আসসালামু আলাইকুম,
নাগলিঙ্গম একটি বিলুপ্তপ্রায় গাছ।এই গাছ সম্পর্কে আজকে আমি আপনাদের জানে চাই।
নাগলিঙ্গম:
20210722_201541.jpg]()
নাগলিঙ্গম এই নামের উৎপত্তি কোথা থেকে এটি অনেকেরই অজানা। অনেকের ধারণা এটি ফুল সাপের ফনার মতো দেখতে হয় বলে এর নাম নাগলিঙ্গম।20210722_201718.jpg]()
এই গাছটি বাংলাদেশে সংখ্যায় খুব কম পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এটি খুবই বিরল। উচ্চতায় ৩৫থেকে ৪০মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।একটা রিসার্চ অনুযায়ী বলছে বাংলাদেশে এই গাছ মাত্র 52 টি আছে । তার মধ্যে আমার বাড়িতে একটি আছে।
আমার বাড়ির পাশে:20210723_093022.jpg]()
এই গাছটি আমার চাচা ঢাকা থেকে নিয়ে এসেছিল এবং তার 20 বছর পর এই গাছটিতে ফুল ফুটেছে।
2000 সালে এই গাছটি আমাদের এখানে এনে লাগানো হয়েছিল। 2020 সালে প্রথম এই গাছে ফুল ফুটে।গাছটি যেমন বিরল তেমনি এই গাছটি অনেক কার্যকরী তো আছে।গাছের ফুলের গন্ধ অনেক সুন্দর আর সবাই তা উপভোগ ও করে ।কিন্তু এর গন্ধ অনেক কড়া।যা সবাই সহ্য করতে পারে না ।কিছু কিছু মানুষের এ গন্ধে মাথাও ধরে।ঐ ফুল রাত্রে বেলায় ফোটে এবং দিনের বেলায় ঝরে যায়।20210723_093049.jpg]()
প্রথমেই ফুলের বাংলাদেশ আবির্ভাব:
গাছটি সর্বপ্রথম বাংলাদেশে এনেছিল প্রায় দেড়শ বছর আগে এক জমিদার।তিনি প্রধানত এ গাছটি এনেছিলেন সুন্দর ফুলের গন্ধ ও ঔষধি কার্যকারিতা জন্য।তখনকার দিনে হাতির পেটের অসুখের জন্য অনেক কাজে লাগত ।তাই এই কারণে তিনি ঐ গাছ এখানে ছিলেন।তখনকার দিনে কবিরাজ এই গাছের ফুল এবং ফল কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করতে যা মানুষের অনেক কাজে লাগতো
গাছের ঔষধি গুনাগুন:20210723_093057.jpg]()
নাগালিঙ্গম গাছের অনেক ঔষধি উপকারিতা রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ, টিউমার, ব্যথা এবং জ্বালা পোড়া চিকিৎসায় ঐ গাছের ফুল ব্যবহার করা হয়েছে। এটি সাধারণ সর্দি এবং পেট ব্যাথাও নিরাময় করে। এটি ম্যালেরিয়া এবং দাঁতের ব্যথার বিরুদ্ধে খুব কার্যকর।
যেটুকু আমার জানা ছিল:20210807-160541_Gallery.jpg]()
বাংলাদেশের 52 টি গাছের কথা উল্লেখ থাকলেও তা কোথায় কোথায় আছে সেটা অজানা ।5থেকে 6 টা গাছ গাছের খবর এখন পর্যন্ত আছে ।এটা আমি একটি প্রতিবেদন ঐ পড়েছি।কিন্তু আস্তে আস্তে তার বিলুপ্তপ্রায় এখন তো খুঁজে পাওয়া যায় না বললেই চলে কিছু কিছু জায়গায় আছে তার মধ্যে আমাদের এখানে একটা আছে।
গাছটি সম্পর্কে আপাতত আমার এইটুকু ধারণা আছে।