আলোর বেগ এর তুলনায় অনেক কম বেগে চলা বস্তুর ক্ষেত্রে ক্লাসিকাল মেকানিক্স বা নিউটনিয়ান মেকানিক্স খুব ভালো ভাবে কাজ করলেও বেগ যত বাড়তে থাকবে এর কার্যকারিতা তত কমতে থাকবে। অনেক বেশি বেগে ঘটে যাওয়া বিষয় বা ঘটনা বর্ণনা করতে দরকার হয় আপেক্ষিকতা বা থিওরি অফ রিলেটিভিটি।
আইনস্টাইন 1905 সালে 'স্পেশাল থিওরি অফ রিলেটিভিটি' প্রকাশ করেন। থিওরি অফ রিলেটিভিটি মূলত স্থান-কালের সম্পর্ক নিয়ে। কোন একটা কিছু যখন ঘটে, সেটা ঘটনা। আর সেটা যে দেখে বা বর্ণনা করে বা পরিমাপ করতে পারে সে হলো পর্যবেক্ষক।
একই ঘটনা যদি একাধিক পর্যবেক্ষক দেখে এবং তাদের মধ্যে যদি একটা আপেক্ষিক বেগ থাকে তাহলে সেই ঘটনার সবকিছু সম্পর্কে তারা একমত নাও হতে পারে।
আপেক্ষিকতার তত্ত্ব অনুযায়ী জোরে ছুটে যাওয়া লাঠির দৈর্ঘ্য কম, এক কাপ গরম চা এর ভর ঠান্ডা অবস্থার চেয়ে বেশি, গতিশীল ঘড়ির সময় ধীর।
স্পেশাল থিওরি অফ রিলেটিভিটিতে শুধুমাত্র জড় পদার্থ নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রসঙ্গ কাঠামো হলো যার সাপেক্ষে আমরা স্থান, গতি নির্ধারণ ও পরিমাপ করতে পারি। যেমন হাবলু যদি একটি চলন্ত গাড়ির ভেতরে থাকে, তাহলে গাড়ির দেয়ালগুলোর সাপেক্ষে সে তার নিজের কিংবা অন্য কোন কিছুর অবস্থান কোথায় সেটা বলতে পারবে। গাড়ির ভেতর কিছু নাড়াচাড়া করলেও সেটার বর্ণনা দিতে পারবে গাড়ির অন্যান্য অংশের সাপেক্ষে। গাড়িটা হলো হাবলুর প্রসঙ্গ কাঠামো।
Book Name: অ পদার্থবিজ্ঞান
Writer: রাতুল খান
File size: 13 MB
Format: PDF
Location: Google Drive