ফর্সা আর কালোকে আলাদা করার চল শেষ হয়নি। রবীন্দ্রনাথ কালো মেয়ের হরিণচোখ নিয়ে সুরেলা প্রেমকাব্য বাঁধলেও কালো মেয়ের একাকী ভাবনা হয়তো রচিত হয় নিজেকে খাটো করেই। ছেলেরা উদারতার ফাঁক গলিয়ে জীবন বাঁধতে খুঁজে বেড়ায় দুধে আলতা গায়ের রং।
কালো তো ভালো বটেই। কালো জুতো, কালো স্যুট এমনকি কালো শার্ট, ধনাঢ্যদের কালো মার্সিডিজ বা জাগুয়ার প্রিয়র চেয়ে প্রিয়। কালো মানুষের দেশে অবশ্য কালোর গভীরে সুন্দরের অন্য রহস্য থাকে। আমাদের পোড়ামাটি আর পিত বর্ণের জনসমাজ না চেনে কালো না চেনে ফর্সা।
তারা অন্তর দিয়ে রূপ ধরে না, রূপ ধরে আৎখা এক চোখ দিয়ে। যে চোখে থাকে অস্থিরতার লাল চশমা। ওই চোখে থেকে যায় ভুলভ্রান্তি, বিভ্রান্তি। যা হোক, কালো ফর্সা নিয়ে হাসান আকলিমার পালাগান রচনা আমার উদ্দেশ্য নয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে দামী মুরগির বর্ণ কুচকুচে কালো। পেখম পাখনা থেকে শুরু করে ঠোঁট পা নখ সবই কালো। এমনকি ওই মুরগির মাংসও কালো। একেবারে স্বতন্ত্র জাতের ওই মুরগিরর নাম ‘জেট ব্ল্যাক’ আয়্যাম কেমানি চিকেন। এই জাতটির আদি ঠিকানা ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের কেমানি নামক এলাকা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ব্রিডার পল ব্রাডশো এই কালো মুরগি বিক্রি শুরু করেছেন ২০১৩ সাল থেকে। সে সময়ই একেকটি মুরগির দাম হেঁকেছেন ২৫০০ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় কমের পক্ষে ২ লাখ টাকা। ব্রিডার এই কালো মুরগির নাম রেখেছেন ‘ল্যাম্বরগিনি পোল্ট্রি’। মাংস নয় শুধু এর জিহ্বা, মাথার ঝুটি, এমনকি হাড্ডি ও নাড়িভুড়িও কালো রঙের। কেবল রক্ত স্বাভাবিক, লাল রঙের।
বিজ্ঞানীরা বলছেন কালো টিস্যুর প্রাবল্যের এই জেনেটিক পরিস্থিতির ‘ফাইব্রেমেলানোসিস’ নামে পরিচিত। এই জাতটির সঙ্গে চীনের সিল্কি জাতের কালো মুগির মিল রয়েছে।
সংগ্রহকারীদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষনীয় ও লোভনীয় এই জাতের মোরগের ওজন হয় ২ থেকে আড়াই কেজি। মুরগির ওজন হয় দেড় দু কেজি। মুরগি দেয় বাদামি রঙের ডিম। সূত্র: পালস ডট এনজি।
টাঙ্গাইলটাইমস