Islamic life # my first post on esteem.

in esteem •  7 years ago 

ঘানুশীদদের মতে এরা মিউসিয়াম ইসলাম চায়। এরদোগানের মতে নামধারী আলেমরা নাকি ইজিতিহাদের নামে মেয়েদের উপর এমন কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে যা নাকি দ্বীন ইসলামে নেই। সে প্রশ্ন তুলে যে এরা কি এযুগে আছে? এরা কি এ পৃথিবীতে বাস করে, নাকি অন্যগ্রহে? এরা কি ১৪০০ বছর আগের ইসলাম, মিউসিয়াম ইসলাম, ইউটোপিক ইসলাম এ যুগে কায়েম করতে চায়? ইসলামকে নাকি রিফর্ম করতে হবে। ১৪০০ বছর আগের ইসলাম এযুগে চলে না। এইকথা শুনে নিকাব বিহীন বইনেরা আবার হাত তালিয়া দিতে দিতে মরিয়া যায় অবস্থা।

পরে আবার তার সমর্থকরা বলে, রিফর্ম বলতে তিনি ফিক্বহের রিফর্ম বুঝিয়েছেন। নুসুস রিফর্মের কথা বলেন নি।

তবে রে... ফিক্বহ কেন রিফর্ম করতে হবে? সে যুগের জন্য যদি সহীহ হয়, তবে এ যুগের জন্য সেটাকে বেইস করেই ড্যেভলপ করতে হবে। রিফর্ম করতে হবে মানে? রিফর্ম আর ড্যেভলপের পার্থক্য বুঝ তুমি?

রিফর্ম সেটাকেই করা হয়, যেটা ভুল! সালাফ আস-সলিহীনদের থেকে শুরু করে, এখন পর্যন্ত আহলুস-সুন্নাত ওয়াল-জামাতের ফিক্বহ শাস্ত্র ঠিকই আছে, এবং
সেখান থেকেই, সেগুলোকে ভিত্তি করেই এইযুগের জন্য ফিক্বহ ড্যেভলপ করতে হবে। রিফর্মের নামে তাদের ইজমা এবং ইজতিহাদগুলোকে এ যুগে চলবে না, এমনটা মেনে নেয়া যাবে না। আর নুসুসের রিফর্মেশনের তো প্রশ্নই উঠে না।

আমরা বলি যখন উপমহাদেশের আলিমরা ফতওয়া দিয়েছিলেন, ইংরেজী শিক্ষা হারাম, ওআল্লাহি সেই ফতওয়া তখনকার জন্য সঠিক ছিল। কারণ তখন যদি তা বৈধ করা হত, ইংরেজী শিক্ষার নামে কুফফাররা তাদের কুফরী আক্বীদা মুসলিমদের মাঝে বিনা বাধায় ছড়িয়ে দিতে পারত। আপনারাই দেখুন যারাই ইংরেজী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছিল, তাদের প্রায় সকলেই ওরিয়েন্টালিস্টদের কুকুর হয়েছে। এমনকি এরা ইসলামের নামে দেশ ভাগ করেও, দেশের সংবিধানকে সেকুলার বানিয়ে রেখেছে।

এমনকি এখনো যারা ইংরেজিতে অনার্স-মাস্টার্
স করে, তাদের জিজ্ঞেস করুন যে, তাদের আসলে কি পড়ানো হয়? সাহিত্যের নামে তাদের পড়ানো হয় যৌনতা আর যতসব শয়তানি অযৌক্তিক ফিলসফি আছে। তাদের পড়ানো হয় হাজার হাজার বছর আগে তৈরী গ্রীক মিথোলজী। এমন কোন খারাপ জিনিস নাই, যা সেইসব মিথোলজীতে নাই। শুধু কি খারাপ? অযৌক্তিক সব জিনিসপত্র। আবার এরাই নিজেদের সুশীল, সভ্য, বিজ্ঞানমনষ্ক দাবী করে বেড়ায়।

সুতারং যারা তৎকালীন সময়ে ইংরেজী শিক্ষ হারাম করেছিল, তাদের ইখলাসের কারণে তাদের ফতওয়াকে সঠিক বলেই প্রমাণিত হয়েছে। আজকে যারা তাদের এইমতকে টিটকারী দিয়ে বলে, এই ফতওয়া মুসলিমদের পিছিয়ে দিয়েছিল, আমি বলবো এদের মত লোকদের কারণে মুসলিমরা পিছিয়ে আছে, আরো ভালো করে বললে এরা পিছিয়ে আছে। ওইসব আলেমরা পিছিয়ে ছিল না, তারা এগিয়েই ছিলেন। অন্তত মানসিকতার দিক থেকে। তাদের গাটস ছিল এই ফতওয়া দেয়ার যে ইংরেজী শিক্ষা হারাম। ভাষা শেখা তো কঠিন কোন কাজ না, অথবা এটার এত গুরুত্ব কি ছিল যেখানে ইংরেজরা নিজেরাই এটা শেখাতে উদ্যত হয়েছিল। তারা বুঝতে পেরেছিল, ভাষা তো জাস্ট ছুতো, এর মাধ্যমে বাদামী চামড়ার ব্রিটিশ তৈরী করাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল।

তেমনি যারা আজকে ১৪০০ বছরের ফিক্বহ রিফর্মের কথা বলে, তাদের এই ধারাকে ব্রিটিশদের বংশধরদের পলিসির বাস্তবায়ন বলে ধরে নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। ১৪০০ বছরের ফিক্বহ থেকে নতুব ফিক্বহ ড্যেভলপ হবে, খবরদার তা রিফর্মের কথা বলবে না। তোমাদের এসবের প্রচার-প্রসার মেনে নেয়া হবে না।

আমরা জানি বাস্তবতা আর থিওরী এক না। এর মানে এই না যে থিওরীকে যাচ্ছেতাই করে ফেলতে হবে। থিওরীর পিউরিটি বজায় থাকা চাই। বাস্তবতার খাতিরে তত্ত্ব প্রয়োগের ক্ষেত্রে শিথীল হওয়া যায়, সেটা ঠিক আছে; এর মানে এই না যে তত্ত্বকে পরিবর্তন করতে হবে। থিওরী করাপ্টেড করার সুযোগ দেয়া যাবে না। এমনকি যারা এগুলো প্রকাশ্যে বলার সাহস পাচ্ছে, তাদেরও সেইফ এক্সিট দেয়া যাবে না। দিন দিন এদের অহংকার আর সাহস বাড়ছে। তারা যত বড় হুনই হোক না কেন, তাদের এই সাহসকে ধ্বংস করতে হবে। তাদের এই সাহস, অহংকারকে অপদস্থ করতে হবে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order: