আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। যশোরে ঢালাই কারখানায় একদিন, এই ব্লগের শেষ পর্ব নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম।চলুন শুরু করা যাক গত পর্বে যেই জায়গা থেকে শেষ করেছিলাম ওই জায়গা থেকেই আবার শুরু করলাম। আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।
তারা সকল মালগুলো গলিয়ে তরল করে ফেলে। এরপর সেই তরল পদার্থটি বিভিন্ন পাত্রে ঢেলে দেয় এবং এগুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে সেই পাত্রের আকার ধারণ করে। ওই তরল পদার্থটি যখন ঠান্ডা হয়ে জমে যায় তখন ওই পাত্রের থেকে খুলে আলাদা করে ফেলে।তারপর তারা ওই মালগুলো একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় হিট দেয়।
নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় হিট দেওয়া হয়ে গেলে এগুলো আবার ঠান্ডা করে।এরপর এগুলো কাটিং করার জন্য তারা তাদের ওয়ার্কশপে নিয়ে যায়। ওয়ার্কশপের মধ্যে তাদের কিছু মেশিন আছে। মেশিন চালানোর জন্য তাদের নির্দিষ্ট লোক আছে এছাড়াও আরো কিছু শ্রমিক তাদের ওয়ার্কশপে আছে।
ওই মালগুলো কাটিং করে, চকচকে করে, নতুন একটি রূপ দেওয়া হয়। কাটিং এর কাজ শেষ করে রং করার জন্য আর একটি জায়গায় পাঠানো হয়।এরপর সেখানে সকল মালগুলো সুন্দর করে রং করা হয়। রং করার জন্য তাদের আলাদা শ্রমিক রয়েছে।
রংয়ের কাজ শেষ করে এগুলো তাদের কোম্পানির নামে স্টিকার লাগানো হয়। সকল প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এগুলো চেক করার জন্য যে, এই মালগুলো বাজারজাত করার জন্য প্রস্তুত নাকি কোন ত্রুটি আছে এগুলো চেক করার জন্য তাদের দুইজন লোক আছে। এই মালগুলো চেক করার পরে যদি কোন প্রকার ত্রুটি না পাওয়া যায় তখন এই মালগুলো বাজারজাত করার জন্য তাদের সেলস পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হয়।
তাদের মার্কেটিং এর জন্য কিছু লোক আছে এবং কিছু কোম্পানির সাথে তাদের সরাসরি চুক্তি আছে এভাবেই তারা এই মালগুলো ছাড়া বাংলাদেশের সরবরাহ করে থাকে। এইভাবেই পুরাতন মালের সাথে নতুন মাল মিক্স করে গলিয়ে শ্রমিকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে নতুন মাল তৈরি করেএবং পরবর্তীতে আমরা সেগুলো বাজার থেকে কিনে আমাদের কাজে ব্যবহার করি।
প্রিয় বন্ধুগণ আজকে আর না। পরবর্তীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।