্টাইকে ছিল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কেশব মহারাজের ফুলটোস বল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সজরে হাকিয়েছিলেন কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটি বাউন্ডারি লাইন পার হতে দেননি আফ্রিকান ক্যাপ্টেন এইডেন মার্করাম। নিশ্চিত ৬ হয়ে যাওয়া বলটি চমৎকার একটি ক্যাচ ধরে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে প্যাভিলিয়নে ফিরান তিনি। তখনই বাংলাদেশের জয়ের আশা ভেঙ্গে চুরে চুরমার হয়ে যায়। আবারো তীরে এসে তরী ডুবালো বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে শেষ হাসি হাসলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
ফলাফল: দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ রানে জয়ী হয়েছেন।
প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ: হেইনরিস ক্লাসেন।
প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে এ পর্যন্ত। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।আল্লাহ হাফেজ।
What a match this was!!!
It is never over until that last ball is bowled.
#ilovecricket
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit