ফলের পরিচিতি:
ফলের রাজা আম আর আমাদের ‘জাতীয় ফল’ কাঁঠাল। তৎপরবর্তী স্থান সম্ভবত কলা, আনারস, পেঁপে, লিচু ও পেয়ারার। লেবু জাতীয় ফল ও আমড়ার কদরইবা কম কিসের!
বাংলাদেশের ফলের তালিকা:
ফলগুলোর ধরন ও গোত্র অনুযায়ী শ্রেণীবিভাগ করে নিম্নে একটি নাতিদীর্ঘ তালিকা স্থাপন করা।
(ক) আম গোত্রভুক্ত : আম, আমড়া, বিলাতি আমড়া ও কাজু বাদাম।
(খ) কাঁঠাল গোত্রভুক্ত : কাঁঠাল, ডেউয়া, ডুমুর, তুঁতফল, রুটীফল ও ডুরিয়ান।
(গ) লিচু গোত্রভুক্ত : লিচু, আঁশফল ও রাম্বুটান।
(ঘ) পেয়ারা গোত্রভুক্ত : পেয়ারা, জাম, জামরুল ও গোলাপজাম।
(ঙ) অ্যানোনা জাতীয় : শরিফা ও আতা।
(চ) সফেদা গোত্রভুক্ত : সফেদা, বকুল ও মহুয়া।
(ছ) লেবু জাতীয় : লেবু, কাগজি লেবু, জামির, বাতাবিলেবু, কমলালেবু ও সাতকরা।
(জ) বেল জাতীয় : বেল ও কদবেল।
(ঝ) টক-প্রধান : কুল, তেঁতুল, আমলকী, কামরাঙা, বিলিম্বি, জলপাই, চালতা, করমচা ও লোই।
(ঞ) আপেল জাতীয় : পিচ, নাশপাতি, চেরি ও ট্রপিকাল আপেল।
(ট) অন্যান্য বৃক্ষ জাতীয় ফল : অ্যাভোকেডো, বইচি, পানিয়ালা, কাউফল, গাব, লটকন ও ডালিম।
(ঠ) লতা জাতীয় : প্যাসন ফল ও আঙ্গুর।
(ড) পাম জাতীয় : নারিকেল, তাল ও খেজুর।
(ঢ) অবৃক্ষ জাতীয় : কলা, পেঁপে, আনারস, তরমুজ, ফুটি, স্ট্রবেরি ও পানিফল। এগুলোর মধ্যে ৫-৬টি ফল বিদেশ থেকে সামপ্রতিককালে আনীত।
বাংলাদেশের ফলের অবস্থান:
উপরোক্ত তালিকায় স্থান পেয়েছে ৬২ প্রকারের ফল। মাত্র ৫৬ হাজার বর্গমাইল পরিমিত স্থানে যে অন-তপক্ষে ৬২ প্রকারের ফলের উপস্থিতি, এটি বিশ্বাস করা কঠিন। প্রায় ২৩ গুণ বড় আয়তন বিশিষ্ট যে ভারত-রাষ্ট্র সেখানে রয়েছে প্রায় ৬৪ প্রকারের ফল। জলবায়ুগতভাগে সবিশেষ বৈচিত্র্যময় ঐ দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের এরূপ যে একটি নেক-অ্যান্ড-নেক তথা সমান সমান বা পাশাপাশি অবস্থান, এটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।