দীপুর নাম্বার টু মুক্তি পায় ১৯৯৬ সালে। ১৯৮৪ সালে জাফর ইকবালের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে দীপুর নাম্বার টু চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়। চলচ্চিত্রটির পরিচালক ছিলেন মোরশেদুল ইসলাম। দিপু নামে অভিনয় করেছেন অরুন। তাছাড়া আরও অভিনয় করেছেন বুলবুল আহমেদ, ববিতা, আবুখায়ের, গোলাম মোস্তফা সহ আরো অনেকে।
কাহিনী সারসংক্ষেপঃ
দিপুর বাবা সরকারী চাকরী করায় দিপুকে প্রতিবছর বদলাতে হয় সছুল,পরিবেশ ,বন্ধু ইত্যাদি। দিপুর পরিবারে দিপুর আর তার বাবাই রয়েছেন। দিপুকে বলা হয়েছে ওর মা মারা গেছেন। রাঙ্গামাটি জিলা স্কুলের ক্লাস এইট এর ছাত্র দিপু ও পরিবেশ, স্কুল খুবই পছন্দ করেন। তারিক ছাড়া সবাই ওর বন্ধু হয়ে যায়। কিন্তু ঘটনা প্রবাহে তারেক ও দিপুর মধ্যে খুব ভালো বন্ধুরত হয়ে যায়। এক সময় দিপু তার মায়ের কথা জানতে পারে আরও জানে ওর বাবার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙ্গে বহু দিন আগে আমেরিকা চলে গেছেন। এখন দেশে এসেছেন কিছু দিনের জন্য। দিপুকে দেখতে চেয়ে তার বাবার কাছে চিঠি লিখেন দিপুর মা। দিপুর একাই তার মায়ের সঙ্গে দেখার করার জন্য ঢাকায় আসে। মাকে পেয়ে দিপুর মধ্যে এক অদ্ভুত অনুভূতি জেগে ওঠে। দিপু আবার বাব্র কাছে ফিরে আসেন এবং মা চলে যান আমেরিকা। অন্যদিকে দিপু জানতে পারে তারেকের পাগল মায়ের কথা। তারিকের স্বপ্ন অনেক টাকা আয় করে মাকে বিদেশে নিয়ে ভালো চিকিৎসা করা। এরপর শুরু হয় দুঃসাহসিক অভিযান। বুদ্ধি আর সাহস কাজে লাগিয়ে তারেকের নেতৃতে ধরিয়ে দেওয়া হয় দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মূর্তি পাচারকারী চক্রকে। তারপর আসে দিপুর বাবার বদলির চিঠির । কিছু চমৎকার স্মৃতি, অভিজ্ঞতা আর বন্ধুবান্ধবের মায়াজালকে পিছনে ফেলে দিপুকে চলে যেতে হয় নতুন ও অচেনা এক শহরে।
অভিনয়েঃ
বুলবুল আহমেদ - দিপুর বাবা
ববিতা - দিপুর মা
আবু খায়ের - স্কুল শিক্ষক
ডলি জহুর - তারেকের মা
শাকফাত - সাজ্জার
অরুন সাহা - দিপু
মাশফিক - টিপু
ফয়সাল - মিঠু
পিয়াল - রফিক
মিলন - রাশেদ
শিমন - দিলু
(আরও অনেকে)